শুক্রবার ● ৫ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিভিন্নস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮
বিভিন্নস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮
ডেস্ক রিপোর্ট :: ঢাকাসহ আট জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য, শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন। বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঢাকার সাভারে চারজন, সিরাজগঞ্জর হাটিকুমরুলে চারজন, মৌলভীবাজারের সিরাজনগরে তিনজন, বরিশালের গৌরনদীতে একজন, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় এক নারী, টাঙ্গাইলে অপর একজন, রংপুরের কাউনিয়ায় দুজন ও নাটোরে একজন নিহত হয়।
সাভারের ধামরাইয়ে নিহতরা হলেন- চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্টের সেনা সদস্য শহিদুল ইসলাম (৩২), সাতক্ষীরা এলাকার শামসুর রহমান (৩৮), নোয়াখালী জেলার ওবায়দুর রহমান (৩৩) ও অজ্ঞাত এক নারী।
সিরাজগঞ্জে নিহতরা হলেন- সলঙ্গা থানার বড় গোজা গ্রামের নবাব ফকিরের মেয়ে চায়না খাতুন (২৬), সলঙ্গা থানা মোড় এলাকার রজব আলী (৫৫) ও কামারখন্দ উপজেলার সৈয়দগাঁতী গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে রেহানা খাতুন ইতি (২২) ও খামারখন্দ উপজেলার বড়দুল ই্উনিয়নের আব্দুল হামিদ (৩৫)।
মৌলভীবাজারে নিহতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাপলাবাগের মাখন লালের ছেলে রাজু স্বর্ণকার (৩০), তার ভায়রা জামালপুরের সদর উপজেলার সবুজ স্বর্ণকার (৩৩) ও অপর একজন।
গৌরনদীতে নিহত শিশুটির নাম সোহাগী (৪)। সে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিণরমজানপুরের আবু নাসিরের মেয়ে। মানিকগঞ্জে অজ্ঞাত এক নারী ও টাঙ্গাইলে নিহত হয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ইউছুব আলী (৪৫)।
রংপুরের কাউনিয়ার নিহতরা হলেন- হারাগাছ পৌর এলাকার আবদুল খালেক সোনা (৩৫) এবং সারাই বাজার এলাকার মমিনুল ইসলাম (৫৫)। নাটোরের নিহতরা হলেন- রাজশাহী ইউসিবিএল ব্যাংকের বার্তা বাহক আব্দুল লতিফ মৃধা (৫০) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার পুরাদহ উপজেলার জীবন নগরের আশরাফুল ইসলাম (৩৫)। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন–
সাভার (ঢাকা): শুক্রবার ভোরে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকার পালস সিএনজি স্টেশনের সামনে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে সেনা সদস্যসহ চারজন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।
রাতে চট্টগ্রাম থেকে সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভোরে পালস সিএনজি স্টেশনের সামনে পৌঁছলে ইটবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ: শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হাটিকুমরুল এলাকার চেয়ারম্যান মার্কেট এলাকায় মাইক্রোবাস ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন নিহত ও আহত হয় আরো ৫ জন।
মৌলভীবাজার: বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার সড়কের সিরাজনগর এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজন নিহত ও আহত হয়েছে চালকসহ আরো তিন জন।
বরিশাল: শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গৌরনদী উপজেলার কসবা এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহসড়কে ব্যাটারিচালিত গাড়ি উল্টে শিশু সোহাগী (৪) নিহত হয়। এসময় আহত হয় শিশুটির মা সোনিয়া বেগম।
মানিকগঞ্জ: শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরিতে ওঠার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক নারী নিহত হন। এসময় আহত হয় ৫ বছরের শিশুসহ আরেক জন।
টাঙ্গাইল: শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিহাতী উপজেলার বাংড়া এলাকায় ট্রাক ও সিএনজির অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ইউছুব আলী নিহত হন। এসময় আহত হয় আরো তিনজন।
রংপুর: শুক্রবার সকাল ১০টায় কাউনিয়া উপজেলার বিজলের ঘণ্টি এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন।
নাটোর: শুক্রবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের সৈয়দমোড় ও খেজুরতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যাংক কর্মচারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী পিকআপ ভ্যান সৈয়দমোড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে পিকআপ ভ্যানের যাত্রী আব্দুল লতিফ মৃধা মারা যান। এ সময় আহত হন আরও দুইজন।
অপরদিকে, বড়াইগ্রাম উপজেলার নাটোর-পাবনা মহাসড়কের খেজুরতলা এলাকায় পাবনাগামী পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আশরাফুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়। আহত হয় পিকআপ ভ্যানের হেলপার সাদ্দাম হোসেন।