মঙ্গলবার ● ১৭ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিএনপির ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবছে সরকার: মেজর হাফিজ
বিএনপির ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবছে সরকার: মেজর হাফিজ
ঢাকা : ক্ষমতাসীনরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আহ্বানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। বিএনপির ভদ্রতাকে সরকার দুর্বলতা ভাবছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম এ কথা জানান।মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তাই সরকার যদি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দেয় তাহলে বাংলাদেশ অচিরেই জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা চায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বিনাচিকিৎসার কারাগারে ধুকে ধুকে মৃত্যুবরণ করুক। এটাই সরকারের প্রত্যাশা। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,আমরা দল গোছাতে ব্যস্ত।একই সঙ্গে আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ খালেদা জিয়া দেশে ফিরে যে আন্দোলনের ডাক দেবেন, সেই আন্দোলনেই আপনাদের কবর রচিত হবে।বিএনপি জঙ্গিবাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে- সরকার পক্ষের মন্ত্রী-এমপিদের এই বক্তব্য উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, আজ যখন বর্হিবিশ্বেও সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, তখন সরকার বলছে- বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই। অথচ আপনারা বলেছেন, বিএনপি দেশে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করছে। তাহলে কেন এই মিথ্যাচার?বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকার যদি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দেয় তাহলে হাসিনার বাংলাদেশ অচিরেই জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল এবং আইন ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বিএনপিকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন, আমাদের চেয়ারপারসনকে নিয়েও ইতোমধ্যে বাচাল মন্ত্রীরা বলে দিয়েছেন তার কী শাস্তি হবে। এ দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। বিএনপির ভদ্রতাকে আপনারা দুর্বলতা ভাববেন না। বিএনপি জনসমর্থনপুষ্ট অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দল।হাফিজ উদ্দিন আহমেদ হুঁশিয়ারি দেন, এ সরকার যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করার সুযোগ না দেয়, তাহলে এই বাংলাদেশ অচিরেই জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হবে।বিএনপি ৮০ শতাংশ জনগণের জনসমর্থনপুষ্ট দল দাবি করে দলটির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এ বিপুল জনসমর্থনকে যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, জনগণের ক্ষমতায়, জনগণের সেবায় রূপান্তরিত করা না যায়, তাহলে সত্যি সত্যি সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন বা ইরাকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে শেখ হাসিনার বাংলাদেশে। তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা চায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বিনাচিকিৎসার কারাগারে ধুকে ধুকে মৃত্যুবরণ করুক। এটাই সরকারের প্রত্যাশা ও বর্তমান হালচিত্র।বিএনপি আইএস ও জঙ্গিবাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে- সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের এই বক্তব্যে উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, আজ যখন বর্হিবিশ্বেও সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, তখন সরকার বলছে- বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই। অথচ আপনারা বলেছেন, বিএনপি দেশে সকল হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করছে। তাহলে কেনো এই মিথ্যাচার করছেন? স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি শীর্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির হোসেন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।