বৃহস্পতিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » বিনোদন » ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণারও’
‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণারও’
ডেস্ক: কলকাতার ছবিতে অভিনয় করে সেখানকার দর্শকও মাতিয়ে চলেছেন এ দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী জয়া অহসান। সম্প্রতি কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সেখানকার ছবি ‘রাজকাহিনী’। ছবিটিতে অসাধারণ অভিনয় করে জয়া ব্যপক প্রশংসা পাচ্ছেন এ সময়ে। এ ছবির দর্শক গ্রহণযোগ্যতা, নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
‘রাজকাহিনী’ ছবি থেকে সাড়া কেমন পেলেন?
এটা সত্যি অবিশ্বাস্য ব্যাপার যে ছবিটি থেকে আমি এত বেশি প্রশংসা পাবো। মূলত ‘রাজকাহিনী’ দর্শকমহলে বেশ নাড়া দিয়েছে। আর সে জায়গায় ছবির অভিনয় শিল্পী হিসেবে দর্শকের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। সেটা প্রমাণ পেয়েছি ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে নানা রকম প্রশংসামূলক সংবাদ প্রকাশ হওয়ায়। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। ক্যারিয়ারে এটা আমার আরেকটা বড় অর্জন বলতে পারেন।
এরই মধ্যে কলকাতায় কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নতুন কোন ছবির কাজ কি হাতে রয়েছে?
দুটো ছবিতে অভিনয় করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটির নাম হলো ‘কণ্ঠ’। আরেকটির নাম ঠিক হয়নি। গল্প খুবই সুন্দর। আশা করছি রাজকাহিনী’র মতো এগুলোও দর্শক গ্রহণ করবেন।
দেশের গ-ি পেরিয়ে কলকাতায়ও অভিনয় করছেন। এ অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাই…
আসলে এটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা। কলকাতার ছবিতে কাজ করে কখনো মনে হয়নি আমি অন্য একটি দেশে কাজ করতে গিয়েছি। ইউনিটের সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক সবসময় বজায় থাকে সেখানে। এ পর্যন্ত সেখানে এমন সব মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি, যাদের প্রত্যেকেই অসাধারণ। কাজের ব্যাপারে সবাই যেমন সিনসিয়ার তেমনি অনেক সহযোগী পরায়নও বটে। এটা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।
দেশে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবির সিক্যুয়ালে কাজ করেছেন। এ ছবিটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
এ ছবির গল্পটা একটু ব্যতিক্রমী। ক্রিকেট নিয়ে। আমাদের দেশে এ ধরনের ছবি আর হয়নি। সত্যিকার অর্থে, একটা স্ট্রং গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মাণ হয়েছে। পাশাপাশি গানগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ সবাই দেখেছেন। সিক্যুয়াল ছবিটিও দেখবেন আশা করি। আমার বিশ্বাস, আগের ছবির মতো এটিও দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলবে ।
দেশে ফিরেই কি নতুন ছবির কাজ শুরু করেছেন?
হ্যাঁ, কলকাতা থেকে এসেই অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে নির্মাণাধীন ‘পুত্র’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছি। এটিও বেশ দারুণ একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে। কাজটা করে খুবই ভাল লাগছে।
নতুন আর কোন ছবির কাজ হাতে রয়েছে?
আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের কথা রয়েছে। ‘পুত্র’ ছবির কাজ শেষ করে সেগুলোতে হাত দেব। এর মধ্যে রয়েছে ‘খাঁচা’, ‘পারলে ঠেকা’ ও ‘বিউটি সার্কাস’।
দীর্ঘদিন টিভি মিডিয়ায় কাজ করেছেন। এখন চলচ্চিত্রে ব্যস্ত। দুইয়ের মধ্যে বিশেষ কোন পার্থক্য খঁুঁজে পেয়েছেন?
দুই ক্ষেত্রেই তো অভিনয় করতে হয়। যে চরিত্রে অভিনয় করি, সেটা ফুটিয়ে তুলতে হয়। পার্থক্য বলতে যেটা বুঝি তাহলো টেকনিক্যাল জায়গা। নাটকের ক্ষেত্রে যেটা এতটা আপগ্রেড না। চলচ্চিত্র তো অনেক বড় ব্যাপার। এখানাকার প্রযুক্তিগত জায়গাগুলো একটু আলাদা।
একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন?
আমি জানি না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার জন্য কতটুকু যোগ্য আমি ছিলাম। আমার ক্ষেত্রে বোনাস পাওয়া বলতে পারেন। তবে আমি আমার জায়গায় স্যাটিসফাইড। একাধিকবার চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। সত্যিই আমার জন্য এ প্রাপ্তিগুলো অনেক ভাললাগার। শুধু তাই নয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণারও।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
অভিনয়ের সঙ্গে আমার বন্ধন আজীবনের। ছিলাম, আছি, থাকবো। যতদিন আছি দর্শকের জন্য ভালো কিছু কাজ উপহার দিয়ে যেতে চাই। তাদের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবো। আজ আমার এ অবস্থানের পেছনে কিন্তু দর্শকরাই বড় একটি ভুমিকা পালন করেছেন। তারা যদি আমাকে গ্রহণ না করতেন তাহলে এতদূর হয়তো আসতে পারতাম না। তাই দর্শকের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা।