শুক্রবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে ঈদ-উল-আযহার ভিজিএফ চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও হরিলুট
লালমোহনে ঈদ-উল-আযহার ভিজিএফ চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও হরিলুট
এম আর পারভেজ: ভোলার লালমোহনে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সাধারণ ভুক্তভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবার অনেকে চালের জন্য এসে না ফেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিনব্যাপী উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১৬৫০ জন সুবিধাভোগীর মাঝে ১০ কেজি হারে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও হরিলুটের অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।
রমাগঞ্জ ইউনিয়নের মিনাই রাণী,বিন্দু রাণী, বরই রাণী জানান, আমাদেরকে চাল দেয়ার কথা ছিল ১০ কেজি করে। সেখানে চাল দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪-৫ কেজি করে। আমাদের যাতায়াতে খরচ ও আসেনি। এমন হবে জানলে চালের জন পরিষদে আসতাম না।
একই ইউনিয়নের ফজলুল হক, আব্দুল খালেক, রফিক নামের একধিক সুবিধাভোগী বলেন, শ্রমিকের কাজ করে প্রতিদিন সাড়ে ৩০০ টাকা পাই। আজ কাজ বাদ দিয়ে চালের জন্য এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দারিয়ে মাত্র ৫ কেজি চাল পেয়েছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, আমাদের চাল কম দিয়ে নেতারা বস্তা বস্তা চাল ভাগ করে নিয়েছে। এদিকে অনেক সুবিধাভোগে চালের জন্য এসে চাল না পেয়ে ফিরে গেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
একই এইনিয়নের নামধারী আ’লীগ নেতা রহিম দালাল সুবিধাভোগী না হওয়া সত্বে ২০ কেজি চাল নিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
৯নং ইউপি সদস্য বাবুল ৭ কেজি করে চাল বিতরণের কথা স্বীকার করে বলেন, চাল আনতে কিছু কেয়ারিং খরচ রয়েছে। তার বাবতে কিছু চাল কম দেওয়া হয়েছে।
সিভিসি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া চাল কম দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চাল আনতে কিছু কেয়ারিং খরচ থাকায় ৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ৪-৫ কেজির ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, অনেক ওয়ার্ডের ৬০ জনের চাল ১০০ জনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চাল ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, অনেকর একাধীক চিলিপ থাকায় একত্র করে চাল নিয়ে গেছেন । এছাড়া উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ২৬০০, লালমোহন সদর ইউনিয়নের ১২১৪ নামের সুবিধাভোগীরদের চাল বিতরণের ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ করে সুবিধাভোগীরা।
এফএইচ