বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ইলিশ
মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ইলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি: রূপালি ইলিশ মূলত বর্ষাকালের মাছ। তবে গত কয়েক বছর ধরে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া আর ইলিশা নদীতে বর্ষায় ছিল ইলিশের আকাল। কিন্তু শীতের এই মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে মেঘনা, তেঁতুলিয়া নদীগুলোতে ধরা পড়ছে বিপুল পরিমান ইলিশ। যার বেশির ভাগই হচ্ছে জাটকা। এসব জাটকা ইলিশ ধরে জেলেরা লাভবান হলেও পাইকার আর খুচরা বিক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে লোকসান। এদিকে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড এবং প্রশাসনের নাম সর্বস্ব অভিযানে জাটকা নিধন বন্ধ হচ্ছে না। ফলে আগামী বর্ষায়ও নদীতে ইলিশের আকাল থাকবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
ইলিশা, তুলাতলি, শিবপুর ভোলার খাল, মাঝির হাটসহ বিভিন্ন মাছ ঘাটে গিয়ে জেলে ও পাইকারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও ইলিশা নদীতে বর্ষা মৌসুমে ইলিশ মাছের দেখা তেমন মিলছে না। ধারাবাহিকভাবে লোকসান গুণতে গুণতে দেনার দায়ে জেলে, পাইকার আর আড়তদাররা দিশেহারা। ইলিশের আকাল চলতে থাকায় অনেকেই এ পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। এমন অবস্থায় এবছর শীতের এই মাঝামাঝি সময় হঠাৎ করেই ইলিশ মাছ পড়তে শুরু করেছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। কিন্তু এর বেবশির ভাগ মাছই লম্বা দুই-তিন ইঞ্চি থেকে শুরু করে দশ-বার ইঞ্চির মধ্যে। যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় জাটকা আর ব্যালকা। এইসব মাছের হালি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ আর পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে ফাঁকি দিয়ে জাটকা-ব্যালকা ধরে জেলেদের মুখে হাসি ফুটলেও ওই মাছ বিক্রি করে পাইকার আর অড়ৎদারদের গুণতে হচ্ছে লোকসান।