

সোমবার ● ২৪ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
বিশেষ প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ভোলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটের সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)। রোববার রাত ৯টায় শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে এবং সোমবার সকাল থেকে দূরপাল্লার রুটেও নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরমধ্যে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-লক্ষীপুর, ভোলা-আলেকজেন্ডার ও ভোলা-পটুয়াখালী রুট রয়েছে।
ভোলা নদী বন্দরের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এদিকে সকাল থেকে জেলায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০ নটিক্যাল মাইল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। উপকূলের নদী উত্তাল থাকলেও এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে। এছাড়াও ৭০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আবু জাফর জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক রয়েছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ভোলার সাত উপজেলায় ৭৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়াও সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভোলায় ৭ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টিতে ভোলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে। এদিকে ঝড়বৃষ্টিতে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভোলার চরাঞ্চলের মানুষরা।
বাতাসে ভোলার উত্তর বাপ্তায় একটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অন্যদিকে নৌপথে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ে বেরিবাঁধ ও চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রোববার রাত ৯টায় শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে এবং সোমবার সকাল থেকে দূরপাল্লার রুটেও নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে, মৎস্য বিভাগের পক্ষথেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আগের স্তরে রয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হলে সোমবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে বয়ে যেতে পারে।
ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানিয়েছেন দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
-এফএইচ