

সোমবার ● ২৭ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » মনপুরায় আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি
মনপুরায় আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি
মো. ছালাহউদ্দিন, মনপুরা প্রতিনিধি: মনপুরায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মাঝে খুশির আমেজ লক্ষ করা গেছে। ধান পাকতে এখনও সময় লাগবে। সোনালী ধানের ক্ষেতে কৃষকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে তারা ঘরে ভালেভাবে ধান তুলতে পারবেন। নবান্ননের উৎসব কৃষকের ঘরে ঘরে কৃষাণীর মনে হাওয়া লাগছে। নতুন ধান ঘরে আসার সাথে সাথে পিঠা পায়েসে মেতে উঠবেন কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১২,৩০০ হেক্টর জমিতে (৩০ হাজার ৩৮১ একর) জমিতে কৃষকেরা ধান চাষ করেন। ধান উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ২৫ হাজার ৭০৪ মে.টন। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবেন বলে ধারনা করছেন কৃষি অফিস।
জানা যায়, মোট ১২,৩০০ হেক্টর জমির মধ্যে ২৫০০ হেক্টর (৬১৭৫ একর) জমিতে রাজাসাইল/লেম্বু, ২,২৫০ হেক্টর (৫৫৫৭ একর) জমিতে কাজলসাইল, ২০০ হেক্টর (৪৯৪ একর) জমিতে ঘিকচ, ২৫০ হেক্টর (৬১৮ একর) জমিতে মোটাধান, ৫০ হেক্টর (১২৪ একর) জমিতে সুগন্ধী ধান এবং ৭ হাজার ৫০ হেক্টর (১৭৪১৩ একর ) জমিতে উপসী ব্রিধান ৫২/৫৪/৪৪/৪০/২২ ও ২৩ ধান চাষ করেন কৃষকেরা।
ধান চাষ করে এবার লাভবান কৃষকেরা। ধানের দাম গড়ে ৬শত ৫০ টাকা থেকে ৭শত টাকা। যা কৃষকের খরচ পুষিয়ে প্রতি ৮ শতাংশে ১ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
উপজেলার চরযতিন গ্রামের আলাউদ্দিন, মহিমা বেগম এর সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি ৮ শতাংশ জমি চাষ করতে তাদের খরচ হয়েছে চাষ খরচ ২শত টাকা রোপনের জন্য শ্রমিক খরচ ৫শত টাকা, বীজ ধান বাবদ ২শত টাকা, সার ও ঔষধ বাবদ খরচ হয়েছে ১২শত টাকা ও ধান কাটার সময় খরচ হবে শ্রমিক খরচ ৫ শত টাকা। মোট ৮ শতাংশ জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৭শত টাকা।
প্রতি ৮ শতাংশ জমিতে ধান উৎপাদন হবে গড়ে ৪ মন। প্রতিমন ধান গড়ে ৬৮০ টাকা ধরে বিক্রয় করলে মোট টাকা হবে ২ হাজার ৭শত বিশ টাকা। খরচ বাদে প্রতি ৮ শতাংশে লাভ হবে ১ হাজার ২০ টাকা। এবছরই কৃষকেরা একটু লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
এব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপীনাথ দাস বলেন, ধানের বাম্পার পলন হয়েছে। কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবেন।
এব্যাপারে মনপুরা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এবার মনপুরায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকেরা ধান ঘরে তুলে একটু ভালো ভাবে দিনাতিপাত করতে পারবেন। উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা এবছর ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি বলেন।
-এফএইচ