![আবেদের নাম শুনেছি, কখনও দেখিনি : পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান](https://www.bholarsangbad.com/cloud/archives/2024/07/172053842-micro.jpg)
![ভোলার সংবাদ](https://www.bholarsangbad.com/cloud/archives/fileman/logo-default.png)
রবিবার ● ৪ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » ভোলায় উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭৪ এর ব্যাপক ফলন, বাজারজাত করণের উদ্যোগ
ভোলায় উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭৪ এর ব্যাপক ফলন, বাজারজাত করণের উদ্যোগ
স্টাফ রিপোর্টার: দ্বীপ জেলা ভোলায় বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৭৪ এর ব্যাপক ফলন হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত বোরো মৌসুমে মোট ১৬ টি জাতের ধান আবাদ করেছে কৃষকরা। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই ছিল ব্রি ধান৭৪। ভোলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারের বোরো মৌসুমে জেলায় মোট ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮১৭ মেঃটন ধানের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৫৮৩ মেঃ টন ধান ব্রি ৭৪ এর ফলন হয়েছে। যা মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ।
মূলত জিংক সমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়ায় কৃষি অধিদপ্তর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষকদের ধান আবাদে উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা গেইন, হারভেস্ট প্লাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এদিকে পুষ্টিকর এ ধানের চাল বাজারজাতকরণে ভোলার খ্যাতিমান চালের মিলার ভোলা অটো রাইস মিল উদ্যোগ নিয়েছে। জোড়া ইলিশ ব্র্যান্ডে অচিরেই চালের বাজারে সরবরাহ হতে যাচ্ছে ব্রি ধান৭৪ এর জিংক সমৃদ্ধ চাল।
ব্রি ধান ৭৪ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), গাজীপুরে আইআর ৬৮১৪৪ এর সাথে ব্রি ধান ২৯ এর একবার পশ্চাৎ সংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবিত।
এ ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী বোরো ধানের জাতের মতই। ব্রি ধান৭৪ জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জাতটি অধিক ফলনশীল। চালের আকার আকৃতি মাঝারি মোটা ও রং সাদা। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৪৫-১৪৭ দিন। ব্রি ধান৭৪ জাতটি গড়ে হেক্টর প্রতি ৭.১ টন ফলন হয়। এ জাতের চালে শতকরা ৮.৩ ভাগ প্রোটিন এবং প্রতি কেজি চালে ২৪.২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক রয়েছে। যা প্রচলিত অন্যান্য জাতের চেয়ে প্রায় ৮.২ মিলিগ্রাম/কেজি এবং জিংক সমৃদ্ধ বোরো ধানের জাত ব্রি ধান৬৪ এর চেয়ে প্রায় ০.২ মিলিগ্রাম/কেজি বেশি। উচ্চমাত্রার জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি গবেষকরা।
-সিআর/এফএইচ