শুক্রবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » বিনোদন » ‘ছারপোকার কামড় খেয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন দর্শকরা’
‘ছারপোকার কামড় খেয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন দর্শকরা’
ডেস্ক: বাপ্পারাজ আশির দশকের শুরুতে নায়করাজ রাজ্জাক প্রযোজিত ও পরিচালিত ‘চাঁপাডাঙ্গার বউ’ ছবিতে সর্বপ্রথম অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এরপর ‘ঢাকা ৮৬’ ছবিতে অভিনয় করে আরও আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত টানা অভিনয় করে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। বাবার পরিচয়ে নয়, নিজের যোগ্যতায় পরিচিতি পাওয়া এই নায়ক বর্তমানে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করছেন। আজকের ‘আলাপন’-এ চলচ্চিত্রের বর্তমান হাল, নিজের ছবি ও অন্য নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কামরুজ্জামান মিলু
কেমন আছেন? বর্তমানে নতুন কী ছবির কাজ করছেন?
ভালো আছি। বর্তমানে সাফিউদ্দিন সাফির ‘মিসডকল’ ছবিতে অভিনয় করছি। এফডিসিতে ১৩ই ডিসেম্বর থেকে এ ছবির দ্বিতীয় ভাগের কাজ আবারও শুরু হয়েছে। এতেই বর্তমানে সময় দিচ্ছি।
‘মিসডকল’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
এ ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করছি। নাম রানা। একটু সাইকো ধরনের চরিত্র। হঠাৎ করেই রেগে যায় এবং রাগ থেকে একটা সময় খুন করার মনোভাব সৃষ্টি হয়। দর্শকরা দেখলে মজা পাবে বলে আশা করছি।
প্রথম কোন ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন?
প্রথম যতদূর মনে পড়ে ‘হারানো প্রেম’ ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সে ছবিতে মৌসুমী ও ওমর সানি অভিনয় করেন। ছবিটি সে সময় বেশ ভালো ব্যবসা করে।
নায়ক থেকে খলনায়ক চরিত্র করতে কেমন লাগছে?
আমি আমার পরিচালনায় ‘কার্তুজ’ ছবিতেও ভিন্নধর্মী একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। দর্শকরা কখন কোন চরিত্র গ্রহণ করবে বলা মুশকিল। তবে আমার এ পর্যন্ত খলনায়ক হিসেবে করা চরিত্রগুলো দর্শক ভালোই উপভোগ করেছেন। আমিও নিজে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে মজা পাচ্ছি। আশা করছি সামনে এ ধরনের চরিত্রগুলো সবার পছন্দ হবে। আমি গল্প ও চরিত্র দেখে-বুঝে কাজ করছি।
বর্তমানে চলচ্চিত্রের যে হাল সে বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
বর্তমানে ভালো ছবি কয়টা হচ্ছে! দর্শক হলে গিয়ে বুঝে ফেলছে ছবির মেকিং। কারণ, এখন অনেক ছবিই পূর্ণ ছবি হচ্ছে না, টেলিফিল্ম হচ্ছে। হলের অবস্থাও নাজুক। অনেক সিনেমা হলে তো বসার জায়গা নেই। বেঞ্চে বসে পাঁচ ছয়জন মিলে ছবি দেখছে। এত কষ্ট করে বিনোদন নেবে কিভাবে দর্শকরা। বিনোদন নিতে গিয়ে তো কষ্ট পেতে হচ্ছে। ছারপোকার কামড় খেয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন দর্শকরা।
এসব পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসবো কিভাবে আমরা?
আমরা তো কথায় কথায় চেতনার কথা বলি। নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা করার সময় চেতনা কোথায় আমাদের। হলের পরিবেশ, এফডিসির সংস্কারসহ নানা কাজে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশি শিল্পীরা বাংলাদেশে এসে অনেক টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। কোনো ট্যাক্সও দিচ্ছেন না। অথচ আমরা ট্যাক্স দিয়ে আসছি। তারপরও আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। এসব দিকে নজর দেয়া উচিত। না হলে চলচ্চিত্র শিল্প বলে আর কিছু থাকবে না।
শুনলাম নিজে আর কোনো ছবি পরিচালনা করবেন না?
কে বলেছে এসব কথা। যারা বলেছে নিজেদের মনগড়া কথাই বলছে। আমি ছবিতে অভিনয় করছি, আর পরিচালনাও করবো। ছবির স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত আছে। সময় সুযোগ মতো পরিচালনা অবশ্যই করবো।