শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শনিবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » টঙ্গীতে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ২৬, ভবনে ধস
প্রথম পাতা » জাতীয় » টঙ্গীতে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ২৬, ভবনে ধস
৪৮৬ বার পঠিত
শনিবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

টঙ্গীতে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ২৬, ভবনে ধস

 ---

গাজীপুর : গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে একটি প্যাকেজিং কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন।শনিবার সকালে ‌ট‌্যাম্পাকো ফয়েলস নামে পাঁচ তলা ওই কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় বলে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান।দুপুরে আগুন নেভানোর আগে বেশ কয়েকজনের লাশ বের করে আনা হয়, কয়েকজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।এদের কেউ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুনে কারখানার কাঠামো ভেঙে তার নিচে চাপা পড়ে মারা যান কেউ কেউ।আহত ৩৫ জন টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এছাড়া গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসও আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই দুর্ঘটনায় যাদের অঙ্গহানি ঘটেছে, তাঁদের প্রত্যেককেও দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।গাজীপুর জেলা প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক শনিবার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার খরচও বহন করবে সরকার। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে এই সহায়তা করা হবে।গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীতে একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৬-এ পৌঁছেছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। আগুনে পাঁচতলা ভবনটির ওপরের তিনতলার অনেকটাই ধসে গেছে। ভবনের বিভিন্ন অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ভবনের ভেতরে আরও লাশ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারখানার মালিক সিলেটের সাবেক বিএনপি সাংসদ সৈয়দ মো. মকবুল হোসেন হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্র�তি দিয়েছেন। মকবুল জানান, ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত তার এই কারখানায় সাড়ে ৪শর মতো শ্রমিক রয়েছে। সবার ঈদের বোনাসসহ বেতন-ভাতা কয়েকদিন আগেই পরিশোধ করা হয়েছিল।শুক্রবার রাতের পালায় ৭৫ জনের মতো কাজ করছিলেন। শনিবার ঈদের ছুটি হওয়ার কথা ছিল। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা উন্নয়ন) মোশাররফ হোসেন বেলা তিনটার দিকে জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের মোট ১৫০ জন কর্মী কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। কাউকে এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে এলে উদ্ধারকাজ পুরোদমে শুরু হবে। আহত ঠিক কতজন, তা এখনো জানা যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। কারখানার মালিক সিলেট-৬ আসনের সাবেক সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেন বলেন, বয়লারে কোনোত্র�টি ছিল কি না তিনি জানেন না। শেষ কবে বয়লার পরীক্ষা করা হয়েছে, তাও জানেন না তিনি। আজ কাজ শেষে কারখানা ছুটি হওয়ার কথা ছিল। সৈয়দ মকবুল হোসেন দাবি করেন, রাতের শিফটে ৭৫ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হয়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের সবাইকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান।সকাল ৬টায় আগুনের খবর পেয়ে জয়দেবপুর, টঙ্গী, কুর্মিটোলা, সদর দপ্তর, মিরপুর ও উত্তরাসহ আশে-পাশের ফায়ার স্টেশনের ২৫ ইউনিট নেভানোর কাজ শুরু করে বলে জানান জয়দেবপুরের জ‌্যষ্ঠে স্টেশন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান।ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৬টার দিকে কাজ চলার সময় নিচ তলায় বয়লার বিস্ফোরণের পর কারখানার পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।নিহত প্রকৌশলী আনিসুর রহমানের স্ত্রী নিগার সুলতানা জানান, পৌনে ৬টার কিছুক্ষণ পর একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি।কারখানার পাশে গোপালপুর এলাকায় তার বাসা। শব্দ শুনে বেরিয়ে স্বামীর কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে ছুটে যান নিগার। গিয়ে দেখেন তার স্বামীসহ কয়েকজনের লাশ বের করা হচ্ছে।টঙ্গী রেল স্টেশনের কর্মী লিখন জানান, পাঁচ তলা কারখানার চতুর্থ তলায় বেশ কিছু শ্রমিক জানালা দিয়ে হাত নেড়ে তাদের বাঁচানোর আকুতি জানাচ্ছিলেন। এসময় স্থানীয়রা মই নিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ধোঁয়া ও তাপের কারণে তাদের ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।কিছুক্ষণ পরে ওই তলায় থাকা শ্রমিকদের আর কোনো সাড়া দেখা যায়নি। ততক্ষণে আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ার কুন্ডলীতে আশপাশের এলাকাও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও কারখানাটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছিল।তার আগে ভবনের একাংশের ছাদ ধসে পড়ে। আগুন নেভাতে গিয়ে সোহেল নামের এক দমকলকর্মী আহত হন।আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চললেও বাতাসের কারণে বেগ পেতে হচ্ছিল বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা। ভেতরে দেয়াল চাপা পড়ে কিংবা অগ্নিদগ্ধ হয়ে আর কেউ মারা গেছেন কি না, তা আগুন পুরোপুরি নেভানোর আগে বলতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।নিহতদের মধ্যে ১৯ জনের লাশ টঙ্গী হাসপাতালে রয়েছে। সাতজনের লাশ রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।টঙ্গী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. পারভেজ মিয়া জানান, হাসপাতালে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনের লাশ রয়েছে। এছাড়া আহত ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টঙ্গীতে থাকা যাদের পরিচয় নাম গেছে, তারা হলেন- আনিসুর রহমান (প্রকৌশলী), জয়নাল আবেদিন (অপারেটর), আনোয়ার হোসেন (অপারেটর), শংকর (ক্লিনার), রেদোয়ান (দারোয়ান), জাহাঙ্গীর (নিরাপত্তাকর্মী), হান্নান মিয়া (নিরাপত্তাকর্মী), রফিকুল ইসলাম (শ্রমিক), ইদ্রিস, আল মামুন, নয়ন, সুভাষ, জাহিদুল, রাশেদ (রিকশাচালক)।অগ্নিকান্ডের পরপরই কারখানার শ্রমিকদের স্বজনরা টঙ্গী ৫০ শয্যার হাসপাতালে গিয়ে ভিড় জমায়। লাশ দেখে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকে স্বজনদের খুঁজছিল।নিখোঁজ ক্লিনার রাজেশের দাদি জানান, ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।শুরুতে কারখানা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল ও উত্তরা মেডিকেলে পাঠানো হয়।উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সাব্বির আহমেদ জানান, সেখানে নেওয়া দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, এই হাসপাতালে এক নারীসহ সাতজনের লাশ রয়েছে। তাছাড়া ভর্তি রয়েছেন আরও ১৮ জন, তারা সবাই পুরুষ।মৃত পাঁচজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- অপারেটর সিরাজগঞ্জের ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন (৩৫), হবিগঞ্জের তাহমিনা আক্তার (৫০), আশিক (১২), আনোয়ার হোসেন (৪০) ও দেলোয়ার হোসেন (৫০)। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানান, আহতদের মধ্যে চারজন তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এর মধ্যে একজনের শরীরের ছয় ভাগ, আরেকজনের আট ভাগ পুড়েছে। একজনের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেহের ছয় শতাংশ পুড়েছে শাহ আলমের (৪৬), দিলীপ দাসের (৩৬) পুড়েছে আট শতাংশ বার্ন। রিপন দাসের (৩০) দেহের ৯০ ভাগ পুড়েছে। এছাড়া রাসেল খান (২৬) নামে একজনও বার্ন ইউনিটে রয়েছেন।ভর্তি অন‌্যরা নানাভাবে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। তারা হলেন- রাসেল (২২), আনোয়ার (৫০), কামরুল (২৭), মনোয়ার (৩৫), মিজু মিয়া (২৫), ইকবাল (৩৫), শিপন (৩৫), শাহীন আকমল (৩০), রোকন (৩৫), কামরুল (২৭), প্রাণকৃষ্ণ (৩৮), অজ্ঞাত পুরুষ (৫০)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশঙ্কাজনক রোগীদের আগে সেটল করছি। যার যার রক্ত-স্যালাইন প্রয়োজন, আমরা দিচ্ছি।১২ বছরের একটা শিশুর কথা উলে।লখ করে তিনি দুপুরে বলেছিলেন, বাচ্চাটি শকে আছে। তার অপারেশন প্রয়োজন। আমরা তৈরি আছি। প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছি।আশিক নামে ওই শিশুটি বেলা ৩টার দিকে মারা যান। তদন্ত কমিটি,ক্ষতিপূরণ :গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম কারখানা পরিদর্শনের পর পাঁচ সদসের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা সাংবাদিকদের জানান।অতিরিক্ত জেলা ম‌্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাহেদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক আনিস মাহমুদ জানান, বাহিনীর উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. বদিউজ্জামানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছেন তারা। কমিটিকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহাম্মদ জানান, উপ-মহাপরিদর্শক মো. শামছুজ্জামান ভূইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন তারা।নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ডটকমকে জানিয়েছেন।শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে এই অনুদান দেওয়া হবে। নিহতদের মধ্যে শ্রমিক ছাড়া এক রিকশাচালকের নামও পাওয়া গেছে। তবে তার অনুদান পাওয়ার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।এদিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। জেলা প্রশাসক এস এম আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই ঘোষণা দেন। আহতদের প্রত‌্যকেকে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার কথা কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহাম্মদও জানিয়েছেন।তিনি বলেন, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসাও করানো হবে। সেই সাথে কারখানার মালিকদের প্রত্যেক শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতেই হবে।শ্রম প্রতিমন্ত্রী চুন্নু ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল উদ্দিন আহমদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ তদারকি করেন। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের ভাষ্য, বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ভবনের ওপরের দিকে তিনতলা ধসে গেছে। পুরো ভবনই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টিরও বেশি ইউনিট কাজ করছে বলে তিনি জানান। ভবনের ভেতরে আরও লাশ থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামানের ভাষ্য, বিসিক নগরীর ট্যাম্পাকো নামের একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। জয়দেবপুর, টঙ্গী, কুর্মিটোলা, মরপুর, উত্তরাসহ আশপাশের ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।টঙ্গী হাসপাতালে ১৮ জনের লাশ দেখা গেছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. পারভেজ মিয়ার ভাষ্য, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন কয়েকজন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সেখানে আহত কয়েকজনকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী আছেন। এঘটনায় রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।