পল্লীবিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে দিশেহারা লালমোহন ও চরফ্যাশনবাসী

বিশেষ প্রতিনিধি: বিদ্যুতের ভেলকিবাজির ভয়াবহ কবলে পড়েছেন লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলাবাসী। অসহনীয় গরমেও স্থির হয়ে আছে বৈদ্যুতিক পাখা। হাসফাস করছেন শিশু, বৃদ্ধ সবাই। সারাদিন লোডশেডিং আর সাথে সন্ধ্যায় দীর্ঘসময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া। গত কয়েক সস্তাহ ধরে প্রতিদিন অসংখ্যবার বিদ্যুতের ভেলকির শিকার হয়ে বিকল হয়ে পড়ছে মুল্যবান বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। এসপ্তাহ খানেকধরে চলছিল অবিরাম বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। শুক্রবার ভোর থেকেই চরফ্যাশনে বিদ্যুৎ নেই। আর রাত ৭টা থেকে ৭/৮বার বিদ্যুৎ আসে আবার চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুতবিহীন ছিল পরো চরফ্যাশন উপজেলার অনেক এলাকা। একই ভাবে চলছে লালমোহন পৌর শহর সহ মফস্বল এলাকা। বিদ্যুৎ চালিত মোটর না চলায় বাড়িতে বাড়িতে পানি সংকটে ভূগছেন উপজেলা।

চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা জানান, ঝড়ের পর থেকে লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথায় সমস্য তা খুজে বের করতে আরও সময় লাগবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন কোন জাগায় সমস্যা তা দেখতে যদি এক সপ্তাহ সময় লেগে যায় তাহলে ভোগান্তির বিষয়টা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাবে। আরেক জন ক্ষোভ নিয়ে বলেন ভাই ইচ্ছে হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে চলে যেতে।

এছাড়াও ডিজিটালাইস্ট ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে পরছে।বিভিন্ন এলাকায় কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান, ও কম্পিউটার সাইবার ক্যাফ গুলোতে ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছে বলে একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান।

শশীভূষণ বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকার বলছে বিদ্যুতের কোন সমস্য নেই, তকে কেন এত লোডশেডিং। ভোটের সময় ছাড়া আমরা মানুষ বলে গণ্য হই না। সব লোডশেডিং কি শুধুই সাধারণ গ্রাহকের জন্য ?

- কেএস/এফএইচ