সোমবার ● ৩ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি » চট্টগ্রামে খালেদা ও তারেকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা
চট্টগ্রামে খালেদা ও তারেকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা
চট্টগ্রাম : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হামিক আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল কাদের। বাদির আইনজীবী সাবেক পিপি অ্যাড. আবুল হাসেম জানান, ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ২৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত পেইজে ইংরেজিতে একটি পোস্ট দেন। এর বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, শেখ হাসিনাকে হত্যা সম্ভব নয়, কারণ শেখ হাসিনার চারদিকে ভারতের বিশেষ নিরাপত্তার চাদর রয়েছে। ভারতীয়রা সরাসরি শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিধান করেছে। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যা ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়। ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে পেইজে মন্তব্য লিখেন।ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর এ ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। নিশ্চয়ই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুমতিক্রমে তিনি এ পোস্ট দিয়েছেন। তাই এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি বলেন, আদালত মামলার নথি গ্রহণ করেছেন।পরে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।এর আগে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর কোতয়ালি থানায় ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়। বাদির আইনজীবী আবুল হাশেম বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় এ অভিযোগটি করা হয়।আদালত বাদির বক্তব্য শুনেছেন। মামলার বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি। আশা করি, বিকালের মধ্যে আদেশ দেবেন।মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে ও দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ইরাদ আহাম্মদ সিদ্দিকীকে আসামির করা হয়েছে। ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসে যারা লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন তাদেরও আসামি করা হয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়নি। মামলার বাদী আবদুল কাদের সুজন বলেন, ফেইসবুকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ইরাদ আহাম্মদ সিদ্দিকী জাতির জনকের অবমাননা করেছেন।পরবর্তীতে ২৫ সেপ্টেম্বর আরেক স্ট্যাটাসে বলেছেন- শেখ হাসিনাকে হত্যা ছাড়া বাংলাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়। সুজন বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ইরাদ আহাম্মদ একা এই বক্তব্য দিতে পারেন না। নিশ্চয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই তিনি এ বক্তব্য ফেসবুকে দিয়েছেন। দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবশ্যই জানে।আমার ধারণা তাদের অনুমতি নিয়েই ফেইসবুকে হত্যার এই ষড়যন্ত্র প্রচার করা হয়েছে।