বৃহস্পতিবার ● ২৮ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি » সব দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি: সৈয়দ আশরাফ
সব দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি: সৈয়দ আশরাফ
ঢাকা : প্রশাসনের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী যেসব কমিটি করা হবে, সেগুলো দলীয় বা দলের অঙ্গসংগঠন হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, অন্য দল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও এসব কমিটিতে থাকবেন। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে মাঠপর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি গঠন করছে। এটা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে যে কমিটি হবে, সেগুলো দলীয় হবে না বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন,মাঠপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা আছে বলে মনে হয় না। প্রশাসন যাতে সব সময় গতিশীল থাকে, সে জন্য জেলা প্রশাসকদের কিছু পরামর্শদেওয়া হয়েছে।সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন,জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ করে না। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন কাজে নেতৃত্ব দেন এবং জনমত সৃষ্টি করেন। এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের লোক আছেন তারাও প্রশাসনের আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করবে।এটা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে।এ কমিটিতে কে থাকবে আর না থাকবে তা সিদ্ধান্ত নিবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে যে কমিটি হবে তা দলীয় হবে না। এখানে সব ধরনের লোক থাকবে। ডিসিদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো বিরোধ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডিসিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর না। তবে তারা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্ব দেন এটাও কম না। ডিসিদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয় না।গত শনিবার রাতে গণভবনে দলীয় বৈঠকে সন্ত্রাস প্রতিরোধে তৃণমূলে কমিটি দ্রুত সম্পন্ন করা এবং সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এই কমিটি হবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে। সেখানে যেন আওয়ামী লীগকে প্রাধান্য দেয়া না হয়। সভাপতি বা আহ্বায়ক হবেন সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এতে তিনি আওয়ামী লীগের হতে হবে এমন না হলেও চলবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন জামায়াত-শিবিরের লোকজন এখানে ঢুকে না পড়ে।