সোমবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরায় মেঘনার ভাঙনে ২ গ্রামের ৪ শতাধিক বাড়ি বিলীন
মনপুরায় মেঘনার ভাঙনে ২ গ্রামের ৪ শতাধিক বাড়ি বিলীন
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা • মনপুরার মেঘনা যেন রাক্ষুসে রুপ ধারন করেছে। গত একমাসে মেঘনার ভাঙনে উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আন্দিরপাড় ও পশ্চিম আন্দিরপাড় দুইটি গ্রামের ৪ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার মেঘনার ভাঙনের কবলে পড়লে শতাধিক বছরের পুরনো পন্ডিত মিয়ার বাড়ির দরজার মসজিদটি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
ভাঙন কবলিত এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরি বাড়ির মন্দিরসহ শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রায় হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, পুরানো রামনেওয়াজ বাজার, আন্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মনপুরা আন্দিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়।ভাঙনের কবলে ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর হারিয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বেড়ীবাঁধে ও সরকারি খাস জমিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর বসবাস করছে। রামনেওয়াজের বাসিন্দা অলি উল্লা বেপারী বলেন, বাবারে কি কমু দিশা নাই। এইপর্যন্ত ৪ বার বাড়ি মেঘনায় ভাঙছে। কি করুম পরিবার নিয়া কলাতলী চরে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙনের তীব্রতায় শেষ সম্বলটুকুু (বাড়ি) বাঁচানোর চেষ্ঠা করছেন মানুষ। গত একমাসে সুজা মিয়ার বাড়ি, নবাব মিয়ার বাড়ি, মুন্সি বাড়ি, রুহুল মিয়ার বাড়ি, তাজল মিয়ার বাড়ি, মফিজ মিয়ার বাড়ি, রুহুল আমিন মিয়ার বাড়ি, খালেক মুন্সি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনবার ভেঙে যাওয়া কাটাখাল বাজার ও মৎস্য ঘাটটি ফের ভাঙনের মুখে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, মেঘনার ভাঙনে উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়ন ছোট হয়ে আসছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ভাঙনের কবল থেকে মনপুরা ইউনিয়নটিকে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।