শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চাকরির খবর » জিম্মিদশা থেকে মুক্ত দখিনের যাত্রীরা
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত দখিনের যাত্রীরা
বরিশাল • নৌ রুটে অত্যাধুনিক দুটি ডে-সার্ভিস ও আকাশ পথে দুটি বিমানের ফ্লাইট চালু থাকায ঈদ উপলক্ষ্যে এবারই কেবল দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চ মালিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হতে চলছেন। ফলে এতদাঞ্চলের ঘরমুখো লাখো মানুষের কাছে এবারের ঈদটি হবে ঝামেলা মুক্ত এক ভিন্ন আমেজের। সূত্রমতে, টানা ৯ বছর বন্ধ থাকার পর গত ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হয়। তার মাত্র দুইমাস পরেই (জুলাই মাসে) চালু হয় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার ফ্লাইট। সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানের দুইটি ও ইউএস বাংলার চারটি ফ্লাইট যখন আকাশ পথে যাত্রী পরিবহনে বেশ সাফল্য পাচ্ছে, ঠিক তখনই নৌ-পথে চালু হয়েছে গ্রীণ লাইন নামের দুইটি অত্যাধুনিক নৌ-যানে ডে-সার্ভিস। সূত্রে আরও জানা গেছে, গ্রীণ লাইন-২ ও গ্রীণ লাইন-৩ নামের নৌ-যান দুইটি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা ও বেলা সাড়ে তিনটা এবং বরিশাল থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা ও বেলা আড়াইটায় এগুলো যাত্রা শ্রু করে। প্রতিদিন গড়ে উভয়প্রান্ত থেকে দুই সহ¯্রাধিক যাত্রী এ নৌ-যানে মাত্র ৫ ঘন্টায় গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন। আর আকাশ পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। আকাশপথে বিমান ও নৌ রুটে ডে-সার্ভিস চালুর আগে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর একমাত্র ভরসা ছিল বেসরকারি কোম্পানির লঞ্চের ওপর। এসব লঞ্চ বরিশাল ও ঢাকার সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যায় রওয়ানা দিয়ে পরদিন সকালে গন্তব্যে পৌঁছায়। এসব লঞ্চে গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় লাগে। সে তুলনায় ভাড়াও বেশি। তাছাড়া রোটেশন পদ্ধতির কারণে চাহিদার তুলনায় কম লঞ্চ চলাচল করার কারণে টিকিট সংকটে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর এর বরিশাল মহানগর সদস্য সচিব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজল ঘোষ বলেন, এখন বিমান ও অত্যাধুনিক নৌযানে ডে-সার্ভিস চালু হওয়ায় নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। অতীতের ন্যায় এখন আর কারো হাতে জিম্মি হয়ে থাকতে হচ্ছে না যাত্রীদের।