সোমবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে সিজারের সময় বাচ্চা বদল নিয়ে তোলপাড়!
চরফ্যাশনে সিজারের সময় বাচ্চা বদল নিয়ে তোলপাড়!
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন শরীফ পাড়াস্থ প্রাইভেট আধুনিক হাসপাতালে সিজারে হওয়া বাচ্চা রদ-বদলের ঘটনা নিয়ে স্বজন ও সাধারণ রোগীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায়।
একাধিক তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৬ অক্টোবর বিকালে ভর্তি হয় লালমোহন উপজেলার চর উমেদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মো. সোহেলের স্ত্রী সালমা বেগম। পরবর্তী সময় ভর্তি হয়, চরফ্যাশন পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের ইব্রাহীমের স্ত্রী রুমা বেগম। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় হাসপাতালের গাইনী ডা.হোসনে আরা বেগম সালমাকে প্রথম সিজারের সিন্ধান্ত নেয়া হয়। সিজার করার প্রস্তুতিতে আসবাব পত্র অপারেশন থিয়েটার ওটিতে নেয়া হয়।
হাসপাতালের নার্স ইনচার্জ তাছলিমা বেগম বলেন, উভয়কে রোগীতে ওটিতে নেয়া হয়েছে। হঠাৎ রুমার পেটে ব্যথা বেড়ে যায়। ফলে ওটিতে নিয়ে রুমার সিজার করা হয়। রুমার ভূমিষ্ট হওয়া মেয়ে বাবুকে কাজের বুয়া ফাতেমা বেগম ওটির বাহিরে সালমার স্বজন ঝর্ণাকে দেয়া হয়।
সালমার পরিবার জানান, ৩ বার আল্টা¯েœাগ্রামে ছেলে বাবু হওয়া নিশ্চিত বিষয়টিকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে মেয়ে বাবু দেয়া হয়। এতে কিছুক্ষণ হাসপাতাল চত্বরে হৈচৈ পড়ে যায়। ১ ঘন্টা পরে সালমার পরিবারের কাছে ছেলে বাবু দেয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে শরীফ পাড়ার হাসপাতাল চত্বরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা সত্বে জনৈক ব্যক্তি বলেন, এই ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করে করেছে। দেশে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। আল্টা¯েœাগ্রামে ছেলে ও মেয়ে বাবু হওয়া ধরা খেয়েছে। নচেৎ বিষয়টি অন্যদিকে গড়াত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সালমার নদ ঝর্ণা বলেন, আমাদের রোগীকে ওটিতে নিয়েছে। এটুক জানি হঠাৎ আমার কোলে মেয়ে বাবু দেয়া হয়। এতে আমাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে আমি আমার স্বামীসহ আত্মিয় স্বজনকে জানিয়েছি। হাসপাতালের বেডে ভর্তি রুমার মা’কে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালে ভর্তি অবস্থা রয়েছি। আমাদের অভিভাবক আসলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
সালমা ও রুমার পরিবারের জানান, ওটিতে উভয় রোগীকে সিজারে নেয়া হলে ডাক্তার বা নার্সদের বলা উচিৎ ছিল কোন রোগীর সিজার আগে-পরে হবে। ওই সময় স্বজনরা রোগীকে ওটিতে দিয়ে আতংকে থাকেন। নার্সদের ঘাপলতির জন্য এঘটনা ঘটেছে। আল্টাস্নোগ্রামের মাধ্যমে স্ব-স্ব পরিবার মেয়ে ও ছেলে বাবু রয়েছে তা নিশ্চিত ছিল। ঘট নার স্থানীয় সংবাদকমীর্রা রবিবার সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালের গেলে এ বিষয়টি নিয়ে শরীফ পাড়ার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ কানাÑঘুষা করতে দেখা যায়।
হাসপাতালের মালিক পক্ষের তিতুমির বলেন, বিষয়টি মিসটেক একজনের বাচ্চা অন্য জনের কোলে দেয়া হয়েছে। তার পরেও প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করাতে পারে। উভয় ছেলে এবং উভয় মেয়ে হলে বিষয়টি কি দাড়াত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর প্রদান করতে পারেননি।
গাইনী ডাঃ হোসনে আরা বেগম সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। চরফ্যাশন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) খাইরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি শরিফ পাড়ায় এসে শুনেছি তবে আমার জানা মতে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
-এমএএইচ/এফএইচ