রবিবার ● ২৫ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ‘তোমরা হাসলেই হাসে পৃথিবী’
‘তোমরা হাসলেই হাসে পৃথিবী’
স্টাফ রিপোর্টার: “তোমরা হাসলেই হাসে পৃথিবী” এ শ্লোগান নিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ের বেতুয়া এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বন্ধুমহলের আয়োজনে তরুণ কিছু কলেজ পড়–য়া ছেলেদের একান্ত প্রচেষ্টায় এই সুন্দর উদ্যোগ অনেকেরই প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঈদবস্ত্র বিতরণ সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগই ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এ আয়োজনের সবচেয়ে বেশী দাবিদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। কেনানা এই ফেসবুকের মাধ্যমেই অবহেলিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব হয়েছে। এই তরুণরা ফেসবুকের মাধ্যমে মেঘনা পাড়ের অবহেলিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে সবার নিকট সাহায্যের আবেদন করেন। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই নগদ অর্থ দিয়ে এই কাজে সহযোগীতা করেন। তাদের সবার বক্তব্য হলো “আমরা বাচ্চাদের হাসির অংশিদার হওয়ার জন্যই এটা করেছি”। এর মাধ্যমে তারা এ কথা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, ইচ্ছা থাকলেই মানুষের উপকার করা যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত হাছিব আর রহমানের প্রাথমিক প্রচেষ্টাতেই অনেকাংশে সফল হয়েছে এই ইভেন্টটি। এই আয়োজনের সার্বিক দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাছিব আর রহমান বলেন, ফেসবুক বন্ধুদের সহায়তা এবং আন্তরিকতা একটি বড় কারন এই ঈদবস্ত্র বিতরণ সফল হওয়া। এছাড়াও এ কাজে অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত আল আমিন ফাহিম, চরফ্যাশন কলেজে অধ্যায়নরত সালমান রহমান সান ফরাজি, জামির হোসেন সৈকত, গ্রিণউইচ ইউনিভার্সিটির হামিম, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির আকিব, ঢাকায় অধ্যায়নরত নাদিম, মুরাদসহ বন্ধুদের একান্ত প্রচেষ্টায় এই বস্ত্র বিতরণের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা আরো ব্যাপক এবং বৃহতভাবে এই কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তারা। এজন্য তারা ছোট আকারে একটি সামাজিক সংগঠন করতেও আগ্রহী। তারুণ্যের এমন সাহসি এবং সমাজবান্ধব উদ্যোগ তরুনদের মধ্যে দেশগ্রেম জাগিয়ে দেশ গঠনে মূখ্য ভুমিকা পালন করবে বলেই মনে করেন অনেকেই। তরুণদের এমন কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদক এবং জঙ্গীবাদ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে সুবিদাবঞ্চিত শিশুরা নিজেদের খুশির কথা জানিয়েছে প্রবল উৎসাহ এবং ভালোবাসার সাথে।
-ইএ/এফএইচ