রবিবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নদী ভাঙন রোধের কাজ করার দাবিতে মানববন্ধন
ভোলায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নদী ভাঙন রোধের কাজ করার দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: ভোলায় নদী ভাঙন রোধে সরকারি বরাদ্দকৃত দুইশো আশি কোটি টাকার মেঘনার তীর সংরক্ষণ কাজ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে করার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রোববার সকালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইট্স ডিফেন্ডার ফোরাম (এইচআরডিএফ) ভোলা জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজনে করে। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখা, বাংলাদেশ কেমিস্ট-এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, ভোলা থিয়েটার, হামিদা আকতার জন কল্যান ট্রাষ্ট, কালের কন্ঠের পাঠক ফোরাম শুভসংঘ, বন্ধুসভা, পূজা উদযাপন পরিষদ, জিয়া সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, তালুকদার ভবন ব্যবসায়ী সমিতি, জুয়েলার্স সমিতি, জিনিয়াস ক্লাব, ইলিশা ফেরিঘাট ও ভোলা বাচাঁও সংগ্রাম কমিটিসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের স্ব-স্ব ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ঘন্টাব্যাপী রাস্তায় দাড়িয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। পরে এইচআরডিএফ সভাপতি মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, এডভোকেট শাহজাহান, সাফিয়া খাতুন, হোসনে আরা চিনু, বিলকিস জাহান মুনমুন, শান্ত ঘোষ, অবিনাশ, রুহুল আমিন, সায়েদুজ্জামান, জুয়েল প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোলার নদী ভাঙন রোধে প্রায় প্রতি বছর বেড়িবাঁধ নির্মানের নামে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলের ঠিকাদারদের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মানের কারনে ওই টাকা লোপাট হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে বেড়িবাঁধের কাজ শুস্ক মৌসুমে না করে বর্ষা মৌসুমে করায় বেড়িবাঁধের কাজ নদীর পানিতে বিলীন হয়ে যায়। ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারির যোগসাজশে বেড়িবাঁধের কাজের টাকা লুটপাট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে করে ভোলায় নদী ভাঙন রোধে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ভেস্তে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধে ভোলার নদী ভাঙন রোধ না হলেও বেড়িবাঁধের টাকা দিয়ে ঠিকাদারের এবং পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পকেট ভারি হয়। ওই টাকায় তাদের অট্রালিকা-বাড়ি তৈরী হয়। এবারও সরকার ভোলার নদী ভাঙন রোধে নদীর তীর সংরক্ষণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে। এ প্রকল্পের জন্য দুইশো আশি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে মেঘনার তীর সংরক্ষণ কাজ না করলে এ প্রকল্পের কাজও ভেস্তে যেতে পারে। তাই অবিলম্বে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে মেঘনার পাড়ে সিসি ব্লক স্থাপনসহ ড্রেজারের মাধ্যমে টেকসই বাঁধ নির্মান ও নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
আগামী শুস্ক মৌসুমে মেঘনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কজ শুরু হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলার নির্বাহি প্রকৌশলী বাবুল আকতার।
এমএইচএম/এএইচটি/এফএইচ