শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শনিবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব » দেশে সন্ত্রাসী হামলার আশংকা: বিদেশী হত্যায় পুলিশ এখনো অন্ধকারে
প্রথম পাতা » বিশ্ব » দেশে সন্ত্রাসী হামলার আশংকা: বিদেশী হত্যায় পুলিশ এখনো অন্ধকারে
৫৩৬ বার পঠিত
শনিবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দেশে সন্ত্রাসী হামলার আশংকা: বিদেশী হত্যায় পুলিশ এখনো অন্ধকারে

 ---

ঢাকা: বাংলাদেশে পশ্চিমা দেশের নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর। ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার উচ্চ ঝুঁকি আছে। বিবিসির প্রতিবেদনে ছোট আকারের হামলার কথা বলা হয়। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের চলাচলের ওপর নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।এদিকে, বিদেশিদের ওপর হামলায় নতুন করে শঙ্কা প্রকাশ করে ব্রিটিশ নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার, তবে এ বিষয়ে কোনো শঙ্কার কিছু দেখছে না পুলিশ।অন্যদিকে, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান খান।শনিবার বিকেলে বিদেশিদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক যৌথ মহড়া শেষে কানাডিয়ান দূতাবাসের সামনে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।তিনি বলেন, দুই বিদেশি হত্যার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তদন্ত কমিটির সদস্যদের আলাদা আলাদাভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। হত্যার পর কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশিরা যাতে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করাতে পারে সেজন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।শুক্রবার যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ওপর আরো হামলা হতে পারে বলে দ্বিতীয় দফা সতর্কতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য নেই। কূটনীতিক পাড়ায় সিসি ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের ডিসি, এডিসিরা এ বিষয়টি দেখভাল করছেন। যৌথ মহড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশি নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে সোয়াদ, এপিবিএন, ডিএমপি যৌথ মহড়া দেয়া হয়েছে। তারা যেন নিরাপত্তার বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়।মহড়াটি গুলশান-১ এর পুলিশ কনকর্ড টাওয়ার থেকে শুরু হয়ে সংযুক্ত আবর আমিরাত, পাকিস্তান, সৌদি আরবের দূতাবাস এলাকা ঘুরে কানাডিয়ান দূতাবাসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, গুলশান জোনের পুলিশের ডিসি মুস্তাক আহমেদ, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, ডিবির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুন্তাসিরুল ইসলাম। বিদেশিদের ওপর হামলায় নতুন করে শঙ্কা প্রকাশ করে ব্রিটিশ নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার, তবে এ বিষয়ে কোনো শঙ্কার কিছু দেখছে না পুলিশ।শুক্রবার রাতে যুক্তরাজ্যের হালনাগাদ করা ভ্রমণবিষয়ক এই সতর্কতায় নতুন করে শঙ্কার একদিন পর শনিবার রাজধানীর ডিপ্ল্যোম্যাটিক জোনে সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ মহড়া শেষে এ কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশানার মারুফ হাসান খান।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইতালির নাগরিক সিজার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এখনও বলার মতো কিছু নেই। তবে প্রচেষ্টা চলছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের আশঙ্কার বিষয়টি তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কোনো আশঙ্কা দেখছে না পুলিশ। শঙ্কার কিছুই নেই। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একত্রে কাজ করছি, সে জন্য এই মহড়া দিলাম। এতে ডিপ্ল্যোম্যাটিক জোনের নিরাপত্তায় উৎসাহ বাড়বে। কাজে গতি বাড়াতেই এই উদ্যোগ। এছাড়া সরেজমিন দেখলাম পরিস্থিতি।যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বড় ধরনের হুমকি রয়েছে বাংলাদেশে। পশ্চিমাদের ওপর নতুন করে হামলা হতে পারে। তবে পুলিশ নিরাপত্তাহীনতার কোনো ভিত্তি দেখছে না। তারা তৎপর রয়েছে।এই নিরাপত্তা মহড়ায় এপিবিএন, থানা পুলিশ, ডিবি, সোয়াত বাহিনী, জোন নিরাপত্তা পুলিশ একত্রে অংশ নেয়।এদিকে, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রংপুর পুলিশ রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবীর। এ ঘটনায় আটক দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে নিজ সম্মেলনকক্ষে ব্রিফ করেন ডিআইজি। হত্যাকাণ্ডটি স্পর্শকাতর উল্লেখ করে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।ডিআইজি বলেন, হত্যাকাণ্ড তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহে ও এই মামলার তদন্তের জন্য খুঁটিনাটি বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এসব কারণে এ মুহূর্তে মামলার বিষয়ে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁদের চেষ্টা চলছে। আসল রহস্য বের করতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়া এলাকা থেকে আটক দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজশাহীর কুমারপাড়ায় ব্র্যাক ব্যাংক শাখার বিক্রয় ও সেবা কর্মকর্তা (সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার) সুলতান নাহিদ ও একই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কর্মকর্তা এইচ এম শাহরিয়ার। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাবনা থেকে সুইট হোসেন (৩৩) নামের এক যুবককে একই দিন আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ওয়েবসাইট এবং বিবিসির প্রতিবেদনে আলাদাভাবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার কথা বলা হয়। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উচ্চমাত্রার ঝুঁকির কথা বলা হয়। আর বিবিসির প্রতিবেদনে ছোট আকারে হামলার কথা বলা হয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও কূটনৈতিক এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে। সারা দেশে অবস্থানরত বিদেশীদের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। আশা করি এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটবে না। বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার বিদেশী নাগরিকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে সরকার কূটনীতিকদে আশ্বস্ত করার ৩ দিনের মাথায় যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে নতুন এ সতর্কবার্তা এলো।সম্প্রতি দুজন বিদেশী নাগরিককে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শুক্রবার ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।তবে সরকার বলে আসছে, দুই খুনের সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, আইএস বা তেমন কোনো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বাংলাদেশে নেই।প্রধানমন্ত্রীর সন্দেহ, যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত থাকতে পারে।ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সফরকারীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়। বিশেষ করে যেসব অনুষ্ঠানে পশ্চিমা দেশের নাগরিকরা সমবেত হন, সেগুলোতে যোগদানের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ান ফরেন মিনিস্ট্রি বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করে। ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক খুন হন। এরপর ব্রিটিশ হাইকমিশন তার দেশের নাগরিকদের জন্য অ্যালার্ট জারি করে। এ অবস্থায় ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানের নাগরিক খুন হন।এদিকে, বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছোট আকারের সন্ত্রাসী হামলায় দেশের স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে এবং অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দুই বিদেশী হত্যার পর মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা ও ব্যাপটিস্ট মিশনের এক ফাদারকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়,২৮সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে ইতালীয় নাগরিক সিজারি তাভেল্লাকে হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে এসে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এর ৫ দিন পর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি রিকশায় নিজের গড়ে তোলা খামারের যাচ্ছিলেন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা এসব হামলার দায় স্বীকার করে। কিন্তু বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।৫ অক্টোবর পাবনার ঈশ্বরদীতে ব্যাপটিস্ট মিশনের ফাদারকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। তিন দুর্বৃত্ত এসে তার গলা কাটার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনের এক কর্মীকে গ্রেফতার করে। ওই দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের আগে বাংলাদেশে এ বছর চার ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারকে হত্যা করা হয়। যা সত্যিই বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব হামলার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ের হামলাগুলোতে বিদেশীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। এর অর্থ হল- বাংলাদেশ ভ্রমণকারী যে কেউ এ হামলায় পড়তে পারে। বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব হামলার পর বাংলাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও। এতে বলা হয়, এসব হামলার পর দুই-তৃতীয়াংশ পর্যটক তাদের হোটেলের রুম বুকিং বাতিল করে। এনজিওগুলো তাদের স্টাফদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- তৈরি পোশাকের অনেক বায়ার বাংলাদেশে আসা বাতিল করে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর বাতিল করে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তথাকথিত ইসলামী গোষ্ঠীর হামলার কথাও প্রতিবেদনে উঠে আসে।বাংলাদেশ সরকার আইএসের উপস্থিতি অস্বীকার করেছে। আইএস যে এ ধরনের হামলা করেছে তার প্রমাণও নেই বলে সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়। এসব হামলার ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারিভাবে বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ সরকারের তৎপরতা প্রশংসার দাবি রাখে।গত মঙ্গলবার সকালে রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী খান ওরফে বিপ্লব এবং কুনিওর খামারের সহযোগী হুমায়ুন কবিরকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আজ বিপ্লবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।কুনিওর মরদেহ রংপুরে দাফন করার প্রস্তুতির খবর নিয়ে ও শহরজুড়ে আলোচনা ছিল। মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।৩ অক্টোবর সকালে খামারে যাওয়ার পথে রংপুর শহরের উপকণ্ঠে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের কাচু আলুটারি গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন তিনি।এই হত্যাকাণ্ডকে কাপুরুষোচিত বলে আখ্যা দিয়ে এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তও প্রত্যাশা করছে দেশটি। জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি (৬৬) হত্যার তদন্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। ঘটনারকয়েক দিন কেটে গেছে, এখন পর্যন্ত হত্যার কোনো সূত্রই মেলেনি। পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, নিহত কুনিও ২০১১ সাল থেকে রংপুরে আসতেন। তাঁর বিষয়ে সব ধরনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।তবে এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গেও তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। একজনের স্বজন পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছেন। একজন পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি। আর জেলা বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার দাবি তাঁদের স্বজনেরা করলেও পুলিশ এখনো বিষয়টি স্বীকারই করেনি। এসব বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কথাও বলছেন না।গত শনিবার রংপুর শহরের উপকণ্ঠে কাউনিয়ার কাচু আলুটারি গ্রামে মোটরসাইকেল আরোহী তিন ব্যক্তি কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে। ওই দিনই কুনিওর বাড়িওয়ালা এ কে এম গোলাম জাকারিয়া, রিকশাচালক মুন্নাফ আলী, কুনিওর অংশীদার হুমায়ুন কবীর ও প্রত্যক্ষদর্শী মুরাদ হোসেনকে (যাঁদের বাড়ির সামনে হত্যাকাণ্ড ঘটে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হন গোলাম জাকারিয়া। তিনি পুলিশ প্রহরায় সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হাতে আটকদের একজন হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী পারভিন খাতুন গতকাল অভিযোগ করেন, তিন দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। থানায় গেলে পুলিশ তাঁর সঙ্গে বাজে আচরণ করছে, তাড়িয়ে দিচ্ছে।এ বিষয়ে পুলিশের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চাননি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।