শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শনিবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » দেশ বাচাঁও মাছ বাচাঁও জাটকা নিধন রোধে সাংবাদিক সম্মেলন
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » দেশ বাচাঁও মাছ বাচাঁও জাটকা নিধন রোধে সাংবাদিক সম্মেলন
৫১৭ বার পঠিত
শনিবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দেশ বাচাঁও মাছ বাচাঁও জাটকা নিধন রোধে সাংবাদিক সম্মেলন

 ---

স্টাফ বিপোর্টার: “রূপালী ইলিশের বাচ্চা” ও জাটকা নিধন রোধ করণ। জাটকা নিধনকারী স্বার্থনেশ্বী ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করণ। প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অধিকার পরিপন্থি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভোলা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর পক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর জাতীয় রূপালী ইলিশ রক্ষার লক্ষ্যে ইলিশ এলাকার নদী সমূহের তীরবর্তী এলাকার দরিদ্র মৎস্যজীবি সম্পাদারের নামে মৎস্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা মাসিক ৪০ কেজি হারে চাউল বরাদ্ধ প্রধান অব্যাহত রেখেছেন। সাংবাদ সংম্মেলনে দাবী করেন, জলমহালে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন সাধন ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি,“জাটকা” সংরক্ষন জাতীয় সম্পদ “রূপালী” ইলিশের   ইঞ্চি বাচ্চা নিধন রোধ করণ,“ রূপালী ইলিশের বাচ্চা জাটকা আহরনের অবৈধ ও বেয়াইনী নিষিদ্ধ উপকরনের নাম ও পরিচয় নি¤œরুপকরা এবং ভোলা মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর বিভিন্ন স্পটে  বৃন্দিজাল, মশারীজাল, ছোট পাশের পকেট কারেন্টজাল, ছোট পাশের নেট খরচি জাল, চর ও নদীর কেনেল গ্রেরা খুটাজাল, পাইজাল, পিটানো জাল, গুণ্ঠিজাল, ছোট পাশের সকল কারেন্টজাল ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে মাছ ঘাট ও জেলেদের নিরাপত্তার খাল এলাকায় অবৈধ উপকরন ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে জরুরী ভিত্তিতে নিষিদ্ধ উপকরন সমূলে নির্মুল করনের জন্য সরকারী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মোবাইল টিম এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভোলা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ  নুরুল ইসলাম অত্যান্ত দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, ২০০৯ সাল থেকে অদ্য পর্যন্ত অত্র সমিতি উপলদ্ধী করিয়া আসিতেছে “ জাটকা” সংরক্ষন অভিযানে সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে আসছেন। উল্লেখ্য যে, এক শ্রেনীর প্রভাবশালী অমৎস্যজীবি স্বার্থনেশী ব্যক্তিগগনের নাম সঠিকভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় “ জাটকা” সংরক্ষন বাস্তবায়নে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বে-আইনী নিষিদ্ধ জাল ও উপকরন নির্মুল করা যাইতেছে না। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত কাম। “জাটকা” আহরণ থেকে বিরত মৎস্যজীবি জেলেদের নামে সঠিক তালিকা না হওয়ায় মৎস্য ভিজিএফ পাওয়া থেকে  বঞ্চিতহচ্ছে। এ ব্যাপারে মৎস্য ভিজিএফ এর চাউল পাওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। উপকরন পাওয়ার বেলায় ও পদ্ধতির পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অপরদিকে ভোলা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক মোঃ আবুল কাসেম মাঝি বলেন.“জাটকা” সংরক্ষনের অভিযানে মৎস্য বিভাগের জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে অভিযান সফলের জন্য নিয়মিত ম্যাজিষ্ট্রেটু সার্বক্ষনিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অংশ হিসাবে আনসার নিয়োগ করা প্রয়োজন।নদী থেকে অবৈধ জাল উচ্ছেদ ও নির্মুল করনের জন্য আর্থিক বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নদী ও সাগরে মৎস্য আহরনকালীন ডাকাতি, লুটপাট, মারধর, প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা যাহাতে মৎস্যজীবিগন মৎস্য আহরন করে স্ব-স্ব স্থানে নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন। এই ব্যাপারে সরকারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ নদ নদী-হাওর বাওর সমুদ্র সহ সকল এলাকায় মৎস্যজীবিদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি পনেরো লাখের উর্দ্ধে রহিয়াছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলমহালে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদন ও সংরক্ষনে প্রয়োজনীয় উদ্ধোগ গ্রহন করিয়াছে। আমরা দূরতার সহিত বলিতে পারি উপকুলীয় ইলিশ এলাকায় “রূপালী ইলিশের বাচ্চা” “জাটকা” যাবতীয় প্রজাতির মাছের ছোট পোনা নিধন রোধ করা হলে উপকুলীয় এলাকা হইতে এক লক্ষ কোটির উপরে মৎস্য সম্পদ আহরন করা সম্ভব হবে এতে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। একমাত্র ভোলা জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে “মা” ইলিশ রক্ষা হওয়ায় নদী দুইটিতে “রূপালী ইলিশের বাচ্চা” ও “জাটকা” অধিক পরিমানে ভরপুর। আমরা দুঃখের সহিত বলিতেছি যে, “রূপালী ইলিশের বাচ্চা” ও “জাটকা” সীমাহনীভাবে নিধন হইতেছে। এই মুহুর্তে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করা না গেলে দেশ ও জাতীর এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। ভোলা জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী ২টিতে “রূপালী ইলিশের বাচ্চা” যেহেতু সীমাহীনভাবে নিধন হচ্ছে সেহেতু জরুরী
ভিত্তিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টিম অদ্য হইতে ৩০ বৈশাখ পর্যন্ত নিয়মিত অভিযান জোরদার করনের জন্য মৎস্য ও প্রাণী এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লতিফ মাঝি, আঃ হাই মাঝি,সুলতান মাঝিসহ ভোলা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ’র নেতৃবৃন্দরা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।