

সোমবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিশ্ব » রাখাইনে ৩ হাজার রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের শিকার
রাখাইনে ৩ হাজার রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের শিকার
ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইনে তিন হাজার জাতিগত রোহিঙ্গা মুসলিম দেশটির সেনা ও মিলিশিয়া বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য দিয়েছেন। রোববার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়া কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা জানান, এ পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট দূর করতে কীভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায় এ নিয়ে ব্রিফিংয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিকাল ৪টার দিকে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের আলাদাভাবে ব্রিফ করেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার বাহিনীর অবরোধের মুখে গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশনে হামলা ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এরপর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপেরও ব্যাপক ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে পুঁতে রাখা হয় স্থলমাইন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা এবং নারীদের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে। তাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বয়োবৃদ্ধ নারী এবং শিশুরাও। প্রাণ বাঁচাতে স্রোতের বেগে তারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর মুখপাত্র ভিভিয়ান জানান, গত কয়েকদিনে জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।