

রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার ও শিশু পার্কে পর্যটকদের ভিড়
চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার ও শিশু পার্কে পর্যটকদের ভিড়
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: শুক্র ও শনিবার সাপ্তহিক ছুটিসহ মোট ৫ দিন ঈদ -উল- আযহা উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছুটি ছিল। এ ছুটিকে কাজে লাগাতে চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল বিনোদন কেন্দ্র ও শিশু পার্কে পর্যটকদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। পৌর কর্তৃপক্ষ বিনোদন কেন্দ্রের চতুর পাশ ও মধ্যে রাইডস গুলোকে মনের মত বর্ণিল সাজে সাজিয়েছেন । ফলে সন্ধ্যার পরই ওই স্থানে জ¦লছে হরেক রকমের ঝিলিক বাতি ।
ভোলার সদর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর মহোনায় গড়ে উঠা এ কুকরী-মুকরীতে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর বন্যপ্রাণি অভয়াশ্রম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। সমুদ্র সৈকত, সামুদ্রিক নির্মল হাওয়া সব মিলিয়ে কুকরী-মুকরী বালুর ধুমে হারিণ, বানরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দেখা মিলে এই পর্যটক এলাকায়।
পৌর মেয়র শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে বিনোদনের জন্যে দর্শনার্থীরা এসে থাকে। কঠোর ভাবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে। জাতীয় দলের খেলোয়ার মেহেদী হাসান মিরাজ ঈদের পরদিন চরফ্যাশন শরীফ পাড়ায় আধুনিক মানের হোটেল মারুফ ইন্টারন্যাশনালে রাত্রিযাপন করে জ্যাকব টাওয়ার, শিশু পার্ক, ফ্যাসন স্কয়ারে ড্যান্সিং ফোয়ারাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন। শুধু চরফ্যাশন সদর আনন্দ বিনোদন কেন্দ্র তা নয় বিছিন্ন দ্বীপ চরকুকরী-মুকরী রয়েছে পর্যটকদের জন্যে এক দর্শণীয় স্থান।
চরফ্যাশন পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কামরুজ্জামান লিটন ডিজাইনে সম্পূর্ণ ইস্পাত দিয়ে নির্মিত ১৮ তলা বিশিষ্ট সু-উচ্চ জ্যাকব টাওয়ার ভূমিকম্প সহনীয়। রয়েছে ১৩ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক ক্যাপসুল লিফট। টাওয়ারে রয়েছে বাইনোকুলার। যার সাহায্যে পর্যটকরা চুড়ায় দাঁড়িয়ে ম্যানগ্রোভ বাগান কুকরী-মুকরী ও সমুদ্র সৈকতসহ চারদিকে পর্যবেক্ষণ ও উপভোগ করতে পারবেন। পৌর সভার বাস্তবায়নে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টাওয়ারে উঠতে ১শ টাকা টিকেট কাটতে হবে। পার্শবর্তী শেখ রাসেল বিনোদন কেন্দ্র ও শিশুপার্কের প্রবেশ টিকেট মাত্র ২০ টাকা। ভিতরে ৯টি রাইডস রয়েছে প্রতিটির টিকেট মূল্য ৩০ টাকা করে। পার্কের মধ্যে পুকুরে রয়েছে আকর্ষণীয় বড় আকাড়ের হাঁস। দু‘জন করে এই সকল হাস গুলোতে চড়ে আনন্দ উপভোগ করে সাধারণ দর্শনার্থীরা। পূর্ব থেকে সিরিয়াল দিয়ে রাখতে হবে। নচেৎ হাসে চড়ে আনন্দ নেয়া সম্ভাব হবেনা। বাড়ীতে গেলেও এই আনন্দ মিস করবেন কিন্তু?
ঢাকা উত্তরার থেকে আসা জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকার শ্যামলী শিশু মেলা যে রাইডস রয়েছে চরফ্যাশন শিশু পার্কেও একই রাইডস। এখানের রাইডস গুলো দেখতে আরো আধুনিক মানের মনে হয়েছে। তিনি শুক্র ও শনিবার দু‘দিন অবস্থান করে এসব সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন।
তিনি চরফ্যাশনের বেতুয়ার লঞ্চে ঢাকা রওয়ানা দিবেন বলে এই জানিয়েছেন। শীতে স্ব-পরিবারে আবার ঘুরতে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ঢাকা থেকে ৪ টি লঞ্চ নিয়মিত চরফ্যাশনে যাতায়াত করেছে। চরফ্যাশনে দৈনন্দিন পর্যটকরা এসে পৌর শহরে জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল বিনোদন কেন্দ্র ও শিশুপার্ক, ফ্যাসন স্কয়ারে গানে গানে মেতে উঠে ড্যান্সিং ফোয়ারা, খামার বাড়ী, বিছিন্ন দ্বীপ কুকরী-মুকরী দর্শণীয় স্থান গুলোতে অবস্থান করছেন। সাপ্তাহিক শুক্র ও শনিবারের ছুটিতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকে এ পর্যটন কেন্দ্র চরফ্যাশন এসে পর্যবেক্ষণ ও উপভোগ করে মুখরিত হয়ে চলে যাচ্ছে বলেও পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসান জানান।
-এফএইচ