শুক্রবার ● ২ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ‘দুই-তিন বছরে জাপানে রফতানি ২০০ কোটি ডলারে’
‘দুই-তিন বছরে জাপানে রফতানি ২০০ কোটি ডলারে’
ঢাকা • আগামী দুই-তিন বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার অব ইকোনমি, ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইয়োশিহিরো সেকি (Yoshihiro Seki)-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দু’টি পণ্য (অস্ত্র ও গোলাবারুদ) ছাড়া জাপান বাংলাদেশের সকল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। বর্তমানে জাপানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ডলার। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে এটা ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে।’ রফতানির বাড়ার সম্ভাবনা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার রফতানিতে জাপান তাদের রুলস অব অরিজিন দুই স্তর থেকে এক স্তরে নামিয়ে এনেছে। এর ফলে জাপানে বাংলাদেশের পোশাক খাতের রফতানি বাড়বে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘জাপানী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য গাজীপুরে ৫০০ একর জমি অথবা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার ৫০০ একর জমি নির্ধারিত করে রাখা হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করা হলে আমরা লাভবান হব।’ বর্তমানে ইপিজেড-এ ২৯টি কোম্পানি এবং সারাদেশে দুই শতাধিক জাপানী প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় জাপানের কাছে চীন ছিল +১, তার পরিবর্তে এখন থাইল্যান্ড +১ দেশ হিসেবে চিহ্নিত। আমি বাংলাদেশকেও +১ ক্যাটাগরিতে রাখার জন্য জাপানকে অনুরোধ জানিয়েছি।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাপান অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জাপান আমাদের সহায়তা দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতির পাশাপাশি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাপান আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করেছে। আগামীতে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়বে।’