শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
সোমবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি » খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক: শুভ বুদ্ধির উদয়ে খুশি আ.লীগ
প্রথম পাতা » রাজনীতি » খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক: শুভ বুদ্ধির উদয়ে খুশি আ.লীগ
৬০১ বার পঠিত
সোমবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক: শুভ বুদ্ধির উদয়ে খুশি আ.লীগ

 ---

ঢাকা : ১৫আগস্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচে কলঙ্কময় দিন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবার-পরিজনসহ নৃশংসভাবে খুন হন একদল কাপুরুষের হাতে।শিশু রাসেলকেও ছাড় দেয়নি খুনি হায়েনার দল। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্থপতিই ছিলেন না, ছিলেন বাঙ্গালি জাতির তিন হাজার বছরের ইতিহাসে সবচে বড় মহানায়ক ও ত্রাতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি।তাঁর ডাকে বাঙ্গালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির মহাসমরে। ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ বিসর্জন আর দু লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালি পেয়েছিল স্বাধীনতা। অভ্যুদয় হয়েছিল বাংলাদেশ নামের এক নবীন রাষ্ট্রের; যে রাষ্ট্রটি আজ নানা দিক থেকে সমগ্র দুনিয়াকে পথ দেখাচ্ছে। হয়ে উঠেছে ইমার্জিং টাইগার বা উদীয়মান ব্যাঘ্র। নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর দিন ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিন পালন করে গত দুই যুগ ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সমালোচনার শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া।তার এই জন্মদিন পালন জামায়াত ও ২০ দলীয় জোটে থাকা নাম সর্বস্ব কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া কেউ ভাল চোখে দেখেনি। নানা মহল থেকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীর দিন যেন জন্মদিন পালন না করেন খালেদা জিয়া।আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন-জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক কাটবেন না।এবার নেতাদের আনা ফুলও ফিরিয়ে দিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।১৫ আগস্ট প্রথম প্রহর রোববার দিবাগত রাত) ১২টা ১ মিনিটে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছিলেন তিনি।দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭২ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু মৌখিক শুভেচ্ছা জানান। এর আগে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কিছু সংখ্যক নেতা ফুল নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আগেই নির্দেশ দেওয়া ছিল, কেউ যেন ফুল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।ফলে ফুল নিয়ে আসা নেতাদের কেউ কেউ কার্যালয়ের বাইরে ফুল রেখে ভেতরে ঢোকার অনুমতি পান। কেউ কেউ আবার সে সুযোগও পান নি। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে কারো অনুরোধই রাখেননি তিনি। সব ধরনের অনুরোধ উপেক্ষা করে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে ঘটা করে কেক কেটেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।কিন্তু এবার জাতীয় ঐক্যর ডাক দেওয়া খালেদা জিয়া নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জন্মদিনে কেক কাটবেন না তিনি।অবশ্যই বিএনপির নেতারা বলার চেষ্টা করছেন- বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী বা জাতীয় ঐক্য নয়। বরং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হামলায় সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে কেক কেটে জন্মদিন পালন থেকে বিরত রয়েছেন খালেদা জিয়া।গত দুই যুগ ধরে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন করা হলেও তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্ম সাল নিয়েও দুই ধরনের তথ্য রয়েছে। বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দেখানো হয়েছে।১৯৮১ সালে ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমান নিহত হলে রাজনীতিতে পা রাখেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং তিন বছর পর চেয়ারপারসন হন তিনি।এরশাদবিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক বিল্লেষকরা বলেন, ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া দল� বিএনপির জনভিত্তি তৈরি করে দেন খালেদাই।১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র�য়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর কয়েক দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হারের পর সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কিন্তু দু:খজনক ব্যাপার হলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করাল দিনটিতেই বিএনপিনেত্রী জন্মদিন উদযাপন শুরু করলেন। অথচ আগে তিনি অন্য এক তারিখে জন্মদিন উদযাপন করতেন�এসত্য কারো অজানা নয়। ১৫ আগস্টে হঠাৎই ঘটা করে জন্মদিন উদযাপনের এই সিদ্ধান্তটি ছিল বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই পরিচায়ক। এমন বিয়োগবিধুর একটি দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপনে সুবিবেচনা, ভব্যতা ও রুচির প্রকাশ ঘটেনি। এটি এক ধরনের নিষ্ঠুর আচরণেরও বহির্প্রকাশ।যারা খালেদা জিয়াকে এমন একটি অভব্য পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা নিজেদের মানসিক নীচতা ও দীনতাকেই প্রকট করেছিলেন। খালেদা জিয়াও তার পরামর্শকদের এহেন কা-জ্ঞানহীন পরামর্শকে কেন যে আমলে নিলেন! সে-ও এক বিস্ময়ই বটে! দেশে দেশে যুগে যুগে এমন কুপরামর্শক ঘিরে থাকে ক্ষমতাবানদের। কথায় বলে, �রাজা যতো বলে, পারিষদ শতগুণ�। এরাও তেমনই পারিষদনামের কলঙ্ক। এরা আসলে সুসময়ের মাছি বা সুযোগসন্ধানী চাটুকারের দল। এরা মিত্ররূপে ক্ষমতাবানের চারপাশে গুন্‌গুন করে বেড়ায়। তাই এদের মিত্রতাকে বলা হয়, ভ্রামরী মিত্রতা।স্বাধীন বাংলাদেশ একটি বৃহৎ পরিবারের মতো। এই বৃহৎ পরিবারের অংশ আমরা সবাই। বিএনপিও। কোনো পরিবারে কোনো বিয়োগান্তক দিনে বিয়ে-শাদি আনন্দ উদযাপন করা থেকে বিরত থাকাই রীতি। এক্ষেত্রে বিয়ে বা আনন্দ উৎসবেরও দিনক্ষণ পেছানো হয়। এটাই সামাজিক শোভনতা। মৃতের বাড়ির পাশে কোনো প্রতিবেশী কখনো আনন্দের বাজনা বাজায় না। এটা যুগ যুগ ধরে মান্য করা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া হাজার বছরের এই ভব্য-শোভন রীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেটাই করে গেছেন পুরো এক যুগ। খালেদা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনটিকেই জন্মদিন উদযাপনের জন্য বেছে নেওয়ায় জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হল। প্রতিবাদ উচ্চারিত হলো বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু খালেদা তার সিদ্ধান্তে অনড়ই থাকলেন। জন্মদিন উদযাপনের হৃদয়হীন চর্চা চালিয়ে গেলেন।এবার ঘটল ব্যতিক্রম! দেরিতে হলেও কুপরামর্শকদের কুপরামর্শের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এলেন খালেদা জিয়া। খালেদা তার কথিত জন্মদিন উদযাপন করা থেকে বিরত থাকছেন এবার। তিনি এবার আর কেক কাটবেন না। তার এই সিদ্ধান্তটি বড় এক ইতিবাচক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে তা শুভবোধের পথে যাত্রা শুরুরও ইঙ্গিত। এমন একটি সিদ্ধান্ত তিনি আরো আগেই নিতে পারতেন। তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈরিতার, রেষারেষির এতোটা বাড়বাড়ন্ত হতো না। দুটি বড় দলের মধ্যে আলাপ আলোচনা পথও পুরোপুরি বন্ধ হতো না। তবুও বেটার লেট দ্যান নেভার।বিএনপি এবার আরও একটি ইতিবাচক কাজ করতে পারে। আর সেটা হলো বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেওয়া। বাঙ্গালি জাতির এই মহান ত্রাতার নামটি হেলাফেলায় উচ্চারণ না করে নামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা� শব্দটি উচ্চারণ করা বা লেখা। বঙ্গবন্ধুকে কেবল শেখ মুজিব� বলাটা কোনোমতেই সুরুচির পরিচায়ক নয়। বিএনপির মনে রাখা উচিত বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়, সমগ্র দেশের—সমগ্র বাঙ্গালি জাতির চির গৌরবের অধিষ্ঠাতা। বিএনপি যদি এই উদারতাটুকু দেখায় তবে তাতে তাদের মানসিক উচ্চতাই প্রকাশ পাবে।খালেদা জিয়ার এই ইতিবাচক সিদ্ধান্তটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা মনে করি, বৈরিতার পথ থেকে সরে আসার ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা পালন করবে। এই সিদ্ধান্তের সুফল যেন রাজনীতিতে সুবাতাস ১৫ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের �চলমান সংকট, বন্যা পরিস্থিতি ও নেতা-কর্মীদের জেল-গুম-খুনসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার খালেদা জিয়ার জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান রোববার বিকেলে এ তথ্য জানান। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবস। তিনি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। অত্যন্ত নির্মমভাবে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।এদিন জাতীয় শোক দিবস। এই দিনের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বার্তা বহন করে। তিনি দলের চেয়ারপারসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।প্রতিবছর ১৫ আগস্ট গুলশানে নিজের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করে থাকেন খালেদা জিয়া। তাঁর এই জন্মদিন পালন করা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক আছে। জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। তারা এটিকে খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনও বলে থাকে।এবার এই দিনে কোনো অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতাদের অনেকে। দলের একটি সূত্র জানায়, এটি বিএনপির কৌশলগত রাজনৈতিক অবস্থান। গত বছরও দেশের পরিস্থিতি প্রায় একই ধরনের ছিল। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে কারাগারে ছিলেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছিলেন। মূলত এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন। মাহবুবুর রহমানএ বছর ১৫ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তাঁর দলের অনেক নেতাও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর দিনে ঘটা করে খালেদার জন্মদিন পালনে বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বিরক্তও ছিলেন।গত বছর জন্মদিনের প্রথম ক্ষণে খালেদা জিয়া কেক না কাটলেও ১৫ আগস্ট রাত নয়টার দিকে ঘটা করে কেক কেটেছিলেন। এবার জন্মদিনের কেক না কাটা বা অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপির নেতাদের অনেকে এ সিদ্ধান্তে খুশি।তবে দলটির সূত্র জানায়, এটি বিএনপির কৌশলগত রাজনৈতিক অবস্থান। গত বছরও দেশের পরিস্থিতি প্রায় একই ধরনেরই ছিল। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে কারাগারে ছিলেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছিলেন। মূলত এবার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন। এর মাধ্যমে বিএনপি বল আওয়ামী লীগের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিনের সব কর্মসূচি বাতিল করাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শুভ বুদ্ধির উদয় বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতাদের আশা, খালেদা জিয়া আর কখনোই ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করবেন না।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে, তাঁর শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, খালেদা জিয়া যদি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকেন, তাহলে তাঁর জন্যও ভালো, গণতন্ত্রের জন্যও ভালো। দলটির একজন সভাপতিমন্ডলী ও তিনজন সম্পাদকম-লীর সদস্য বলেন, দেশের চলমান �সংকট� ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়া এবার জন্মদিন উদ্‌যাপন না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তাঁদের মতে, খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এখন গর্তের মধ্যে পড়ে রয়েছেন। যেকোনো উপায়ে প্রধানমন্ত্রীর নৈকট্য ও আনুকূল্য পেতে চাইছেন তিনি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে শোকের, কষ্টের ও বিষাদের দিনটিকে বেছে নিয়েছেন। এ জন্য আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে জন্মদিনের কর্মসূচি বাতিলের কারণ হিসেবে শোক দিবসের কথা উলে।লখ না করায় খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তকে ভাঁওতাবাজি বলেছেন দলটির দুজন মধ্যমসারীর নেতা।জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্র বলেন, ১৫ আগস্ট যে খালেদা জিয়ার জন্মদিন নয়, এটা দেশের মানুষ জানে। তাই জন্মদিনের কর্মসূচি বাতিল করে তিনি বিরাট কাজ করে ফেলেছেন, এটা বলা যাবে না। আর তিনি কর্মসূচি বাতিলের যে দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন, তা ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারিভাবে এই দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ঠিক এই দিনেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদ্‌যাপন নিয়ে বিতর্ক আছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁর এই শুভবুদ্ধির উদয় রাজনীতির জন্য ভালো। কারণ, জাতীয় শোক দিবসে এ ধরনের কাজ দেশের মানুষ পছন্দ করে না। তিনি আরেক দিনও তো জন্মদিন পালন করতে পারেন। তিনি বলেন, �তাঁর (খালেদা জিয়া) জন্মদিন আসলে কোনটি, তা নিয়ে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত। বিভিন্ন নথিতে তাঁর জন্মদিন পাঁচটা। তাঁর উচিত আসল জন্মদিনের তারিখটা ঠিক করে জাতিকে জানানো। খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদ্‌যাপন শুরু করেন; তবে তা ছিল ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করা শুরু করেন।তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। বিএনপির শুভাকাকঙ্খী হিসেবে পরিচিত বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুরুাহ চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, খালেদা জিয়ার এ সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক। এটি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাঁর এ সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান। এখন আওয়ামী লীগ নেতাদেরও উচিত হবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ছোট করে বক্তব্য না দেওয়া।বিএনপির সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদ্যাপন শুরু করেন। তবে তা ছিল ঘরোয়া ও অনাড়ম্বর। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন উদ্যাপন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদ্যাপন করা শুরু করেন। সেই থেকে প্রায় প্রতিবছর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আনা কেক ১৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে কাটেন খালেদা জিয়া। তবে গত বছরের ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে কেক কাটার আয়োজন ছিল না। পরদিন ১৫ আগস্ট রাত ৯টায় গুলশানের কার্যালয়ে তিনি অঙ্গসংগঠনগুলোর আনা কেক কাটেন।





রাজনীতি এর আরও খবর

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ভোলার তানভীর শিকদার, বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ভোলার তানভীর শিকদার, বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন
দেশে ফিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান দেশে ফিরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান
মোহনপুর ইউপি উপনির্বাচন: সিইসি’র কাছে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ মোহনপুর ইউপি উপনির্বাচন: সিইসি’র কাছে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ
ভোলায় যুবদলের ৭ ইউনিটের আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা, মিষ্টি বিতরণ ভোলায় যুবদলের ৭ ইউনিটের আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা, মিষ্টি বিতরণ
চরফ্যাশনের দুই ইউপি নির্বাচনে ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১শ’ ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল চরফ্যাশনের দুই ইউপি নির্বাচনে ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১শ’ ১৪ জনের মনোনয়ন দাখিল
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
চরফ্যাশনে যুবদল নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম চরফ্যাশনে যুবদল নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম
চরফ্যাশনে যুবদল নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম চরফ্যাশনে যুবদল নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম
চরফ্যাশনে আসলামপুর নুরে  আলম মাস্টারের গণসংযোগ চরফ্যাশনে আসলামপুর নুরে আলম মাস্টারের গণসংযোগ
চরফ্যাশনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, মোটরসাইকেলে আগুন, আহত ৫০ চরফ্যাশনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, মোটরসাইকেলে আগুন, আহত ৫০

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।