

শনিবার ● ১৫ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » বিনোদন » দিলদারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এতোদিন পরে যা বললেন নাসরিন
দিলদারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এতোদিন পরে যা বললেন নাসরিন
ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদার আর অভিনেত্রী নাসরিন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের চলে যাওয়ার ১৪ বছর হয়ে গেল আজ। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় তাঁর। ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ ছবিতে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের সেরা কৌতুকাভিনেতা দিলদারের সঙ্গে শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নাসরিন। নাসরিন আজও বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে দিলদারের নায়িকা হিসেবেই বেশি পরিচিত। আজ এই অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে সবার কাছে দোয়া চেয়ে স্মৃতিচারণা করেন নাসরিন।
আলাপচারিতায় নাসরিন বলেন ‘দিলদার ভাইকে আমি পাগল বলে ডাকতাম। উনিও আমাকে পাগলি বলে ডাকতেন। আমরা দুজনে জুটি হিসেবে একশর বেশি ছবিতে কাজ করেছি। শুটিংয়ের সময় ক্যামেরার সামনে আমাদের রসায়নটা ভালো থাকলেও ক্যামেরার পেছনে আমরা সব সময় ঝগড়া করতাম।’
দিলদারের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, ‘আমি ১২ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করি। মর্জিনা আপা (ঢালিউডের আরেক কৌতুকাভিনেত্রী) তখন দিলদার ভাইয়ের নায়িকা হয়ে কাজ করেন। আর আমি তখন এফডিসিতে যাওয়া আসা করি মাত্র।’
‘এরপর এ টি এম শামসুজ্জামান ভাই আমাকে একটি ছবির নায়িকা হিসেবে সিলেক্ট করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই ছবিটি আর করা হয়নি। এরই মধ্যে দিলদার ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মর্জিনা আপা। একদিন দিলদার ভাই আমাকে উনার সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেন। আমিও খুশি মনে কাজ শুরু করি। তারপর থেকে উনার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা একশর বেশি ছবিতে কাজ করেছি।’
দিলদারের সঙ্গে আছে হাজার মধুর স্মৃতি জানিয়ে নাসরিন বলেন ‘আমি দিলদার ভাই, সালমান শাহ, শাবনুর আপা এক সেটে থাকলে খুব মজা হতো। কারণ আমি আর দিলদার ভাই সব সময় একে অন্যের পেছনে লেগে থাকতাম। আর সালমান শাহ আর শাবনুর আমাদের মধ্যে মজা করে ঝগড়া লাগিয়ে দিতেন। আবার আমরা যখন খুব বেশি ঝগড়া করতাম তখন তারা আমাদের বলত যে তারা মজা করেছে। এভাবেই আসলে কখন যে জীবনের এতোগুলো দিন কাটিয়ে দিলাম বুঝতেই পারিনি। এখন যখন বুঝি, তখন সেই ঝগড়াগুলোই আমার কাছে সবচেয়ে মধুর স্মৃতি।’
অভিনেতা দিলদারের সঙ্গে কাজের বিষয় নাসরিন বলেন ‘কাজের বিষয়ে ভাই অনেক সিরিয়াস ছিলেন। যখন যে ছবির শুটিং হতো, গল্পের চরিত্রটা তিনি নিজের মধ্যে ধারণ করতেন। আমাকে চরিত্রটা বুঝিয়ে দিতেন। ক্যামেরার পেছনে অভিনয় করাতেন। ক্যামেরার সামনে এমনভাবে কাজ করতেন যে, আমরা যে অভিনয় করছি সেটা বুঝতে দিতেন না। সত্যি কথা বলতে দিলদার ভাইকে সব সময় অনেক বেশি মিস করি।’