রবিবার ● ১ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » রাজনীতি » বিএনপি-আ.লীগ বুঝিনা,গুম-হত্যা বন্ধ করুন: খালেদা
বিএনপি-আ.লীগ বুঝিনা,গুম-হত্যা বন্ধ করুন: খালেদা
ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার। তারা দেশ ও তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই তারা এমনটা করছে।গাইবান্ধা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ বুঝিনা, হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে।তিনি বলেন, কে মরলো সেটি বড় কথা নয়। সব মৃত্যুই কষ্ট দেয়। নতুন বছরের প্রথম দিনটি ভালো সংবাদ শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ খবরের কাগজে কি দেখলাম। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ ছাত্র সমাবেশ আয়োজন করা হয়।এর আগে বিকেল ৪টায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া। এ সময় বেলুন ও সাদা পায়রা ওড়ানো হয়। ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী করতালির মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে সময়মতো। তবে আন্দোলনের দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি তিনি।খালেদা জিয়া বলেন, নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে একের পর এক আইন প্রণয়ন করছে সরকার।ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিতি থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে বক্তব্য দেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।সমাবেশের শুরুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ ও সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে যারা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা বেশিরভাগই ছাত্রদলের নেতা। ভবিষ্যতে এরাই দলের কর্ণধার হিসেবে আবির্ভূত হবেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস, অত্যন্ত গৌরবময় ইতিহাস। ৫২�র ভাষা আন্দোলন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের সব আন্দোলনেই ছিল ছাত্রদের গৌরবময় ভূমিকা।ছাত্রদলের ত্যাগ বৃথা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন আন্দোলনে অনেক ছাত্রনেতা আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। তাদের এ ত্যাগ বৃথা যাবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের কাজে এ ছাত্রনেতাদের সম্পৃক্ত করা হবে। দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো কিছু আর অবশিষ্ট নেই। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশ নিয়ে জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, জাতীয় পার্টির সমাবেশ ছিল আজ। সেখানে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আরো বাঁচতে চান। এজন্য তাকে রাষ্ট্রপতি বানাতে হবে, প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। নইলে তিনি বাঁচবেন না।এই ধরনের একজন লোককে দূত বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার দলকে বিরোধীদলের মযার্দা দিয়েছেন। তার উপর আস্থা রেখেছেন তিনি (হাসিনা)। কিন্তু জনগণের আস্থা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি। তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার ও অত্যাচারী সরকারের পতন হোক। ২০১৭ সাল জনগণের।