শনিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » আ.লীগ ক্ষমতায় এলেই মানুষ পায়, অন্যরা সব লুটের দল
আ.লীগ ক্ষমতায় এলেই মানুষ পায়, অন্যরা সব লুটের দল
ঢাকা : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা, অধিকার পায় আর অন্যরা হত্যা, ক্যুয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে লুটে খায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কে ষড়যন্ত্রকারীরাই লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি কথা সময়ে বলতেন অসময়ে নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিতেন আর প্রতিটি বাঙালি সেটি মেনে চলতেন। দেশ স্বাধীন হয় বঙ্গবন্ধুর ডাকে।তিনি বলেন, ৭ মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধু সব নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা কী হবে সেই নির্দেশনাও বঙ্গবন্ধু দিয়ে যান। স্বাধীনতার সকল প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধ সম্পন্ন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মাত্র ৯ মাসে দেশের সংবিধান দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছে এসবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ অনেক কিছু পায় অন্যরা হত্যা, ক্যুর মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে দুর্নীতি, লুটপাট করে বলেও জানান শেখ হাসিনা।তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে সমুদ্রসীমা জয় করেছে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সবই তার দলের হাত ধরে মত দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিতেন, প্রতিটি বাঙালি সেটি মেনে চলতেন। দেশ স্বাধীন হয়, বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আওয়ামী লীগ মাত্র ৯ মাসে দেশের সংবিধান দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছে- এসবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমুদ্রসীমা জয় করেছে, শহীদ সৌধ তৈরি করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে।আওয়ামী লীগ মনের টানে জনগণের কাজ করে। কারণ জনগণের জন্যই তো এই দেশ যোগ করেন তিনিপঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির শুরু বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপের সুরে বলেছেন, এতো ইতিহাস বিকৃতি পৃথিবীর কোনো দেশে আর নেই। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ কেউ খেতাবও পেয়েছেন। তবে তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করতেন কি-না, তা নিয়েই সন্দেহ আছে। কারণ, তারাই এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পতাকা তুলে দিয়েছেন। আর তারাই এখন কী করে গণতন্ত্রের কথা বলেন!আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নতি চাননি।তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছেন, বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছেন। ২১ বছর এদেশের মানুষকে বিভিক্ত করা হয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইতিহাস বিকৃতি থেকে এই দেশ মুক্তি পায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ বার বার সংগ্রাম করে অধিকার আদায় করেছেন। এক্ষেত্রেও তারা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজস্ব অধিকার আদায় করে নিয়েছেন । তিনি বলেন, বারবারই আমাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিতেন, প্রতিটি বাঙালি সেটি মেনে চলতেন। দেশ স্বাধীন হয় বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আওয়ামী লীগ মাত্র ৯ মাসে দেশের সংবিধান দিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছে- এসবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা, অধিকার পান বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর অন্যরা হত্যা, ক্যুয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে লুটে খায়। ছিয়ানব্বইয়ের ১৫ ফেব্র�য়ারি কারচুপির নির্বাচন করা করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আয়নায় চেহারা দেখুন, চেহারা শুধু সাজুগুজু করার জন্যই নয়। আমরা গণতন্ত্র এনেছি, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবো। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেননি। কারণ, তিনি জানতেন যে, ভোট পাবেন না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। তাই যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ভোট পাবে না জেনেই তারা নির্বাচন বর্জন করে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে ক্ষমতায় আসেন বলে মন্তব্য করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকার কাছে গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে খালেদা জিয়ার বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তবে আল্লাহ জন বুঝে ধন দেয়। আমি জানতাম, তারা গ্যাস পাবে না তো, দেবে কী!খালেদাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আয়নায় চেহারা দেখুন, চেহারা শুধু সাজুগুজু করার জন্যই নয়।এই দেশের স্বার্থহানি হোক, অন্তত আমার কাছে এটা হতে পারে না। আমার কাছে ক্ষমতাটা বড় না, দেশের মানুষ বড়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন অফার দেন, আমি স্পষ্টভাবে বলে আসি, দেশের মানুষের সম্পদ ক্ষমতার লোভে বিক্রি করবো এমন মানুষ আমি নই, যোগ করেন হাসিনা। নির্বাচনের সময় ব্যর্থ হওয়া উপদেষ্টারাই এখন টকশোতে যান, কথা বলেন এমন অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা এর সমালোচনা করেন। বলেন, তারা টকশোতে গেলে বলা উচিত কী কারণে তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেসময় কেন এমন ঘটেছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্র এনেছি, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবো। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেননি। কারণ, তিনি জানতেন যে, ভোট পাবেন না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। তাই যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ভোট পাবে না জেনেই তারা নির্বাচন বর্জন করে।