শিরোনাম:
●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী ●   ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ভোলার তানভীর শিকদার, বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন ●   ভোলা কাঁচা বাজারের প্রবেশমুখে দোকান নির্মাণ, ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের ক্ষোভ! ●   লালমোহনে তোলপাড় কৃষ্টি সংসারের সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা ●   তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ●   মনপুরায় বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ●   ভোলা সদর হাসপাতালের স্টাফের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা ●   ভোলায় আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায় কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ভোলা, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০

ভোলার সংবাদ
শুক্রবার ● ৯ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বিনোদন » কোন কারণে লায়লিকে পায়নি মজনু? জেনে নিন সেই ইতিহাসের কাহিনী
প্রথম পাতা » বিনোদন » কোন কারণে লায়লিকে পায়নি মজনু? জেনে নিন সেই ইতিহাসের কাহিনী
৫৭৭ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৯ জুন ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কোন কারণে লায়লিকে পায়নি মজনু? জেনে নিন সেই ইতিহাসের কাহিনী

---

ডেস্ক: কালজয়ী প্রেমকাহিনী লায়লি-মজনু। অসাধারণ এই প্রেমকাহিনীর আছে অসংখ্য সংস্করণ। তবে মূল কাহিনী প্রায় সব জায়গাতেই এক। ভিন্নতা শুধু কাহিনীর উপাদানে। কাহিনীর সব সংস্করণেই নায়ক-নায়িকার মাঝে দুস্তর ফারাক। এবং বেশির ভাগ কাহিনীতে নায়ক রাজপুত্র এবং কবি নায়িকা এক বেদুইন সর্দারের মেয়ে। আর লক্ষ্য করার মতো বিষয়টি হচ্ছে, মজনু তার ‘মজনু’ নামে যুগে যুগে দুনিয়াজুড়ে আলোচিত হলেও অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন ‘মজনু’ তার আসল নাম নয়। কয়েস (কায়েস) বিন ওমর নামের প্রাচীন আরবের বিখ্যাত এক কবি তিনি। তার জীবনের প্রেমকাহিনীর ছায়া থেকেই এর জন্ম। যাই হোক, লায়লির প্রেমে উন্মাদ হয়েছিলেন বলেই তার আরেক নাম মজনু (মজনু বা মাজনুন নামের অর্থটাও কিন্তু তাই- প্রেমন্মাদ।) এমনকি নির্ভরযোগ্য বেশ কিছু সংস্করণে নায়কের নাম ‘কয়েস’ই রাখা হয়েছে।

সংক্ষেপে লায়লি-মজনুর কাহিনী এ রকম- ছেলে কয়েসকে নিয়ে একটি সরাইখানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন আল বাহরামের রাজ্যচ্যুত সুলতান অমর-বিন-আব্দুল্লাহ। সে সময় কয়েসের মন দেওয়া-নেওয়া হয় সর্দার আল মাহদির কন্যা লায়লির সঙ্গে। কয়েসের সব কবিতাই ছিল তার প্রাণপ্রিয় লায়লিকে নিয়ে। সুযোগ পেলেই সে কবিতা শোনাতে ভুলত না প্রিয়তমাকে। লায়লির ছিল মাত্রাতিরিক্ত পশুপ্রেম। লায়লির পোষা কুকুরটির নাম ছিল ‘ওজজা’। জিন্দান নামের আদরের একটি হরিণও ছিল লায়লির। অচিরেই কয়েস- লায়লির প্রেমের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় বুরিদানের বদমাশ বাদশা নওফেল।

শিকারী নওফেলের তীরবিদ্ধ হয়ে মারা যায় জিন্দান। শোকে মুহ্যমান লায়লি অভিশাপ দেয় অবিবেচক নওফেলকে। এভাবেই নওফেল প্রথম দেখে লায়লিকে এবং মরিয়া হয়ে ওঠে অসামান্য রূপসী লায়লিকে পাওয়ার জন্য। শাহজাদা কয়েস আর লায়লির বিয়ের সব আয়োজন যখন সু-সম্পন্ন, দরবার কক্ষে যখন বসেছে শাদির মাহফিল তখন কোথা থেকে ছুটে আসে লায়লির প্রিয় কুকুর ওজজা। প্রেয়সি লায়লির জন্য ব্যাকুল কয়েস বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ‘এই মুখে তুই লায়লির পদচুম্বন করেছিস’ বলে চুমু খেয়ে বসে ওজজার মুখে। সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ছিঃ ছিঃ পড়ে যায়। সবাই বলতে থাকে শেষ পর্যন্ত বিয়ের আসরে বসে কুকুরের মুখে চুমু।

এ যে বন্ধ পাগল! এ ঘটনায় বেঁকে বসেন বাদশা স্বয়ং। ফলে বিয়ে ভেঙে যায়। তখন বাধ্য হয়ে শাদির মাহফিল থেকে ফিরতি পথ ধরে অপমানিত কয়েস। উপায় না দেখে সওদাগর আল মাহদি রাজি হয়ে যান কুচক্রী নওফেলের সঙ্গে লায়লির বিয়ে দিতে। এদিকে ভগ্ন হৃদয় কয়েস নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মরুভূমিতে। ফুলশয্যার দিনে অবিশ্বাস্যভাবে ফলে যায় লায়লির দেওয়া অভিশাপ। নিজের হাতে পান করা শরবতের বিষক্রিয়ায় মারা যায় নওফেল। কুকুর ওজজাকে নিয়ে অন্ধকার রাতে পালিয়ে যায় লায়লি। প্রিয়তম কয়েসের ডাক ভেবে মরীচিকার পেছনে হন্য হয়ে ছুটতে থাকে সে। রাতে মরুভূমির লু হাওয়া মরুঝড় সাইমুমে রূপ নেয়। পরদিন পথচলতি কাফেলা বালির স্তূপের নিচে আবিষ্কার করে লায়লি, কয়েস আর কুকুর ওজজার লাশ।

সেদিন বিয়ের আসরে লায়লি প্রেমে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে কুকুরকে চুমু না খেলে এই প্রেমকাহিনীর ইতিহাস অন্যরকমও হতে পারত।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2023 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।