শুক্রবার ● ৭ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার চরফ্যাশন হাসপাতালের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর
স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার চরফ্যাশন হাসপাতালের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: সমাজে নারী নির্যাতনের আইন অক্ষরে অক্ষরে প্রয়োগ করা হলেও এখনও নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের আইন তৈরী হয়নি। ফলে নারী(স্ত্রী) দ্বারা অনেক পুরুষ নির্যাতিত হয়ে নীরবে নির্বিঘেœ সহয্য করতে হচ্ছে। স্ত্রী ও শশুর-শাশুরীর কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চরফ্যাশন হাসপাতালের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১১টায় ভোলা পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ী রোড শশুরালয়ে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভোলা গেলে স্ত্রী হাসিনা বেগম, শশুর আবুল বাসার চৌধুরী, শাশুরী, মামা শশুর মো.সেন্টু, শাহে আলম তাকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন আহত জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিয়ের ৬ মাস পর থেকে নিজ বাড়ী চরফ্যাশন পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ড ও হাসপাতালে চাকুরী পরিবর্তে ভোলায় শশুরালয় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে থাকে। শশুর-শাশুরীর ও তাদের আত্মিয় স্বজনের চাপে ভোলায় বাসা ভাড়া করে সংসার করতে শুরু করি। ভোলা ভদ্রপাড়ায় ৪ শতাংশ জমি ৭লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। ওই জমি আমার নামে না দিয়ে স্ত্রী হাসিনার নামে দলীল করা হয়। জমি তার নামে নেয়ার কথা বললে আমাকে যৌতুক মামলা করার হুমকী দেয়া হয়েছে।
তাদের অত্যাচার নির্যাতন সহয্য করতে না পেরে ২০১২ সালে স্ত্রী হাসিনাকে চরফ্যাশন বাড়ীর ঠিকানায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী দিয়েছি। ওই সময় শশুর শাশুরী ভোলার ভাড়াটিয়া বাসার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল রেখে দেন। ২৮ ডিসেম্বর/১৬ তারিখে স্ত্রীর সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে নিয়ে কথার কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে শশুর শাশুরীর লোকজন চরফ্যাশনে আমার বাসায় এসে হামলা চালায়। তার ৪দিন পরে শাশুরী এসে (আমার অবর্তমানে) ৮ভরি স্বর্ণ ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভোলায় চলে যায়। স্ত্রী হাসিনা তার চাকুরী টাকা পয়সা শশুর-শাশুরীর কাছে দিয়েও ক্ষ্যন্ত হয়নি। গত ১১ জুন তারিখে আমার ঈদের মার্কেট করার জন্য আমার বেতনÑবোনাসের টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভোলায় চলে যায়। ভোলা গিয়ে নানান ভাবে অপপ্রচার চালায়।
সকল কিছু ভুলে জাহাঙ্গীর আলম শুক্রবার সকালে সন্তান ও হাসিনার স্কুল খোলা তার প্রতি নজর দিয়ে শশুর বাড়ীতে তাদেরকে আনতে গেলে বেলা ১১টায় তাকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে ভোলায় হাসপাতালে গেলে শশুর বাড়ীর আত্মিয় স্বজন নানান ভাবে হুমকী ধমকী দেয়ায় সেখানে ভর্তি না হতে পেরে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
-এমএএইচ/এফএইচ