সোমবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি » দন্ডপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিএনপির
দন্ডপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিএনপির
ঢাকা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, দেশের সর্ববৃহৎ দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মনে করে, সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি রক্ষার্থে কাল বিলম্ব না করে দুই মন্ত্রী অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব ও জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন।সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের আলোচনা সভা করতে না দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্যে আদালত অবমাননা করায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট জরিমানা করে। সম্প্রতি তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দন্ডিত দুই মন্ত্রী তাদের সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন।মওদুদ বলেন, আমরা অবিলম্বে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছি। সেই সাথে ২৭ মার্চ, ২০১৬ তারিখ থেকে দুই মন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত সকল আদেশ বাতিল ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন,দেশের সর্ববৃহৎ দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মনে করে, সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি রক্ষার্থে কাল বিলম্ব না করে দুই মন্ত্রী অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব ও জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন।যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্যে আদালত অবমাননা করায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট জরিমানা করে।সম্প্রতি তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দন্ডিত দুই মন্ত্রী তাদের সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন।এরপর বিভিন্ন মহল থেকে এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠলেও তাতে তাদের কোনো সাড়া নেই। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও তারা অংশ নেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মওদুদ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের তারিখ অর্থাৎ ২৭ মার্চ থেকে দুই মন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত সব আদেশ বাতিল ঘোষণা করার আহ্বানও জানিয়েছেন।আমরা অবিলম্বে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছি। সেই সাথে ২৭ মার্চ, ২০১৬ তারিখ থেকে দুই মন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত সকল আদেশ বাতিল ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।এই রায়ের পর সরকারের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের কারও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না পেয়ে হতাশ মওদুদ বলেন, এই পরিস্থিতি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করেছে।কারণ দেশে ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য আজ আদালত অবমাননা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর হাতে বন্দি। সাজাপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে। একজন মন্ত্রী শুধু দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, কোনো দলের নয়। দুই মন্ত্রীর মধ্যে একজন আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও বিচার বিভাগ সম্বন্ধে এরকম নেতিবাচক মন্তব্য এবং আইনের প্রতি এরকম বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, দি পাবলিক সার্ভেন্টস( ডিসমিসাল অন কনভিকশন অর্ডিনেন্স, ১৯৮৫ এর ধারা- ৩ (১) অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ হতে তারা (মন্ত্রীদ্বয়) পদচ্যুত হবেন। কারণ কোনো পাবলিক সার্ভেন্ট আদালত কর্তৃক ফৌজদারি মামলায় ১০ হাজার টাকার অধিক জরিমানা করা হলে তিনি আর স্বপদে বহাল থাকতে পারেন না।২০১২ সালে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানী এবং ২০০৬ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী স্বরুপ সিং নায়েক, ১৯৮২ সালে কেরালার মন্ত্রী আর বালা কৃষ্ণ পিল্লাইয়ের পদত্যাগের নজির তুলে ধরেন বিএনপি নেতা।বিষয়টি শুধু আইনগতই নয়, নৈতিকতার সাথেও গভীরভাবে জড়িত, বলেন তিনি। মন্ত্রীরা পাবলিক সার্ভেন্ট এর মধ্যে পড়েন কি না- প্রশ্ন করা হলে মওদুদ বলেন, তারা (মন্ত্রী) পাবলিক সার্ভেন্টের মধ্যে পড়েন। আপনারা যদি পেনাল কোডে দেখেন। অনেক সিদ্ধান্ত আমাদের সুপ্রিম কোর্টেরও আছে- একজন সংসদ সদস্য একজন পাবলিক সার্ভেন্ট, মন্ত্রীরাও সংসদ সদস্য, তারাও পাবলিক সার্ভেন্ট।মওদুদ বলেন, আশা করি, এই দুই মন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। আদালতের আদেশের কারণে যদি তাদের পদত্যাগ করতে হয়, তাতে তাদের মর্যাদা ক্ষুণ হবে না। বরং যদি তারা পদত্যাগ করেন, আমি মনে করি, তারা নিজেদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। সরকার ও দলের ভাবমূর্তিও রক্ষা পাবে।দুই মন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে কী বিধান রয়েছে- জানতে চাইলে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, এটা তো সুপ্রিম কোর্টের রায়। আমরা অপেক্ষা করব, সুপ্রিম কোর্ট কী করে। সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা নাসরিন মুন্নী উপস্থিত ছিলেন।