ড্র করেও খুশি দু’দলের কোচ

যশোর : গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়া এবারের টুর্ণামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিরলো শুন্য হাতে। গত আসরের সেই দলটি এবার আসেনি, এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে খেলছে তাদের অনুর্ধ ২৩ দল। নাম মালয়েশিয়া ফেলদা ইউনাইটেড একাদশ। নেপালও জাতীয় দল নিয়ে আসেনি। এসএ গেমসের প্রস্তুতি হিসেবে তারা এনেছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আর এ ম্যাচে কোন দল গোল করতে না পারায় শনিবার গোল ছাড়াই শেষ হলো নেপাল বনাম মালায়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি। শুক্রবার এই গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ শুক্রবার ৪-২ গোলে হারিয়েছিলো শ্রীলঙ্কাকে।
খেলার শুরু থেকে নেপালকে বেশ চাপে রাখে মালয়েশিয়ার দলটি। ১৯ মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় তারা। ডান প্রান্ত থেকে বল উড়ে গিয়েছিল গোলমুখে। ববি গঞ্জালেস ঠিক মতো হেড নিতে পারলে বল জড়াতে পারতো নেপালের জালে। ৪০ মিনিটে চমৎকার একটি আক্রমণ ছিল নেপালের। বিমল মাগোর বেশ দূর থেকেই শট নিয়েছিলেন। গোলকিপার সেভ করেছেন। বিরতির পর নেপালের রবিন শ্রেষ্ঠ সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করেন। ৫৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার গোলকিপার বড় ডি বক্সের বাইরে উঠে আসেন। বিমলের কাছ থেকে বাঁয়ে বল পেলেন রবিন। কিন্তু সামনে ফাঁকা জাল পেয়েও গোল করতে পারলেন না। ৬৩ মিনিটে আরেকটি আক্রমণ ছিল নেপালের। এবার তার দূরপাল্লার শটটি বারে লাগে। শেষদিকে নেপালই ছিল এগিয়ে। ডান দিক দিয়ে নেপালের বিশাল বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু চমৎকার সেই বলকে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন প্রকাশ।
এর পর শেষ হয় ম্যাচ। যদিও ম্যাচের শেষ অবর্দি গোলের দেখা মেলেনি কোন দলের।
ম্যাচ পরবর্তি সংবাদসম্মেলনে নেপাল দলের কোচ বাল্ম গোপাল মহারাজ বলেন, আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতি সন্তষ্ট, কারন তারা মালায়েশিয়ার মত দেশের সাথে আমরা ড্রয় করতে পেরেছি,এটা আমাদের জন্য কম কিছু নয়।
এর আগে ম্যাচ পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে মালায়েশিয়ার কোচ এরফান ব্যক্তি বলেন, নেপাল বেশ শক্তিশালী দলে পরিনত হয়েছে, ওরা মাঠে সর্বোচ্চটুকু প্রয়োগ করেছে। তিনি বলেন আমাদের ছেলেরাও ভালো খেলেছে।