শুক্রবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঢাকা - ভোলাগামী লঞ্চযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
ঢাকা - ভোলাগামী লঞ্চযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঢাকা-ভোলা নৌ রুটের লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবার লঞ্চের সঙ্কট না থাকলেও সরকারি ভাড়ার দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষরা। এরই মধ্যে প্রতি কেবিনে ৫শত থেকে ১ হাজার ও ডেকে ১ শত থেকে ২ শত টাকা করে বেশি ভাড়া আদায় করছেন লঞ্চ স্টাফরা।
জানা গেছে, সরকারী নির্ধারিত ভাড়ার দোহাই দিয়ে বৃহম্পতিবার থেকে ডেকের ভাড়া ২৫০ টাকা স্থলে ৩৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গেল কেবিন ৮শ টাকার পরিবর্তে ঈদ উপলক্ষে নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ শ টাকা। ডাবল কেবিন ১৬ শ টাকার পরিবর্তে নতুন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ শ টাকা। এছাড়া ভিআইপি কেবিন ৪ হাজার টাকার স্থলে নতুন রেট করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
ঢাকা থেকে সাব্বির-২ লঞ্চে ভোলায় শুক্রবার আসা কেবিনের যাত্রী ব্যাংক কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, এটা লঞ্চ মালিকদের খামখেয়ালী। ঈদ এলেই তারা যাাত্রীদের জিম্মি করে কেবিন ও ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। সাব্বির-২ লঞ্চের কেবিনের দায়িত্বে থাকা রাজিব বলেন, কোম্পানির ঈদ উপলক্ষে নতুন করে ভাড়ার যে রেট করেছে তাই আমরা নিচ্ছি।
এদিকে ঢাকা-ভোলা কয়েকটি রুটের লঞ্চ স্টাফদের সাথে আলাপ কালে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,ঈদ উপলক্ষে মালিকরা (কোম্পানি) নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে ভাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা-বরিশার নৌযান রুট কমিটির সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান পাটাওয়ারী বলেন, সম্পতি সভা করে বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারিত ভাড়া নেওয়াসহ নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঈদে কেন ভাড়ার নতুন রেট এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা ঈদে বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন। সারা বছরেই তো যাত্রীদের সুবিধা দেওয়া হয়। ঈদের সময় উচিৎ যাত্রীদের লঞ্চ মালিকদের উপকার করা।
এব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল নৌ-বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ন পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চ মালিকরা ঈদ উপলক্ষে বেশি ভাড়া নেয় এটা সঠিক নয়। মুলত, স্বাভাবিক সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নেয়। কিন্তু ঈদের সময় সরকারী ভাবে নির্ধারিত ভাড়াই নিয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
কেএস/এফএইচ