শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বৃহস্পতিবার ● ১০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশ পড়লেও ডুবচরের কারণে দেখা মিলছে না
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশ পড়লেও ডুবচরের কারণে দেখা মিলছে না
৫২৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১০ আগস্ট ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশ পড়লেও ডুবচরের কারণে দেখা মিলছে না

---
এম শরিফ হোসাইন: গত কয়েক দিন ধরে সাগরে জেলেদের জালে ইলিশের দেখা মিললেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশের দেখা নেই। কারণ হিসেবে ডুবচরকে দায়ী করেছেন জেলে ও ইলিশ বিশেষজ্ঞরা। অথচ এখন ইলিশের ভরা মৌসূম। গত কয়েক বছর আগেও এ সময়ে মেঘনা-তেঁতুলিয়া জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ দেখা যেতো। ভরা মৌসূমে ইলিশ না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে ভোলার উপকূলের জেলেরা।
জেলেরা জানান, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে কার্তিকের শেষ পর্যন্ত ইলিশ ধরার মৌসূম। এর মধ্যে আষাঢ়-শ্রাবণ ইলিশের ভরা মৌসূম। সে অনুযায়ী এখন জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ার কথা। কিন্তু তা পড়ছে না। অথচ এনজিওর ঋণ ও মহাজনদের দাদনের টাকার চাপে দিশেহারা হয়ে পরেছেন জেলেরা।
দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের বাঁধের পাড়ে থাকেন মোঃ হানিফ (৩৪)। মেঘনা নদীতে মাছ ধরে সংসার চলে তাঁর। ইলিশের আকালে অচল হওয়ার পথে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসার।
তিনি আরও বলেন, ভোরে ফজরের আজানের আগে ৪/৫ জন জেলে মিলে তাঁরা নদীতে জাল ফেলেন। জাল তোলার পর মাত্র দুটি ইলিশ দেখা পায়। বিক্রি করে পাওয়া গেছে ২শ’ ৫০ টাকা। তাও আবার চার ভাগ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হানিফের মতো অনেক জেলে মেঘনায় ইলিশ না পেয়ে বেকার বসে আছেন। তাঁরা জানান, ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে গেলে তাঁদের জ্বালানি তেল ও খাবার খরচই উঠতে চায় না। এ জন্য মাছ ধরতে না গিয়ে বসে আছেন।
মেদুয়া মাঝির হাটের মোঃ ফারুক মাঝি (৩২) বলেন, মৌসূমের শুরুতে অনেক আশা নিয়ে তিনি জাল নিয়ে নদীতে যান। মাছ না পেয়ে শেষে তাঁকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। বারবার একই ঘটনা ঘটায় এখন ইলিশ ধরতে যাওয়ার উৎসাহও কমে গেছে। জ্বালানি তেলসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়াও তাঁদের মাছ ধরতে না যাওয়ার একটি বড় কারণ।
দৌলতখানের মদনপুরের জেলে সিরাজ মাঝি (৪৫), নাছির মাঝি (৩৫), নুরুল ইসলাম মাঝিসহ (৪৯) অনেক জেলে বলেন, ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গেলে দুই-তিন হাজার টাকা খরচ হয়। প্রথম দিকে প্রতিবারে দুই-এক হালি করে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন মাছ পাওয়াই দায়। এতে খরচ উঠে না। তাই তাঁরা উৎসাহ পাচ্ছেন না।
ভরা মৌসূমেও মাছ না পড়ার কারণ হিসেবে সদর উপজেলার তুলাতুলির জেলে আ. মতিন মাঝি (৬১) জানান, ইলিশের উৎস হিসেবে পরিচিত ছিল মেঘনার শাহবাজপুর চ্যানেল। ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ পড়ত সেখানে। এখন সেখানে হরদম ট্রলার চলাচল করায় ইঞ্জিনের বিকট শব্দে ইলিশ আসে না। ওই চ্যানেলে একজন জেলে এখন দিনে দু-একটি ইলিশও পাও যায় না।
দৌলতখান মদনপুরের জেলে রহমত মুন্সি (৮০) বলেন, ‘ইলিশ মাছ আইবো কোইত্তন (কিভাবে) ! নদীডার মাইদ্যে (মাঝে) যে পরিমাণ চর পড়ছে, বাডা (ভাটা) ওইলে হাডু (হাটু) পানি থাহে (থাকে)। এই পানিতে আইয়ে (আসে) সব জাটকা ইলিশ। হেগিন (সেগুলো) ধরি হালায় পিডাইন্যা জাইল্যারা। ওরা তো মাছেরে বড় অইতো দেয় না। আমরা পামু কুডে ?’
২৭ বছর ধরে মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দৌলতখান গুপ্তমুন্সি বাজারের ব্যবসায়ী আলম মাঝি (৫২) বলেন, নদীতে ডুবোচর রয়েছে। এতে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ আসতে চায় না। ইলিশ তাড়াচ্ছে ট্রলারের শব্দ। বর্ষাকালে আগে যে পরিমাণ বৃষ্টি হইতো, এখন তা হচ্ছে না। এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে জুন-জুলাই মাসেও ইলিশের দেখা নেই।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কমকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ইলিশ মাছ চলাচলে যে পরিমান ¯্রােত প্রয়োজন নদীর তলদেশ ভড়াট হয়ে যাওয়ার কারণে ওই পরিমান স্রোত নেই। তাই ইলিশ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় নদীতে ইলিশ কমে গেছে। তবে দু’এক সপ্তাহর মধ্যে ইলিশ কিছুটা বাড়বে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

-এফএইচ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।