বুধবার ● ১৭ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে জ্বীন ফিরোজের প্রতারণায় সর্বশান্ত বহু পরিবার
চরফ্যাশনে জ্বীন ফিরোজের প্রতারণায় সর্বশান্ত বহু পরিবার
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাপুর ৪নং ওয়ার্ডের দৌলতখাঁ কান্দি নামক এলাকার বিশ্বাস বাড়ী মিনারা বেগম জ্বীনের বাদশার প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ত হারিয়ে এখন পথে বসার অবস্থান তৈরী হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার তিনি সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ করলে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে চুপসে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী এলাকার দক্ষিণ শিবা গ্রামের ফিরোজ খাঁ নামক জনৈক ব্যক্তি বিশ্বাস বাড়ীর আবি আবদুল্লার স্ত্রী মিনারা বেগমের কাছ থেকে ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেছে। তাকে স্বর্ণোলস্কার ও স্বর্ণের ভার পাওয়ে দিবেন মর্মে অভিনয় করেই বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে যায়।
জ্বিনের বাদশা ফিরোজ খাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার কোন শেষ নেই স্বর্ণালংকার (২টা চেরা) ও স্বর্ণের কয়েন পেতে হলে ২টা পাটা ছাগল লাগবে। একটা নতুন গামছা, দু’টা মোরগ চার রস্তার মোড়ে পুতে রাখতে হবে। এই গুলো কোথায় পাওয়া যাবে বললে সে বাবৎ ১০ হাজার টাকা নেয়। এই ভাবে মিনারা বেগম ছলনা দিয়ে পর্যক্রমে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫০হাজার টাকা, বাপের বাড়ী থেকে জমি বিক্রি করে ৮৫ হাজার ৫ শ টাকা, সুদের উপর ৫০হাজার টাকা সহ বিভিন্ন সময়ে মোট ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। দু’রাতে ফিরোজ খাঁ তাকে দুটি স্বর্ণের চেরা, ৫টি সোনালী রংয়ের কয়েন দিয়েছে। ওই গুলো দেয়ার সময় স্থানে দেখা নিষেধ বলেছে। দেখলে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে নচেৎ কন্যা শিশু জ্বীনের মাধমে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালে রাতে মিনারা ওই গুলো আর দেখেনি। তা ঘরে এনে রাখা হয়। এবং বলে এই বিষয় গুলো কাউকে বলা যাবেনা বললে তার সন্তান হারাবে। টাকা দিতে দিতে অসহায় হয়ে পড়লে বিষয়টি এককান দু’কান হতে হতে পুরো গ্রামে জানা জানি হয়। স্বর্ণের চেরা ও ৫টি কয়েন যাছাই-বাচাই করে দেখে ওই গুলো কোন কাজে লাগবেনা।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপির সদস্য, চেয়ারম্যান কে জানিয়ে সর্বশেষ থানায় অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা না পাওয়ায় সর্বশেষ সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে মিনারার স্বামী পরের চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করছে। অনেক সময় না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ খাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এমএএইচ/এফএইচ