ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউপি চেয়ারম্যানের নির্বাচন বর্জন

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের (ধানের শীষ প্রতীক) চেয়ারম্যান প্রার্থী রাইসুল আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন। ২১ মার্চ দুপুরে তার বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা প্রদান করেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আগামী ২২ মার্চ (আগামীকাল) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ভোলা সদর উপজেলার ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনিত (ধানের শীষ প্রতীক) প্রার্থী রাইসুল আলম বিভিন্ন বাধা উপপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ২০ মার্চ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরকার দলীয় প্রার্থী লিয়াকত হোসেন মনসুর তার কর্মী বাহিনী নিয়ে ২টি গাড়ী ও শতাধিক মটরসাইকেল, আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও লাল রংয়ের লাঠি-সোটা নিয়ে পুরো ইউনিয়ন ও তার কর্মী-সমর্থকের উপর বেপরোয়াভাবে স্বসস্ত্র তান্ডব চালায়। এসময় তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে শতাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদে আহত করে।

 এছাড়াও প্রকাশ্যে গুলি করতে করতে ধানের শীষ প্রতীকের সকল প্রকার নির্বাচনী কার্যালয়গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। একই সাথে মটরসাইকেলের মাধ্যমে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। যদি ধানের শীষ প্রতীকের কোন কর্মী-সমর্থক ভোট কেন্দ্রে যায় তাহলে তাদেরকে গুলি করে প্রাণ নাশেরও হুমকী প্রদান করা হয়। এহেন পরিস্থিতে ধনের শীষ প্রতীকের নেতা-কর্মীরা জীবন রক্ষার্থে এলাকা ছেড়ে আতœগোপনে চলে গেছে। এ ঘটনাগুলো নির্বাচনের শুরু থেকে রিটার্নিং অফিসার, ভোলা নির্বাচন অফিসার, সদর মডেল থানার ওসি, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনারের কাছে অসংখ্যবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাহাতে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের নিরাপত্তার কাথা বিবেচনা করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছি।