মঙ্গলবার ● ১৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দীপ্তি গল্পের অসমাপ্ত রয়ে যাবে কি ?
দীপ্তি গল্পের অসমাপ্ত রয়ে যাবে কি ?
ছোটন সাহা: তবে কি হেরে গেলেন দীপ্তি? প্রশ্নটি বিবেকের কাছে। ৯ দিন অনশনের পর অবশেষে তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে। তবে কেন এ পরিনতি ঘটলো? কেমন বিচার পেল দীপ্তি। এ কেমন নির্মমতা? হয়ত এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তবে অধিকার বঞ্চিত দীপ্তিকে যেতে হলো চোঁখের জলে বিদায় নিয়েই।
দীপ্তি জানায়, অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় এবং শশুর বাড়ির স্বীকৃতির দাবীতে লালমোহনে চলে আসেন তিনি। ৯ দিন পর সোমবার দায়িত্ব নেয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হলো তার স্বামীকে খুজে বের করে আনলেই তাকে সহযোগীতা করা হবে। কিন্তু একা দ্বীপ্তি কিভাবে খুজবে তার স্বামী উজ্জ্বল দাসকে। যে কিনা আত্নগোপনে রয়েছে।
গত কয়েকদিন থেকে দ্বীপ্তিকে নিয়ে মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়। দ্বীপ্তি ভেবে ছিলেন অন্তত স্বামীর ঘরে তার আশ্রয় মিলবে তার। কিন্তু তার আর হলো না। এখন চোখের জলে বিদায় নিতে হবে তাকে।
প্রশ্ন হলো দীপ্তি কি ন্যায় বিচার পেল। একাকি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এ অন্তসত্ত্বা গৃহবধু অসহায় হয়ে পড়েছেন। কেড়ে নেয়া হলো তার শেষ ভরসাস্থলটিও। মাথা গোজার ঠাই না পেয়ে দ্বীপ্তি জীবন এখন অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে।
লোক জানাজানি হলে স্বামী এবং শশুর বাড়ির বদনাম হবে ভেবে যে মেয়েটি নিরবে এসে দেখা করতে এসেছিলো শশুর-শাশুরির সাথে। কিন্তু সেটি অবশেষে হয়নি। তাকেই বাধ্য করা সবাইকে জানাতে। যা গড়ালো মিডিয়া পর্যন্ত। স্বামী এবং শশুরের জেল হবে ভেবে যে নারীটি থানা কিংবা কোর্টে মামলা করেনি সেই মামালায় উল্টা জড়ানো হলো দীপ্তি রানী দাসকে। মামালা মাথায় নিয়েই শেষ হলো দ্বীপ্তি গল্পের।
দ্বীপ্তির ঘটনায় নিশ্চুপ সুশিল সমাজ। দু’একজন ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি অসহায় দ্বীপ্তির পাশে। পাসে ছিলো না মানবাধীকার সংগঠন। দায় এগিয়ে গেলো স্থানীয় প্রশাসনও। তবে জানা গেছে উজ্জলের বাবা কালিপ্রদ তার ছেলের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আবেদন করেন। ভবিষ্যতে কখনও তার সাথে তার সন্তানের কোন সম্পর্ক থাকবে না মর্মে।
যা হোক, দ্বীপ্তি গল্পের সাথে ঘটে গেল নানা ঘটনা, নানা নাটক আর জীবনের কাছে হেরে যাওয়া এক অসহায় দ্বীপ্তির গল্প! তবে দ্বীপ্তির আসল পরিচয় নিয়ে বিতর্ক থেকেই গেলো?