শুক্রবার ● ৮ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর বাংলাদেশ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর বাংলাদেশ
ডেস্ক: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও রেস্তোরাঁয় হামলার পর জঙ্গিরা যাতে প্রচার চালাতে না পারে সে জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহারে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের তরুণদের সঙ্গে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে যোগাযোগ করছে জঙ্গিরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, গুলশানের হামলার ওই ঘটনা তাদের ‘চোখ খুলে’ দিয়েছে। তরুণদের জঙ্গি দলে ভেড়াতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ভূমিকা বোঝা গেছে এতে। বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘জঙ্গিদের দলে ভেড়াতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উর্বর ভূমি। আক্রমণটি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। জঙ্গিরা তরুণদের এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে আকর্ষণ করছে।’
গত শুক্রবার গুলশানে আক্রমণের ঘটনায় দায় স্বীকারকারী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণদের দলে ভেড়াচ্ছে।
শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ইউটিউবকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জসিম উদ্দিন রহমানীর ভিডিওসহ জঙ্গিদের প্রচার সংক্রান্ত ভিডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছে। গত ডিসেম্বরে ব্লগার রাজীব হত্যার ঘটনায় জসিম উদ্দিন রহমানীকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
গুলশান হামলার ঘটনায় যেসব জঙ্গিদের পরিচয় পাওয়া গেছে তাদের অধিকাংশ তরুণ, প্রযুক্তি আসক্ত ও ধনী পরিবারের সন্তান হওয়ায় সহজেই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পেরেছে। এর মধ্যে জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজের বাবার দাবি, তাঁর বিশ্বাস, ২২ বছর বয়সী সন্তানকে অনলাইন ব্যবহার করে দলে ভেড়ানো হয়েছে।
ইমতিয়াজ গত বছরে ফেসবুক ব৵ বহার করে সব মুসলমানকে সন্ত্রাসী হওয়ার আবেদন করে এবং এতে যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়াতে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ভারতের এক প্রচারকের উদ্ধৃতি ব্যবহার করে।
রোহানের বাবা ইমতিয়াজ খান বুলবুল এএফপিকে বলেন, ‘আর সবার মতোই সাধারণ মুসলমান ছিল তার ছেলে। হয়তো ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সে কী কী ব্রাউজ করে তা কখনো পরীক্ষা করে দেখিনি। কেউ তাঁকে ব্রেন ওয়াশ করেছে।’
গত বুধবার জঙ্গিদের প্রকাশ করা ভিডিও অনলাইনে শেয়ারের ওপর সতর্কতা জারি করে পুলিশ।
ডিআইজি এ কে এম শাহিদুর রহমান বলেন, ‘আইএস বা জঙ্গিদের সমর্থনে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে কোনো ভিডিও, ছবি, বক্তব্য আপলোড, শেয়ার, মন্তব্য এমনকি লাইক দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে যদি এ ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত পাওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এপিপি