রবিবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » চরফ্যাশনের শুটকী ব্যবসায়ীদের দুর্দিন
চরফ্যাশনের শুটকী ব্যবসায়ীদের দুর্দিন
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: মেঘনা-তেঁতুলিয়া ও বঙ্গোপসাগরে রূপালী ইলিশ ধরা পড়ায় চলতি মৌসুমে শুটকীর পল্লীতে ব্যবসায়ীদের দিন কাটছে বড়ই দুর্দিনে। তারা লাখ লাখ টাকা শুটকীর উপর দাদন দিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বিছিন্ন দ্বীপ চরপাতিলা, চরকুকরি-মুকরি, ঢালচর ও দুলারহাট এলাকা হল শুটকীর পল্লী হিসাবে খ্যাত। এ মৌসুমে ব্যস্ত থাকেন শুটকী শুকাতে। গ্রাম-গঞ্জে মাছ না পাওয়া গেলে শুটকীর চাহিদা থাকে ব্যাপক। শুটকী দিয়ে ভর্তা করা, সীম ও নতুন আলুসহ বিভিন্ন তরকারী দিয়ে রান্না করে ভাত খেত এ সকল অঞ্চলের মানুষ। নিজস্ব চাহিদা পুরণ করে ঢাকা, চট্রাগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হত। বর্তমানে বঙ্গোপসাগর, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় সাধারণ মানুষ মাছে ভাতে বাঙালী হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে শুটকীর চাহিদা হ্রাস পায়। এ সকল স্থান গুলো থেকে বিভিন্ন স্থানে শুটকী রপ্তানী করার জন্যে পর্যপ্ত পরিমান নৌ-যান ও খাল গুলোতে পানি না থাকায় রপ্তানী সম্ভাব হয়ে উঠেনা। ব্যবসায়ীরা এ শুটকী মাছ নিয়ে পড়ছে বিপাকে। গুণতে হচ্ছে লোকসান। দাদন দিয়ে তুলতে পারছেনা টাকা-পয়সা। অনেক ব্যবসায়ী ও জেলেরা মাছ ধরে রৌদ্রে শুকিঁয়ে শুটকী করে রপ্তানির আগ্রহ হারিয়ে অন্য পেশা ঝুঁকে যাওয়ার ভাবনা করেছেন বলে জানা গেছে।
চরপাতিলার শুটকী ব্যবসায়ী বাদশা জানান, তিনি ৩০ লাখ টাকা শুটকী মাছের উপর দাদন দিয়েছি। ইলিশের ফলে তার টাকা না উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। দুলারহাটের শুটকী ব্যবসায়ী ইকাবার হোসেন জানান, চরাঞ্চল থেকে শুটকী মাছ এনে আমরা বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করি। কিন্তু আমাদের ভূতার খালে পানি না থাকায় নৌ-যান দিয়ে শুটকী আনা সম্ভোব হয়না। সড়ক পথে শুটকী আনতে হলে ক্যারিং খরচ ২- ৩ গুণ বেড়ে যায়। এই সকল শুটকী ব্যবসায়ীদের দাবী সরকার এ সকল ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর দিয়ে দাতা সংস্থা গুলোর মাধ্যমে রপ্তানীর ব্যবস্থা করা হলে শুটকী ব্যবসায়ীরা লোকসানের কবল থেকে রক্ষা পেত বলে তারা ধারণা করেন।