সোমবার ● ৮ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » সড়ক দুর্ঘটনায় পনের বছরে সাড়ে ৪৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি
সড়ক দুর্ঘটনায় পনের বছরে সাড়ে ৪৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি
ঢাকা :: গত ১৫ বছরে ৫ হাজার ৩১৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ হাজার ৪৯৫ জন মানুষ। আর আহত হয়েছেন আরও ৩৮ হাজার ৭৭০ জন। সোমবার বিকেলে বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের তারকা চিহ্নিত ৩২০ নম্বর প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, পুলিশের দেওয়অ তথ্য অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার এ হিসাব করা করা হয়েছে।তবে বর্তমানে পরিবহন খাতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কঠোর শৃঙ্খলা আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বিরোধী দলীয় সাংসদ বেগম নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিববন্ধনবিহীন গাড়ির কোন পরিসংখ্যান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নেই। তবে মোটরযান আইন অনুযায়ী নিবন্ধনবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এসব নিবন্ধনবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী। এদিকে, জাতীয় সংসদে আজ সুপ্রীম কোর্ট জাজেস (ছুটি, পেনসন ও সুবিধাদি) (সংশোধন) বিল উত্থাপন করা হয়েছে।আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ বিল উত্থাপন করেন। বিলে সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বাধ্যতামূলক সমর্পিত পেনশনের বিপরীতে প্রদত্ত আনুতোষিকের হার বৃদ্দির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে এ হার ২৩০, ২১৫ ও ২শ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৬০, ২৪৫ ও ২৩০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে।অন্যদিকে, উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য এক ও অভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।পলক বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও নরেন্দ্র মোদির ভিশন একই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আমাদের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি (মোদি) ঠিকই বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদকে আশ্রয় দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের সময় হরতাল, পেট্রোলবোমা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই তারাই এখন আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েন।প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির কাছে লিখিত ফর্দ নিয়ে একের পর এক দাবি তুলেছেন। যা আমরা টেলিভিশন পর্দায় দেখেছি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অবিসংবাদিত নেতা নরেন্দ্র মোদি তাকে (খালেদা) বলে দিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদীদের আশ্রয় হবে না।বিশ্বের সব দেশই এখন মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।