শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
রবিবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » চরফ্যাশনের শুটকী ব্যবসায়ীদের দুর্দিন
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » চরফ্যাশনের শুটকী ব্যবসায়ীদের দুর্দিন
৫৬০ বার পঠিত
রবিবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চরফ্যাশনের শুটকী ব্যবসায়ীদের দুর্দিন

---

এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: মেঘনা-তেঁতুলিয়া ও বঙ্গোপসাগরে রূপালী ইলিশ ধরা পড়ায় চলতি মৌসুমে শুটকীর পল্লীতে ব্যবসায়ীদের দিন কাটছে বড়ই দুর্দিনে। তারা লাখ লাখ টাকা শুটকীর উপর দাদন দিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

বিছিন্ন দ্বীপ চরপাতিলা, চরকুকরি-মুকরি, ঢালচর ও দুলারহাট এলাকা হল শুটকীর পল্লী হিসাবে খ্যাত। এ মৌসুমে ব্যস্ত থাকেন শুটকী শুকাতে। গ্রাম-গঞ্জে মাছ না পাওয়া গেলে শুটকীর চাহিদা থাকে ব্যাপক।  শুটকী দিয়ে ভর্তা করা, সীম ও নতুন আলুসহ বিভিন্ন তরকারী দিয়ে রান্না করে ভাত খেত এ সকল অঞ্চলের মানুষ। নিজস্ব চাহিদা পুরণ করে ঢাকা, চট্রাগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হত। বর্তমানে বঙ্গোপসাগর, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় সাধারণ মানুষ মাছে ভাতে বাঙালী হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে শুটকীর চাহিদা হ্রাস পায়। এ সকল স্থান গুলো থেকে বিভিন্ন স্থানে শুটকী রপ্তানী করার জন্যে পর্যপ্ত পরিমান নৌ-যান ও খাল গুলোতে পানি না থাকায় রপ্তানী সম্ভাব হয়ে উঠেনা। ব্যবসায়ীরা এ শুটকী মাছ নিয়ে পড়ছে বিপাকে। গুণতে হচ্ছে লোকসান। দাদন দিয়ে তুলতে পারছেনা টাকা-পয়সা। অনেক ব্যবসায়ী ও জেলেরা মাছ ধরে রৌদ্রে শুকিঁয়ে শুটকী করে রপ্তানির আগ্রহ হারিয়ে অন্য পেশা ঝুঁকে যাওয়ার ভাবনা করেছেন বলে জানা গেছে।

চরপাতিলার শুটকী ব্যবসায়ী বাদশা জানান, তিনি ৩০ লাখ টাকা শুটকী মাছের উপর দাদন দিয়েছি। ইলিশের ফলে তার টাকা না উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। দুলারহাটের শুটকী ব্যবসায়ী ইকাবার হোসেন জানান, চরাঞ্চল থেকে শুটকী মাছ এনে আমরা বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করি। কিন্তু আমাদের ভূতার খালে পানি না থাকায় নৌ-যান দিয়ে শুটকী আনা সম্ভোব হয়না। সড়ক পথে শুটকী আনতে হলে ক্যারিং খরচ ২- ৩ গুণ বেড়ে যায়। এই সকল শুটকী ব্যবসায়ীদের দাবী সরকার এ সকল ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর দিয়ে দাতা সংস্থা গুলোর মাধ্যমে রপ্তানীর ব্যবস্থা করা হলে শুটকী ব্যবসায়ীরা লোকসানের কবল থেকে রক্ষা পেত বলে তারা ধারণা করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।