শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
মঙ্গলবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলার মেঘনায় বিলীন ৩ হাজার একর জমি: নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলার মেঘনায় বিলীন ৩ হাজার একর জমি: নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার
৪৯১ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভোলার মেঘনায় বিলীন ৩ হাজার একর জমি: নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার

 ---

মোকাম্মেল হক মিলন: ভোলার কৃষি-সম্মৃদ্ধ রাজাপুর ইলিশা ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে ধান কাটা সবজি আবাদের  কোনো ব্যস্ততা  নেই। ভাঙনে প্রায় হাজার একর জমি হারিয়ে অনেক কৃষক এখন দিন-মজুরে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ  থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাঙন উচ্চ  জোয়ারে এসব ফসলের খেত নষ্ট হয়ে গেছে।

ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্য, ২০১৫ সালে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব-ইলিশা রাজাপুর ইউপির ছয়টি মৌজার প্রায় আড়াই হাজার একর জমি  মেঘনা নদীতে বিলীন হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ  জোয়ারে আরও শত একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ওই জমিও আবাদযোগ্য নয়। সব মিলিয়ে হাজার একর জমিতে প্রায় হাজার মানুষ বসবাস আবাদ করত। সব কিছু হারিয়ে এখন তাঁরা নিঃস্ব¦ হয়ে পড়েছে।

পুর্ব-ইলিশা ইউনিয়নের কালুপুর ইলিশা  মৌজা এবং রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ-রাজাপুর, রামদাসপুর, ২৭ দাগ সুলতানী  মৌজা ঘুরে দেখা যায়, চার ভাগের তিনভাগ জমি ভাঙনে বিলীন। এখনও ভাঙছে। বাকী এক ভাগেও  কোনো ফসল নেই। জোয়ারে ভেসে যাওয়ার কারনে জমিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারীতেও ওই সব খেত সবজি শষ্যে ভরা ছিল।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বশির আহমেদ, ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকেরা জানান, গত বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভাঙন শুরু হয়। সেই ভাঙন এখনও চলমান। অনেক কৃষক কল্পনাই করতে পারেনি ভাঙন তাঁদের নিঃস্ব করবে। পানি ভাঙনে সবজি, তেলবীজ, আখ, আউশ আমন নষ্ট হয়ে যায়। কৃষি কার্যালয় থেকে সকল ইউনিয়নের মতো রাজাপুরে ৩৩৫ জন কৃষককে এবং পূর্ব-ইলিশায় ২৬০ কৃষককে ভর্তুকি হিসেবে গম, ভুট্টা, ফেলন   খেসারী এবং প্রয়োজনীয় সার দেওয়া হয়। তবে ভাঙন কবলিত কৃষকের জন্য বিশেষভাবে কোনো ভর্তুকি  দেওয়া হয়নি। সরেজমিনে কৃষকেরা তাঁদের বর্তমান দুর্দশার কথা জানান। কৃষি জমি হারিয়ে অধিকাংশ কৃষক দিনমজুর। কালুপুর গ্রামের সোবহান বলেন, তিনি তিন একর জমিতে আমনের চাষ করেছিলেন। জমিসহ সব জমিটুকু মেঘনায় ভেঙে গেছে।

কথা হয় দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কৃষক লিটনের সঙ্গে। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি জমি লগ্নি নিয়ে আগাম করল্লা, চিচিঙ্গা, শশা, খিরা, তরমুজ, মরিচ,  বেগুন, বরবটি-সিমসহ নানা রকম সবজি আবাদ করতেন। ছয় মাস আবাদ করে তিনি লগ্নিমূল্য শোধ করেও লাখ লাখ টাকা আয় করতেন। সেই জমি ফসলসহ  মেঘনায় ভেঙে গেছে। লিটন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘বাঙনে আমিও শ্যাষ, আমার মতো অনেক কৃষকও শেষ অইয়্যা গেছে।সে স্ত্রী,  ছেলেমেয়ে মিলে সাতজনের সংসার নিয়ে বেকার অবস্থায় আছেন। নতুন করে আবাদের জমিও পাচ্ছেন না বলে জানান।

দক্ষিণ রাজাপুরের আব্দুল মালেক বলেন, তাঁদের বাড়ি ঘর, পুকুরসহ একর জমি মেঘনায় বিলীন হয়েছে। ওই জমির এক একর জমি বছরে ৮০ হাজার টাকা লগ্নি দেওয়া হতো আগাম সবজি কৃষকদের। তাঁরা প্রায় ১২ মাসই সবজি ফলাতো বলে জানান।

দক্ষিণ রাজাপুরের কৃষক আমিন মিঝি বলেন, ‘৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চাষের জমি লগ্নি নিয়েছি, সেই জমি ফসলসহ ভেঙে গেছে। এখন তাঁকে সমিতির কিস্তি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কৃষিজমি বসতবাড়ি হারিয়ে শতকরা ৯০ ভাগ পরিবারের সদস্য দিনমজুর রিকসা চালানোর কাজ করছেন। অনেকে আবার বেকার। দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে এক হাজার মানুষ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের রাস্তার উপর, স্কুলের বারান্দায়, অন্যের বাড়ির উঠানে, ঘর ভাড়া নিয়ে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রামে  গেছেন কাজের সন্ধানে। অনেকে স্থায়ীভাবে চলে গেছে।

জানতে চাইলে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, রাজাপুর পুর্ব-ইলিশা ইউনিয়ন একটি কৃষি-সম্মৃদ্ধ এলাকা। ওই এলাকায় ১২ মাস সবজির চাষ হতো। প্রায় হাজার একর তিন ফসলি জমি  ভেঙে যাওয়ায় কৃষকদের ধান কাটা সবজি চাষের ব্যস্ততা নেই। তাঁরা এখন দিনমজুর; জমি হারিয়ে কৃষকেরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

এব্যাপারে ভোলা জেলা প্রশাসক  মো. সেলিম রেজা বলেন, ভাঙন কবলিত কৃষক পরিবারকে কোনো জমি  দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে ত্রান টাকা  দেওয়া হয়েছে।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।