মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » দু’মাসেও চালু হয়নি ভোলার ৩৪ মেগাওয়ার্ট গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
দু’মাসেও চালু হয়নি ভোলার ৩৪ মেগাওয়ার্ট গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
মোকাম্মেল হক মিলন: সিডিউল ম্যান্টিন্যাসের কারণে বন্ধ হওয়ার দু’ই মাসেও চালু হয়নি ভোলার গ্যাস ভিত্তিক ৩৪ দশমিক ৫ মেগাওয়ার্ট ক্ষমতা সম্পন্ন রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র।এদিকে ভোলাবাসীকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। দিনেও রাতে অসংখ্য লোডশেডিংয়ের অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভেঞ্চার এনার্জি কর্তৃপক্ষ ২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও তা চাহিদার চেয়ে অনেক কম। ফলে দনিক গড়ে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
সূত্র জানায়, ভোলা সদর ও দৌলতখানে বিদ্যুতের চাহিদা দৈনিক ২৪/২৫ মেগাওয়ার্ট কিন্তু গত দুই মাস ধরে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়ার্ট। চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ হওয়াতে বিদ্যুতের লোডশের্ডিং কবলে গ্রহকরা। পাওয়ার প্লান্টের কাজ চললেও তা পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে আরো এক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ভেঞ্চার কর্তৃপক্ষ।
ভোলার ভেঞ্চার এনার্জি রিসোসেস কোম্পানী এর সহকারি ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৮ ফ্রেরুয়ারী সিডিউল ম্যান্টিনেসের জন্য সাড়ে ৩৪ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ চলছে, আগামী মে মাসের শেষের দিকে সেটি উৎপাদনে যাবে। বিকল্প ব্যবস্থায় ২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। পুরো চাহিদা দিতে না পারায় একটু লোডশের্ডিং হচ্ছে। অপরদিকে বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন পৌর শহরে কিছুটা বিদ্যুৎ থাকলেও পৌর শহরের বাহিরের এলাকাগুলোতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা। যে কোন সময় বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও সহ নানান পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গ্রাহক সূত্র জানায়।
এদিকে, ভোলার গ্যাসের উপর নির্ভর করে চালু রয়েছে আরো ২২৫ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যা থেকে জাতীয় গ্রীডসহ জেলার অন্য ৪টি উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে। সেখানেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট রয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। খুব দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন ভোলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।