রবিবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » বিনোদন » ‘আগে আমাদের নিজেদের ঠিক করতে হবে’
‘আগে আমাদের নিজেদের ঠিক করতে হবে’
একজন অভিনেতা হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় মীর সাব্বির। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণেও বেশ সমাদৃত তিনি। এখন অভিনয় ও নির্মাণ দুটোই সমানতালে করছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
ঈদের নাটকে কাজ কেমন হলো?
বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে দুই একটি প্রচার হয়েও গেছে। বলতে পারেন ৭ থেকে ৮টি নাটক ও টেলিছবিতে আমাকে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে হানিফ সংকেত, মারুফ মিঠু, কায়সার আহমেদ, মাতিয়া বানু শুকু, শেখ সেলিম, দীপঙ্কর দীপন সহ বেশ কয়েকজন নির্মাতার নাটকে অভিনয় করেছি। প্রতিটি নাটকের গল্প বেশ দারুণ। দর্শকের জন্য ঈদে বিশেষ কিছু চমক অপেক্ষা করছে।
আপনার নির্মিত কি থাকছে?
প্রতি ঈদে চেষ্টা করি একাধিক নাটক নির্মাণ করার। তবে এবার শুধু একটি টেলিফিল্মই নির্মাণ করেছি। এর নাম হলো ‘রতনে রতন চিনে’। এ গল্পটি অনেক মজার। চিত্রনাট্যে ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করেছি। দর্শক দারুণ উপভোগ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। এর গল্পে দেখা যাবে, ছত্তার নামে এক ষাট বছরের বৃদ্ধ, তার সহায় সম্বলহীন নাতনী লাইলীকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। সম্পর্কের সূত্রে তারা নানা নাতনী না হলেও জীবিকার প্রয়োজনে তারা এই সম্পর্কে জড়িয়েছে। মজনু নামের এক পকেটমারের সঙ্গে কাজের সূত্রে নানা ছত্তারের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে লাইলীর সঙ্গে মজনুর সখ্য গড়ে ওঠে। মজনুর কাছে উন্মেচিত হয় ছত্তার ও লাইলি তার চেয়েও বড় প্রতারক। একুশে টেলিভিশনে ঈদের পঞ্চম দিন বিকাল ৩টা ৩০মিনিটে প্রচার হবে
আজ সহ ঈদের ৩য় দিন হতে চলল। বিভিন্ন চ্যানেলে নাটকও প্রচার হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত দর্শক চাহিদা কতটুকু পূরণ হবে বলে মনে করছেন?
আমি তো বরাবরই এ ব্যাপারে পজিটিভ ধারণা রাখি। দর্শক সারা বছর দুটো ঈদের জন্য অপেক্ষা করেন। সে জায়গা থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন ধারার কিছু নাটক উপহার দেয়ার চেষ্টা করেন। এবারও সবার মধ্যে সে ধরনের একটা প্রচেষ্টা খেয়াল করেছি। আশা করছি ঈদের প্রতিটি নাটক দর্শক ভালভাবেই উপভোগ করবেন। পাশাপাশি সবার প্রত্যাশা পূরণ হবে এমনটাই মনে করছি।
আপনার নিজ পরিচালনায় প্রচার চলতি ‘নোয়াশাল’ নাটকটির কি অবস্থা?
বেশ ভাল। এরই মধ্যে অনেক পর্ব প্রচার হয়ে গেছে। পরিচালকের অবস্থান থেকে যদি বলি, নাটকটি দর্শকমহলে খুব সাড়া ফেলেছে।
নতুন কোন ধারাবাহিক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন?
এখনও সব চূড়ান্ত হয়নি। স্ক্রীপ্ট নিয়ে বসতে হবে। ঈদের পর কাজটিতে হাত দেবো। আমি আসলে এমন কিছু নির্মাণ করতে চাই যা দর্শকের সারা জীবন মনে থাকে। তাই নোয়াশালের পর যদি কিছু করি সেটা অবশ্যই সময় নিয়ে করবো। তাছাড়া তাড়াহুড়ো করে কোন কাজ করতে গেলে সেটা খুব একটা ভালও হয় না।
ধারাবাহিকে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণও করছেন। গল্প ঝুলে যাওয়ার একটা অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
আসলে এটা নির্ভর করে গল্পের ওপর। পাশাপাশি নির্মাণের ওপরও অনেক জোর দিতে হয়। যারা কাজ ভাল করেন তাদের নাটক লম্বা সময় ধরে চলে। এবং সে সঙ্গে দর্শক দেখেনও। আর যাদের গল্প বা চিত্রনাট্য প্রথম কয়েক পর্বের জন্য তাদের নাটকের গল্প ঝুলে পড়বে কিংবা দর্শক সাড়া মিলবে না এটাই স্বাভাবিক।
দর্শক ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। এ ব্যাপারে আপনি কি মনে করছেন?
আসলে ভারতীয় চ্যানেল দেখা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। এটা যার যার রুচিবোধের ব্যাপার। আমি কি দেখবো না দেখবো সেটা একান্তই আমার ব্যাপার। তবে এখানে কথা হচ্ছে আগে আমাদের নিজেদের ঠিক করতে হবে। দর্শক অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন প্রচার হয় বলে ভারতীয় চ্যানেল দেখেন। আমরা যদি সে সমস্যার সমাধান করতে পারি তবেই তাদের ফেরানো সম্ভব বলে আমি মনে করি। আর শুধু বিজ্ঞাপন একা দায়ী নয়, আমাদের ভাল নাটকও দর্শকের জন্য তৈরি করতে হবে। তাহলে ইতিবাচক কিছু আশা করা যাবে।
আপনার ব্যাক্তিজীবন কেমন যাচ্ছে?
আমি ব্যাক্তিজীবনে অনেক সুখী। এটা এখন নয় । বরাবরই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি সুখের জীবনযাপন করে আসছি।
ঈদের ছুটিতে প্রায়ই দেশের বাইরে বেড়াতে যান। এবার গেলেন না কেন?
আসলে বিশেষ কোন কারণ নেই। সবসময় তো আর ভাল লাগে না। এবার ইচ্ছা ছিল না। তাই আর কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করিনি।