রবিবার ● ২০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় থেমে নেই সহিংসতা, অফিসে হামলা-ভাঙচুর চলছেই
ভোলায় থেমে নেই সহিংসতা, অফিসে হামলা-ভাঙচুর চলছেই
স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ভোলায় নির্বাচনী সহিংসতা বাড়ছেই। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষ হয়েছে। সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুছ ফরাজীর পুকুরের পাড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রেজাউল করিম (টিউবওয়েল প্রতীক) জানান, তিনি তার নির্বাচনী গণসংযোগ শেষ করে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ইউনুছ ফরাজীর পুকুর পাড় এলাকায় ওই ওয়ার্ডের অপর মেম্বার প্রার্থী আবদুল খালেকের (তালা প্রতীক) কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার কর্মী-সমর্থক শাজাহান, ইয়াছিন, ইব্রাহীম, কাশেম, নিরব, জুয়েল, ফিরোজ, আমেনা, ফারুক, তানিয়া, সুফিয়া, শাহনাজসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মেম্বার প্রার্থী আবদুল খালেক (তালা প্রতীক) জানান, টিউবওয়েল প্রতীকের সমর্থকরা তাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। এতে তার সমর্থক মো. সকিব, আজিজল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, ছালাউদ্দিন, বাবুল, নাছির, মান্নান, মোশারফসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। উভয় পক্ষের আহত কর্মী-সমর্থকরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জেরহাট ও কাজীরহাট এলাকায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন নিরব হাওলাদারের (আনারস প্রতীক) দুইটি নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রব কাজীর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে নিবর হাওলাদার অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রব কাজীর লোকজন এখন সহিংসা চালাচ্ছেন। আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রব কাজী অবশ্য হামলা ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি রতন কৃষ্ণ রায় সংর্ঘের কথা স্বীকার করলেও অফিস ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন।