রবিবার ● ১৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » খেলা » চট্টগ্রাম আবাহনীকে মাটিতে নামাল মোহামেডান
চট্টগ্রাম আবাহনীকে মাটিতে নামাল মোহামেডান
ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছর গুলোতে তরুণদের নিয়ে দল গড়ে মাঠের পারফরমেন্সে যে চমকটা দেখিয়ে আসছিল মোহামেডান, নতুনে মৌসুমে তা রোববার দেখা গেল প্রথম। টানা তিন ম্যাচে জিতে আসা চট্টগ্রাম আবাহনীকে মাটিতে নামিয়ে আনল মোহামেডান, ম্যাচ শেষ করল ৫-১ গোলের বড় জয় নিয়ে। প্রথমার্ধের ২১ মিনিটে ইসমাইল বাঙ্গুরার গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। মাশুক মিয়া জনির কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করেন গিনির এই ফরোয়ার্ড। ৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বিপলু আহমেদ। চার মিনিট পর বক্সের মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফরোয়ার্ড লিওনেল সেইন্ট পিয়াক্স ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান জাহিদ হোসেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটেই বামপ্রান্ত থেকে বিপলুর ক্রসে প্লেসিংয়ে গোল ব্যাবধান ৩-১ করেন ইসমাইল বাঙ্গুরা। মোহামেডানের চতুর্থ গোলটা ছিলো দেখারমতো। মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি বল নিয়ে চার ডিফেন্ডারকে গতিতে পিছনে ফেলে গোলরক্ষক রানাকে পরাস্ত করেন (৪-১)। একদম শেষ মুহুর্তে ব্যবধান ৫-১ করেন ইউসুফ সিফাত। এ জয়ের ফলে চার ম্যাচ শেষে মোহামেডানের অর্জন ছয় পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট নয়।
আবাহনীর আরেকটি ড্র
ঢাকায় পা রেখেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছুটে এসেছিলেন ঢাকা আবাহনীর নতুন কোচ ড্রাগন মাবিচ , ডাগআউটে না গিয়ে ভিআইপি বক্সে বসেই পরখ করে নিতে চাইলেন তার নতুন শিষ্যদেরকে । দশ প্লেয়ার নিয়ে আরামবাগের বিপক্ষে গোলশুন্য ড্র ম্যাচ দেখে মিশ্র অভিজ্ঞতা নিয়েই আবাহনী পর্ব শুরু হল এ ক্রোশিয়ানের। বলেন,‘প্রথম ম্যাচ দেখে ভালো-মন্দ কিছু বলতে চাই না। লাল কার্ডটা না হলে জিততেও পারতাম। এছাড়া ভালো সুযোগগুলো থেকে গোল না করতে পারাটাও ড্রয়ের কারণ’। এ ড্রয়ের ফলে তিন ম্যাচে পাচ পয়েন্ট হলো ঢাকা আবাহনীর। আর পাঁচ ম্যাচ খেলে চার ড্রতে চার পয়েন্ট নিয়ে স্বাধীনতা কাপ পর্ব শেষ হলো আরামবাগের।
আগের ম্যাচে বিজেএমসির বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ের নায়ক আবাহনীর ইংলিশ স্ট্রাইকার লি টাক প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। আবাহনীর আক্রমণভাগের ডানপ্রান্তে প্রতিপক্ষ সুফিয়ান সুশিলকে অহেতুক ফাউল করায় প্রথমে দু দলের প্লেয়ারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লি টাককে প্রথমে হলুদ ও পরে লাল কার্ড দেখান রেফারী। প্রথমার্ধের উত্তেজনা বলতে এই যা। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষ দলের দশ ফুটবলারের সুযোগ নিয়ে চড়াও হওয়ার সুযোগ ছিল আরামবাগ কোচ সাইফুল বারি টিটুর। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়েই তার রক্ষণভাগ সামলালেন এক মিডফিল্ডারসহ চার ডিফেন্ডার। ফলে আবাহনী যে দশজন নিয়ে খেলছে তা মনেই হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ১৩ মিনিটে সানডে চিজোবার ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে আকাশী- হলুদ শিবির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত। খেলার শেষ বাশি বাজার আগ মুহুর্ত্যওে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সানডে, কামারা সারবারা ।