রবিবার ● ২০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » সাত দিন পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চালু
সাত দিন পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চালু
স্টাফ রিপোর্টার: সাত দিন বন্ধ থাকার পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে শনিবার রাত থেকে ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ফেরিঘাট এলাকায় ¯্রােতের তীব্রতা এখনো কমেনি। ফলে ফের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেঘনা নদীর প্রবল ¯্রােতের ফলে ভোলা সদরের ইলিশা ফেরি ঘাটের পাইলিং ভেঙে যাওয়ায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এতে করে গত ১৩ মার্চ রবিবার বিকেল থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি সার্ভিস সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ফলে ওই দিন থেকে বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল। বহু যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ ভোলা ও লক্ষ্মীপুরের দুই পাড়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে পরিবহন শ্রমিকরা। কোটি কোটি টাকার কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যায়।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আলম হাওলাদার জানান, শনিবার রাতেই ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাটের পাইলিং মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়। শনিবার রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট থেকে ৩টি যাত্রীবাহী বাস ও ৭টি মালবাহী ট্রাক নিয়ে ফেরি কনকচাঁপা ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাটে যানবাহন লোড-আনলোড করার পর একইভাবে ওই ফেরিটি প্রায় ১০টি যানবাহন নিয়ে রাত ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাট ছেড়ে যায়। এরপর থেকে ফেরি কৃষাণী ও কনকচাঁপা ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে নিয়মিত চলাচল শুরু করে। তবে, ইলিশা ইউনিয়নের ফেরি ঘাট এলাকায় ¯্রােতের তীব্রতা এখনো কমেনি। ফলে ফের ভাঙনের আশঙ্কা রয়ে-ই গেছে। তাই স্থায়ীভাবে ফেরি ঘাটটি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা না হলে ফের ভাঙনের কবলে পড়বে এ ঘাটটি। এতে করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস ফের হুমকির মুখে পড়বে। প্রতিমাসে এ রুটে অন্তত দুই হাজার যানবাহন পারাপার হচ্ছে বলে জানান ফেরির এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, মেঘনা নদীর তীব্র ¯্রােতের তোড়ে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ফেরি ঘাটের পাইলিং ভেঙে যাওয়ায় গত ১৩ মার্চ রবিবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি সার্ভিস। এর আগে একই কারনে অন্তত ৫ বার এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ওই অঞ্চলের যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। ৭ দিন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও ব্যবসায়ীরা জানান। মেঘনা পাড়ি দিয়ে উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এ রুটটি।