শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শুক্রবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ:পথে পথে অন্তহীন ভোগান্তি
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ:পথে পথে অন্তহীন ভোগান্তি
৫৭৮ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ:পথে পথে অন্তহীন ভোগান্তি

 ---

ঢাকা• শুক্রবার ঈদ তাই যে কোন মূল্যে বাড়ি যেতে হবে তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে শেষ মুহুর্তে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে বৃহস্পতিবারও বাড়িফেরা মানুষের ভিড়। একই অবস্থা লঞ্চ ও বাস টার্মিনালেও। যানবাহনের চাপে যানযটের সৃষ্টি হয়েছে সাভারের আশুলিয়া-বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর ও গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। এছাড়া কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া, পাটুরিয়া- দৌলদিয়া ও আরিচা ফেরিঘাটে রয়েছে দীর্ঘ যানবাহনের সারি। বুধবার বিকালে রওনা দিয়ে এখনও এসব ঘাট পার হয়নি এমন যানবাহনের সংখ্যা প্রায় প্রায় হাজারের ওপর। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়াকে সিতাকুন্ড, মিরসরাই, কুমিল্লা বিশ্বরোড, দাউদকান্দি, সোনারগাঁও, কাচঁপুরে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। কোন ট্রেনই সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে না। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় বুধবার থেকেই চলে এখনও অব্যাহত।মহাসড়কগুলোতে যানজটের কারণে বিভিন্ন রুটের বাস ঢাকায় ঢুকতে দেরি হচ্ছে। এমনটি ছিল গত কয়েকদিন ধরেই । একই অবস্থা ভোরের প্রথম প্রহর থেকেও।পথে পথে যানজটে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের গাড়িগুলো যানজটে পড়ে ধুকেধুকে চলছে। কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া, আরিচা, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় ঈদের আনন্দ ম্লান হচ্ছে পথের ক্লান্তিতে। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ফাঁকা আমেজ থাকলেও কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনালে নেমেছে বাসের জন্য অপেক্ষারত হাজারো যাত্রীর ঢল।পরিবহন সঙ্কট আর তীব্র যানজটে এদের অনেকের মনে উঁকি দিয়েছে নতুন শঙ্কা- বাড়ি যাওয়া হবে তো? বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কল্যাণপুর থেকে গাবতলী সড়কের দুইপাশের ফুটপাতেও দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের দীর্ঘ সারি। কাউন্টারগুলোর সামনে আছে মানুষের ছোটো-বড় জটলা।অগ্রিম টিকেট যারা কেটেছেন তারাও জানেন না ঠিক সময়ে আদৌ গাড়ি ছাড়বে কিনা। যাদের টিকেট নেই তারা লোকাল বাস কিংবা ট্রাকে চড়ে গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করছেন।হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসে করে জয়পুরহাট যেতে আগেভাগেই কাউন্টারে এসেছেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন। জানালেন, বাস কখন ছাড়বে, কখন বাড়ি পৌঁছাবেন তা নিয়ে আছেন শঙ্কায়।তিনি বলেন, বাস স্ট্যান্ডেতো আসলাম। দেখি কখন বাস ছাড়ে, কখন বাড়ি পৌঁছি। রাস্তায় অবস্থা সুবিধার না, কতক্ষণ যে লাগবে!বাংলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র দর্শনাগামী রাসেল বলেন, সাড়ে ১০টার গাড়ি ১২টায়ও ছাড়েনি। কখন ছাড়বে তারও ঠিক নাই। আবার রাস্তায় যে যানজট, ঈদ মনে হয় রাস্তাতেই করতে হবে।গন্তব্যে পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বরিশাল ও দর্শনাগামী সোনারতরী পরিবহনের কাউন্টারের মাস্টার আলী হাসান বলেন, জ্যাম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি তার সবটাই আছে রাস্তায়। কোনো গাড়িই তো নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারতেছে না। তার গাড়ির যাত্রীরা ঈদ জামাতের আগে বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা এ শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, তাদের সকাল ৭টার গাড়ি ছাড়া হয়েছে সাড়ে ১০টায়, নয়টার গাড়ি এখনো অপেক্ষায় আছে।পরিবহন সঙ্কটের কথা বিবেচনায় নিয়ে অনেকে আবার ঢাকায় চলাচল করা লোকাল বাসগুলোকে রিজার্ভ করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এই ধরনের একটি বাস � বৈশাখী�র যাত্রী আবুল কালামের সঙ্গে কথা হয় গাবতলী বাস টার্মিনালে। তিনি জানান, আগে থেকে টিকেট কাটা না থাকায় কয়েকজন মিলে এই বাসের চালকের সঙ্গে কথা বলি।পরে আরও কিছু যাত্রী নিয়ে বাসটি এখন সিরাজগঞ্জের ‍উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়াকে সিতাকুন্ড, মিরসরাই, কুমিল্লা বিশ্বরোড, দাউদকান্দি, সোনারগাঁও, কাচঁপুরে গতকাল বিকাল থেকে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।এদিকে আজও কমলাপুর রেলস্টেশনে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়।কোন ট্রেনই সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে না। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় চলে এখনও অব্যাহত।মহাসড়কগুলোতে যানজটের কারণে বিভিন্ন রুটের বাস ঢাকায় ঢুকতে দেরি হচ্ছে। এমনটি ছিল গতকালও। একই অবস্থা আজ েেভারের প্রথম প্রহর থেকেও।পথে পথে যানজটে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের গাড়িগুলো যানজটে পড়ে ধুকেধুকে চলছে। কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া, আরিচা, পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় ঈদের আনন্দ ম্লান হচ্ছে পথের ক্লান্তিতে।ঈদের ছুটি বুধবার থেকে শুরু হওয়ায় অনেকে সময়ের স্বল্পতার কারণে বুধবার এবং আজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এবং হচ্ছেন। কিন্তু রাজধানী থেকে বের হতেই তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা বাড়ি ফিরছেন, তাদের কষ্ট-ক্লান্তির শেষ নেই। ব্যাগ-ব্যাগেজ হাতে এসব মানুষ বৃষ্টি ও কাদাপানিতে নাকাল হয়ে পড়ছেন। ঘরে ফেরার যুদ্ধে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে আসছে।বুধবার দুপুরে রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানী থেকে বের হওয়ার চারটি মুখে তীব্র যানজট লেগে আছে। একই অবস্থা সকালেও দেখা গেছে। অধিকাংশ পোশাক শ্রমিক বুধবার বিকাল ও আজ সকালে বাড়ি ফিরছেন। তাদের চাপ অনুভূত হচ্ছে সহজেই। টার্মিনালগুলোতে যেতেই যাত্রীদের অনেক ধকল সহ্য করতে হচ্ছে। এরপর দূরপাল্লার গাড়িতে উঠে বসে থাকতে হচ্ছে আবার মহাসড়কে যানজটের কারণে দূরপাল্লার বাস টার্মিনালে না আসায় অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে দেখা গেছে। সর্বশেষ কমলাপুর: ঈদযাত্রার শেষ দিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সূচি বিপর্যয়ের সঙ্গে যাত্রী হয়রানি ও নানা বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীন আচরণ ও উদাসীনতার কারণেই এ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।শুক্রবার ঈদের আগেই গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য বৃহস্পতিবার সকালে থেকে অসংখ্য মানুষ স্টেশনে জড়ো হতে শুরু করেন।ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রী জানান, সকাল থেকে দিনের প্রথম ভাগে কোনো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে না ছাড়ায় সূচি এলোমেলো হয়ে যায়।আগাম টিকেটের যাত্রীদের পাশাপাশি আসনবিহীন টিকিট এবং টিকিটবিহীন যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে সকাল ১০টার দিকে প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে জনসমুদ্র। হাতে টিকেট থাকার পর ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রী কাঙ্ক্ষিত ট্রেনে চড়তে পারেননি।সকাল ৬টা ২০ মিনিটের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের জন্য বেলা ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরও নির্ধারিত কেবিনে উঠতে পারেননি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইয়াসমিন আহমেদ। যে বগিতে তার কেবিন, সেখানে দাঁড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ হয়নি তার।বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে স্টেশনে বসানো র‌্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযোগ করতে গেলে ইয়াসমিন আহমেদকে তারা স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।ইয়াসমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন খুলনা যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের অনেক যাত্রীকেও একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়। তবে ততক্ষণে ট্রেন চলে যাওয়ায় সমস্যার সমাধান আর হয়নি।রেলের ডিজি খলিলুর রহমান অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, তাদের বাধা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাধা দিলে সিন ক্রিয়েট হবে।রংপুরের যাত্রী আবু হুরায়রা। সকাল থেকেই কমলাপুরে অবস্থান নিয়েছেন ট্রেন ধরার আশায়। ঈদ স্পেশাল-১ ট্রেনে টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কখন সে ট্রেন আসবে তার কোনো উত্তর মিলছে না।পুরো কমলাপুর রেলস্টেশন জুড়ে যাত্রীদের এমনই হা-হুতাশ। যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের আগে এসে পৌঁছালেও ট্রেনগুলোর দেখা মিলছে না। আর যে দু�একটি আসছে, থামার আগেই তাতে উপচে পড়ছে ভিড়।চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকায় প্রবেশ করে। সেটি ছাড়তে আরো কিছুক্ষণ দেরি হবে বলে জানালেন যাত্রী হাসিবুল আশরাফ। পেশায় চাকুরীজীবী এই যাত্রী বলেন, পথের সকল দুর্ভোগের কথা জেনেই বাড়ির পথ ধরেছি। শুধুমাত্র পরিবারের কাছে পৌঁছানোর আশায়। ট্রেনে টিকিট কাটলেও ভিড়ের কারণে নিজের সিটের কাছে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য ট্রেন ছাড়ার নির্ধারতি সময়ের দেড় ঘণ্টা আগেই স্টেশনে এসেছি। জানি না কখন ট্রেনটি ছাড়বে। আর কখনই বা গন্তব্যে পৌঁছাবে।এভাবেই কমলাপুর স্টেশন জুড়ে মানুষের অপেক্ষা। কোনো একটি ট্রেন এসে থামলেই সেটির যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে গিয়ে উঠছেন তাতে। সবারই লক্ষ্য, কোনো রকমে নিজের আসনটি দখল করা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন যারা পরিবার নিয়ে উঠতে যাচ্ছেন তারা। চট্টলা ট্রেনটি এসে থামার সঙ্গে সঙ্গেই যেদিক থেকে পারেন সেদিক থেকেই যাত্রীদের উঠতে দেখা গেছে। কেউ জানালা, কেউ দরজা দিয়ে বগিগুলোতে ওঠার চেষ্টায় রত। অন্যদিকে ছাদে ওঠার প্রতিযোগিতাও চলছে। নিরাপত্তাকর্মীরা একদিক থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন, অন্যদিকের ছাদ ভরে যাচ্ছে যাত্রীতে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা কর্মীরাও হিমসিম খাচ্ছেন। তবে মানুষকে আটকানো দায় বুঝতে পেরে এ অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করছেন কোনো কোনো নিরাপত্তা কর্মী। ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ৫০১ নম্বর ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ঢাকায় আসার কথা সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটির খবর নেই। এ ট্রেনটিরই আবার ঢাকার যাত্রী নিয়ে ইশ্বরদী যাওয়ার কথা। যাত্রীরাও স্টেশনে অপেক্ষমান। সাবিনা খাতুন নামে এ ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা এক যাত্রী বলেন, নিরাপদে যাওয়ার জন্যই ট্রেনে যেতে চাই। কিন্তু ট্রেনটি এখনো ঢাকাতেই পৌঁছেনি। কাল ঈদ। জানি না আদৌ তার আগে বাড়ি পৌঁছাতে পারবো কি-না। চারদিক থেকেই পথের নানা ভোগান্তির খবর পাচ্ছি। রেল কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগের দিন স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়েন। এ কারণে সারা দেশের রেলপথ, সড়কপথ, নৌ-পথ সবই ব্যস্ত থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আমরা সচেতন আছি, যাতে যাত্রীদের অপেক্ষা দীর্ঘ না হয়। কমলাপুরে কথা হয় এগারসিন্দুর প্রভাতী, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, কাকলী এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, সিল্ক সিটিসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে। রুট ভিন্ন হলেও এখানে সবাই আছেন ট্রেনের অপেক্ষায়। তবে এসব যাত্রীদের নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ছাড়াও রেলওয়ের দু�টি নিরাপত্তা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে বলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।সদরঘাট: লঞ্চ, পল্টুন, ঘাট ও সদরঘাটগামী রাস্তা জুড়ে মানুষ আর মানুষ। রাস্তা দেখে মনে হবে, কোনো মিছিল বা সমাবেশ। আসলে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে সদরঘাটে।বৃহস্পতিবার সদরঘাট এলাকায় এ চিত্র চোখে পড়ে। লঞ্চের ডেকে, ছাদে, সিঁড়ির ওপর-নিচে, প্রবেশ পথে, এমনকি সাইলেন্সারের পাশেও যাত্রী। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পল্টুনে হাঁটা যায়না যাত্রীদের চাপে। পল্টুন থেকে ঘাটের সিঁড়িতেও মানুষ। রাস্তায় ঘাটমুখী মানুষ।সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, যে যার মতো করে লঞ্চে বসে পড়েছেন। কেউ লঞ্চের ডেকে সিট পেয়েছেন, কেউ ছাদে। কেউবা আবার সিঁড়িতে,প্রবেশ পথে। অনেকে সাইলেন্সারের পাশেও বসেছেন। আবার গন্তব্যের লঞ্চের আসায় পল্টুনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় অনেকে। সবার গন্তব্য একই। আপনজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি এবং ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে কোরবানি দেওয়া।এদিকে, যাত্রীদের চাপের সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে লঞ্চগুলো। যে যার মতো দ্বিগুণ বা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।এমভি সৈকত-৯, ঢাকা থেকে আমতলীগামী লঞ্চ। উঠতেই প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছেন তিন-চারজন নারী। কথা বলে জানা যায়, তারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। স্বামী-সন্তান-বাবা-মার সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি যাচ্ছেন। প্রবেশ পথে কেন দাঁড়িয়ে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাজিয়া নামের এক নারী বললেন, ভেতরে প্রবেশের জায়গা নেই। কোনোভাবে প্রবেশ করতে পারলেও বসার সুযোগ নেই। লঞ্চ ছাড়লে এখানেই (প্রবেশপথ) বসে পড়বো।ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ডেকে ভাড়া নেয় ১৫০-২০০ টাকা। এখন ৩৫০ টাকা করে নিচ্ছে। লঞ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অবশ্য তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। এক কর্মকর্তা বলেন, কেবিনে সিঙ্গেল ১৫০০, ডাবল ২৫০০ টাকা। তবে, স্বাভাবিক সময়ে সিঙ্গেল ৮০০, ডাবল ১৫০০ টাকা নেওয়া হয়।এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী বহন বা ছাদে যাত্রী নেওয়া আইনত দণ্ডনীয় হলেও মিতালী-৬ (ঢাকা-মুলদি), পারাবত (ঢাকা-বরিশাল), পূবালী (পটুয়াখালী-গলাচিপা), দ্বীপরাজ (ঢাকা-মাদারীপুর), প্রিন্স আওলাদ-৪ (ঢাকা- মৌলভিরহাট), এমভি ফারহান-৬ (ঢাকা-চারফ্যাশন), এমভি টিপু-৬ (ঢাকা-দৌলতখা) সবগুলো লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে ছেড়ে গেছে।এদিকে, পারাবত (ঢাকা-বরিশাল) লঞ্চে যখন পা ফেলার সুযোগ নেই তখন মাইকে ঘোষণা আসছে, এখন পারাবত বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। যারা বরিশাল যাবেন, পারাবতে উঠেন।তবে যাত্রীর তুলনায় লঞ্চের সংখ্যা কম। কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের লঞ্চের অপেক্ষায় হাজার হাজার যাত্রী পল্টুনে, পল্টুনের সিঁড়িতে ও ঘাটে অপেক্ষা করছেন। পল্টুনে যুবকদের একটা জটলায় কথা বলে জানা যায়, তারা বায়িং হাউজে কাজ করেন। যাবেন পটুয়াখালী। দু�ঘণ্টা অপেক্ষা করেও লঞ্চ পাচ্ছেন না। বিআইডব্লিউটিএ�র অনুসন্ধান কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী ওই সময়ে পটুয়াখালী বা ভোলাগামী কোনো লঞ্চও নেই। মানুষের চাপের কারণে পরিস্থিতি সমাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিব্লউটিএ) এবং আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের।নৌ-পুলিশ, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। যাত্রীদের সতর্ক করতে মাইকিং, প্রজেক্টরে ভিডিও প্রদর্শন ও লঞ্চে সিডি সরবরাহ করে সতর্কতা দিচ্ছি। তারপরও অনেক নিয়মই লঙ্ঘন হচ্ছে। আজ কয়েক লাখ যাত্রী মুভ করবে। এজন্য অনেক নিয়মই পালন হচ্ছে না, হবেও না।অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে একটা তেলেসমাতি কাণ্ড চলে। সরকার থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। কারণ লঞ্চগুলো স্বাভাবিক সময়ে ৯০ থেকে ২০০ টাকায় ভ্রমণ করা যায়। আর সরকার নির্ধারিত ভাড়া ২৫৫ টাকা। এখন তারা অনেকেই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা নিচ্ছেন। আমাদের কিছু করার থাকে না। মইনউদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে অনেক বেশি চাপ ছিল। এখন একটু কম। তবে দুপুরের পরে আরেকটু চাপ পড়তে পারে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন বলেন, গতকাল (বুধবার) গার্মেন্টসগুলো ছুটি হওয়ায় যাত্রীদের চাপ একটু বেশি। রাতে ১০ হাজার যাত্রী ঘাটে ছিল। সকালেও আসছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত (সোয়া ১০টা পর্যন্ত) ৩৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। গতকাল ১৩২টি লঞ্চ আমরা ছেড়েছি। আজও সমপরিমাণ লঞ্চ ছেড়ে যাবে।অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না বলে দাবি তার। অতিরিক্ত যাত্রীবহনের বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, কিন্তু চাপের কারণে কিছু করার থাকে না বলেও জানান জয়নাল আবেদিন।বিআইডব্লিউটিএ�র চার্টার অনুয়ায়ী, দেশের বিভিন্ন গন্ত্যব্যে যাওয়ার জন্য ১৭৯টি লঞ্চ আছে। তারমধ্যে বিভিন্ন শিডিউলে দৈনিক ৯৩টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যায়।এদিকে, গাজীপুরের চন্দ্রায় বুধবার থেকে তীব্র যানজট লেগে আছে। গাড়ির চাকা ঘুরছে, আবার ঘুরছে না। গাড়িচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাত ৯টায় গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো বৃহস্পতিবার সকাল চন্দ্রা পার হতে পারেনি। আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে টাঙ্গাইলগামী গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এ ছাড়া গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে উত্তরবঙ্গগামী গাড়িগুলো চন্দ্রায় এসে থমকে যাচ্ছে।যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতি বছর যাত্রী ও গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু রাস্তার কোনো উন্নয়ন নেই। সরু রাস্তা দিয়ে আর কতই বা গাড়ি চলতে পারে। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য রাস্তা প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। এদিকে বৃষ্টি ও কাদাপানিতে ধীরে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। ভ্যাপসা গরম এবং যানজটে পড়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ফলে প্রচন্ড যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাভার, মানিকগঞ্জ, নবীনগরজুড়ে দীর্ঘ যানজট। কাদাপানিতে রাস্তার অবস্থা ভালো না থাকায় গাড়িও ধীর গতিতে চলছে।অপরদিকে পাটুরিয়া ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আট থেকে ১০ ঘণ্টা ঘাটে বসে পার হচ্ছে যাত্রীদের। বেশির ভাগ ঘরমুখো মানুষ বুধবার রওনা হয়েছে। যে কারণে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো আটকে যাচ্ছে ঘাটে গিয়ে। একদিকে গাড়ির চাপ, অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া, সব মিলে পথে পথে কেটে যাচ্ছে ঈদের আগের দিন। এখন যাত্রীদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে, ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছানো যাবে আর রাস্তা জুড়ে নানা ধরনের ভ্রমণের তিক্ত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর ফেরত এসব কর্মজীবী মানুষকে। রাজধানীর নর্দান ফ্যাশনে কাজ করেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রিনা বেগম। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যেতে ঠাকুরগাঁও এক্সপ্রেসের একটি বাসে উঠেছেন তিনি। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও এক্সপ্রেসের (শিরীন) ওই বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৬৫৯২) ছাড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় পৌঁছায় বাসটি। সেখানে গিয়েই বাসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বারবার চেষ্টা করেও ইঞ্জিন স্টার্ট করতে পারছিলেন না বাসের চালক। এরপর বাস থেকে নেমে স্থানীয় মায়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের পার্কিং এলাকায় অপেক্ষা করছেন রিনা। শুধু রিনাই নয়, তার মতো শতাধিক যাত্রী বাড়ি ফেরার আকুতি নিয়ে রাস্তার পাশে রোদে পুড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। রিনা বেগম বলেন, ঢাকা থেকে বাসটি সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়েছে সাড়ে ১১টায়। এরপর রাস্তায় এসে আবার ইঞ্জিন বিকল। টিকিটের টাকা নিয়েছে ১১শ� টাকা। টাকাও ফেরত দিচ্ছে না আবার বাসও সারাচ্ছে না, কীভাবে যে বাড়ি পৌঁছাবো, তাই ভাবছি।এদিকে ইঞ্জিন মেরামত কিংবা সচল বাস এনে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চালক-সুপারভাইজারকে বারবার চাপ দিচ্ছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী ক্ষুব্দ হয়ে চালক-হেলপার ও সুপারভাইজারকে তেড়ে মারতেও যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, নির্ধারিত ভাড়ার থেকে ঈদ উপলক্ষে ভাড়া নেওয়া হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। আবার বাসও আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তারা এও বলেন, এমন একটা জায়গায় এসে বাস নষ্ট হয়েছে, যেখানে কোনো যানবাহনই নেই। যেসব যানবাহন আসছে সেখানে উঠার কোনো সুযোগ নেই। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ঈদ উপলক্ষে বেশি মুনাফার উদ্দেশ্যে কিছু মালিক ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো সড়কে নামিয়েছে। তাই অর্ধেক পথে গিয়েই বিকল হয়ে যায় এসব বাস। তরঙ্গ পরিবহনসহ উত্তরবঙ্গগামী অনেক যানবাহন রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শুক্রবার কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বুধবার অফিস ছুটির পর থেকে ঢাকা ছেড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। রাতে দফায় দফায় বৃষ্টি আর বিপুল সংখ্যক গাড়ির চাপে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় জট তৈরি হয়েছে বাস নেই, কখন আসবে তারও নিশ্চয়তাও নেই। উপায়ান্ত না দেখে ব্যাগ-বোচকাসহ পরিবারের সদস্যদের নিযে ট্রাকে চড়েই গাজীপুর থেকে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছেন রেহেনা সুলতানা।উপায় নেই, যেতেই হবে। তাই ট্রাকে রওনা হয়েছি, বললেন তিনি। কেবল রেহেনা নয়, ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার সকালে আরও অনেককে এভাবে স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।রেহানা জানান, ট্রাকে করে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে।গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশনরোড়, চান্দনা- চৌরাস্তা মোড়, কোনাবাড়ি, মৌচাক, সফিপুর, কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুৎ, চন্দ্রা ত্রি- মোড় এলাকা ঘুরে শত শত যাত্রীকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।আর এই সুযোগে পরিবহন ব্যবসায়ীরা ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। ভোগড়া এলাকার স্টার লাইট স্যুয়েটার কারখানার শ্রমিক জসিম উদ্দিন যাবেন সিরাজগঞ্জ। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, রাতেই কারখানার শ্রমিকরা বাস নিয়ে গ্রামে রওনা হয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে যাইনি, এখন পড়েছি বিপদে।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।