শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বৃহস্পতিবার ● ২ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা
৫৩৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২ জুন ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা

 ---

ঢাকা : নতুন অর্থবছর থেকেই পণ্য ও সেবা বিক্রির ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর আদায়ের পরিকল্পনা এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০১২ সালের মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন কার্যকর করে ওই ভ্যাট আদায়ের পরিকল্পনা করা হলেও তা এখন ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে আপত্তি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনের হুমকি দেওয়ায় এবার বাজেট সংক্রান্ত আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এ বিষয়টি। মুহিত তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, মূল সংযোজন কর আইনটি অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ২০১২ সালে গৃহীত হয়। নতুন ব্যবস্থায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতি স্তরে মূল্য সংযোজন কর প্রযোজ্য করার স্বার্থে উৎপাদনকারী ও সেবাদানকারী বিভিন্ন ডতিষ্ঠানের নিম্ন পর্যায়ের যথাযথ হিসাব রাখার ব্যবস্থাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত দেখা যাচ্ছে যে, এজন্য প্রস্তুতি এখন পর্যন্ত যথাযথ নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২০১২ সালে প্রণীত মূল্য সংযোজন কর আইন ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও পুরাপুরি কার্যকর হবে না। এটি জুলাই ২০১৭ সাল থেকে পুরোপুরি কার্যকর হবে। মুহিত বলেন, আমাদের লক্ষ্য কিন্তু বদলে যায়নি। আমরা আইনটি পুরোপুরি কার্যকর করব একটি বছর পরে। মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ সালে করা হলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ আইনে ছোটবড় সব ধরনের ব্যবসা ও সেবার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়েছে। তবে বার্ষিক টার্নওভার বছরে ৩০ লাখ টাকার নিচে হলে ব্যবসায়ীকে ভ্যাট দিতে হবে না।ব্যবসায়ীরা বিক্রির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে রাজি নন। তারা আগের মতো এলাকা ও ব্যবসার ধরন অনুযায়ী এনবিআরের ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট হারের প্যাকেজ ভ্যাট চালু রাখার পক্ষে। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্যাকেজ ভ্যাটের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১৪ হাজার টাকা।১৫ শতাংশ ভ্যাট চালু না করার দাবিতে গত ৩০ মে এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। বাজেটে দাবি মানা না হলে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকিও ছিল তাদের। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশও (ক্যাব) ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বিরোধিতা করে। তারা বলে, এতে দ্রব্যমূল্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাবে; ভ্যাট ফাঁকির প্রবণতা বাড়বে। বর্তমানে আড়াই লাখ প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন থাকলেও মাত্র ৬৮ হাজার প্রতিষ্ঠান প্যাকেজ ভ্যাট দেয়। নতুন অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। যার মধ্যে মূসক থেকেই ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা আসবে বলে মুহিত আশা করছেন। ভ্যাটের এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যার মধ্যে মূসক থেকেই ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ পাওয়ার আশা ছিল মুহিতের। ১০ মাসের হিসাবে (জুলাই-এপ্রিল) রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।পাশাপাশি মোট বাজেটের আকার সংশোধন করে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকার কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এই আয় আসবে মূলত আয়কর, ভ্যাট, আমদানি ও রফতানি শুল্ক থেকে। রাজস্ব আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও এনবিআর দায়িত্ব সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা উচ্চাভিলাষী হলেও তা অর্জন করার মত জনবল ও সক্ষমতা এনবিআরের রয়েছে। আশা করি আগামী অর্থবছরে এনবিআর তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। এনবিআর-বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে ৭ হাজার ২৫০ কোটি এবং করবহির্ভূত খাত থেকে ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯৭হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এই ঘাটতি ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের অর্থে মেটানো হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট পেশ করেন। বাজেটে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিচে দেয়া হলো।মোট বাজেট : ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা : ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি : ৭.২ শতাংশ।মূদ্রাস্ফীতি : ৫.৮ শতাংশ।এডিপি : ১ লাখ ১০ হাজার ৭শ কোটি টাকা।বাজেট ঘাটতি : ৯৭ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।এনবিআর থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব : ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। নন এনবিআর উৎস থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ৩৯ হাজার ৬শ কোটি টাকা।
সম্পাদনা:এফএইচ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।