বোরহানউদ্দিনে হোটেলে ভেজাল খাবারে শয়লাব ॥ নেই প্রশাসনের তদারকি

আবদুল মালেক, বোরহানউদ্দিন • বোরহানউদ্দিন উপজেলায় যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর হোটেল। ওই সকল হোটেলগুলোতে ভেজাল যুক্ত খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন তদারকি নেই।

জানা গেছে, পৌর শহর সহ এ উপজেলায় প্রায় ১২২ টি হোটেল রয়েছে। হোটেগুলোর সামনের অবস্থা একটু সাজসজ্জায় থাকলেও যে স্থানে দাঁড়িয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে ওই সকল স্থানের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। এসকল হোটেলে ঢুকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখলে খাবার খেতে কারই ইচ্ছে করবে না। কিন্তু দিনের পর দিন অনেকটা বাঁধ্য হয়েই এসকল অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। কিন্তু এতে মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। পৌর শহরের হোটেল গুলো সহ উপজেলার গ্রামগঞ্জের হাট বাজারে গড়ে উঠা হোটেল গুলোর ভিতরের অবস্থা করুন। হোটেলের স্টাফদের নোংড়া পরিবেশে তৈরি করা খাবার আমরা সবাই খাচ্ছি। কি খাচ্ছি এগুলো একটু চিন্তা করে দেখলে বিবেক নাড়া দেবে। এসকল অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। কুঞ্জেরহাট মদিনা হোটেলে ঢুকতেই দুর্গন্ধে নাখ চেপে রাখতে হয়। এ অবস্থায় হোটেল বয়রা এসে রুম স্প্রে করে। এ দুুর্গন্ধের উৎসহ খুঁজতে হোটেলের রান্না ঘরে ঢুকতে দেখা যায় কি নাজেহাল অবস্থা। রান্না ঘরের দরজার পাশেই প্র¯্রাব খানা আর ময়লা ফেলার স্থান। ওই অবস্থা দেখতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। রান্না ঘরে মিষ্টি পাতিলে ঢাকনা নেই নোংড়া পরিবেশে ওই স্থানে দাঁড়িয়েই চা নাস্তা তৈরি করছে বাবুর্চিরা। এ দৃশ্য কোন লোক দেখলে হোটেলের খাবার খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিতো। রান্না ঘরের দরজা খোলা লোকজন আসে আর ওই স্থানে প্র¯্রাব করে। ওই সকল দুর্গন্ধ হোটেলের খাবারের সাথে মিশে গিয়ে খাবার দূষিত করছে। হোটেলের মালিক জানালেন তার হোটেলের সামনে বাস এসে দাঁড়ায় ওই বাসের যাত্রীরা এখানে প্র¯্রাব করে এবং জায়গায় না থাকার কারনে এ স্থানে ময়লা ফালানো হচ্ছে। তাতেই একটু দুর্গন্ধ হচ্ছে। শুধু এ হোটেলটির এমন দৃশ্য নয় এরকম অসংখ্য হোটেল রয়েছে। এর পূর্বে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকবার এ সকল হোটেল রেস্তোরায় ভেজাল বিরোধী অভিযানে অনেকটা পরিবর্তন এসেছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন ওই সকল হোটেলগুলোতে কোন তদারকি না থাকার কারনে এ রকম চিত্র হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সাধারন পথচারীরা এসকল খাবার অনেকটা পেটের দায়ে বাঁধ্য হয়েই খাচ্ছেন। আর এসকল খাবার খেয়েই অনেকে কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সচেতন মহলের দাবী এসব ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের খাবার হোটেলে প্রশাসনের নজর দারী বাড়ানো হোক। এব্যাপারে উপজেলা স্যানেটারী ইন্সেপেক্টর মোঃ নাসির আহম্মেদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, শীগ্রই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে এসকল হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন।