মঙ্গলবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » দেশের ‘সেরা রেমিটার’ বোরহানউদ্দিনের জাকির হোসেন
দেশের ‘সেরা রেমিটার’ বোরহানউদ্দিনের জাকির হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার: ভাষা আন্দোলন কিংবা ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ সবই সম্ভব হয়েছে এদেশের হাজারো দেশপ্রেমীদের দেশপ্রেমের কল্যাণে। দেশকে রক্ষা করতে সেসময় নিজের বুক পেতে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি বীর সেনানীরা। স্বাধীনতার পরবর্তীতে এদেশে এখনো কিছু মানুষ আছে যারা দেশের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখেন। তাদেরই একজন ভোলার বোরহানউদ্দিনের আলহাজ্ব জাকির হোসেন। ২০১৩-১৪ এর পর এ দেশপ্রেমী আবারো বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৫’ পেয়েছেন। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গত (১৮ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৫’ অনুষ্ঠানে তাকে এ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাত থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানো ২৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশী, পাঁচজন বন্ডে বিনিয়োগকারী এবং চারটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউসকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এবারে আসরে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে। উল্লেখ্য, জাকির হোসেন ৩৪ বছর ধরে কুয়েত সিটিতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কুয়েতের দানবীর খালেদ সুবাহির সহায়তায় বাংলাদেশে ৩০০ এর অধিক মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা করেন এবং ৪ হাজারের অধিক গভীর নলকূপ বিতরণ করেছেন। এছাড়াও এ পর্যন্ত ২২ হাজার পরিবারের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেছেন এই দানবীর।শিক্ষার্থীদের দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে ২০০৫ সাল থেকে ভোলা জেলাসহ ১৩ জেলায় প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন জাকির হোসেন।জাকির হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত জাকির হোসেন বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘প্রবাস জীবন আসলে হাজতখানা। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। তার একটি প্রতিদান পেলাম।’তিনি আরো বলেন, আমার পাঠানো রেমিটেন্স দিয়ে আমার জীবনের পরিবর্তন ঘটেনি। পরিবর্তন ঘটেছে অসংখ্য বাংলাদেশী সাধরণ মানুষের। কারণ, আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেছি। কুয়েতের দানবীর খালেদ সুবাহির সহায়তায় আমি ৩০০টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছি।’সর্বপরি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে তিনি বলেন, ‘ আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যাতে দেশের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি। সবসময় সৎ কাজ করতে পারি।’
এফএইচ