রবিবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় জ্বিন ধরা পড়েছে প্রথম লেখা -এম হাবিবুর রহমান
ভোলায় জ্বিন ধরা পড়েছে প্রথম লেখা -এম হাবিবুর রহমান
ভোলাকে যিনি সারা দেশসহ বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন তার লিখনি আর ছবির মাধ্যমে, যিনি তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন সাংবাদিকতা পেশায় তিনি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান। সম্প্রতি ভোলার জনপ্রিয় ও সর্বাধিক প্রচারিত এবং পঠিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভোলার সংবাদ ডট কম এর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন তার না বলা কথা। ভোলাসহ ৭টি উপজেল প্রথম ও ৪০ উর্ধ্ব সাংবাদিকদের ধারাবাহিক সাক্ষাতকার প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে ভোলার সংবাদ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ভোলার প্রবীন সাংবাদিক ও ভোলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি এম হাবিবুর রহমান এর না জানা কথা। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন ভোলার সংবাদ ডট কম এর প্রধান সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রিয়াজ। সাথে ছিলেন ভোলার সংবাদ এর সম্পাদক ও প্রকাশক মো. ফরহাদ হোসেন ও আবদুর রহমান তুহিন।
ভোলার সংবাদঃ- ভোলা সদর উপজেলার চরনোয়াবাদে ১৯৪৪ সালের ৩১ জানুয়ারী জন্ম এম হাবিবুর রহমানের। বাবা মো. সেকান্দর আলী শিকদার ও মাতা সায়েদা খাতুন এর ৫ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে এম হাবিবুর রহমান ২য় সন্তান। শৈশব কাটে চরনোয়াবাদে। পড়াশুনা করেছেন ভোলায়, কুমিল্লায় এবং প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এম হাবিবুর রহমান’র স্ত্রী আহমুদা বেগম ভোলার প্রথম মহিলা কমিশনার ছিলেন। ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে গুণি এই সাংবাদিকের। ছেলে হামিদুর রহমান হাসিব বাবার আদর্শকে সামনে রেখে সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা পেশায় মনোনীবেশ করেছেন। তিনি দৈনিক জনকন্ঠ ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি। এম হাবিবুর রহমান তারা সারাটি জীবন সাংবাদিকতায় ব্যয় করেছেন। ত্যাগী এই সাংবাদিক সম্প্রতি ভোলার সংবাদ ডট কম এর মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাতকার প্রদান করেন। নিন্মে তা তুলে ধরা হলো।
ভোলার সংবাদঃ-
কেমন আছেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
ভোলার সংবাদঃ-
আপনার প্রথম সাংবাদিকতার শুরু কিভাবে?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতা শুরু। ১৯৬৯ সালের ১৫ জানুয়ারীরর কথা। আমি তখন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ি। থাকতাম ইকবাল হলে। আমার বন্ধু মফিজুল ইসলাম টুকটাক লেখালেখির সাথে জড়িত ছিলো। একদিন সে আমাকে মতিঝিলে অবস্থিত দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকা অফিসে নিয়ে যায়। তখন দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এহতেশাম চৌধুরী তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তিনি আমার সাথে আলাপ কালে জানতে পারলেন আমার বাড়ি ভোলায়। তিনি বললেন দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের কোন সংবাদ প্রতিনিধি নেই। আপনি চাইলে আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন। আমি তার কথায় রাজী হয়ে গেলাম। আমার বয়স তখন ২৪ কি ২৫ বছর। হঠাৎ খবর পেলাম ভোলা সদরের গাজীপুর রোডের এক বাড়িতে জ্বিন ধরা পড়েছে। ঘরে জীন এসেছে এমন গল্পের মাধ্যমেই তৈরী করে ফেললাম জীবনের প্রথম রিপোর্ট। নিজের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি ও লেখা ডাক মরফত পাঠিয়ে দেই দৈনিক পূর্বদেশ অফিসে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর ঢাকার বাইতুল মোকাররম এলাকায় হাটা হাটি করছিলাম। হঠাৎ পত্রিকার হকারের কন্ঠে শুনতে পেলাম সে বলছে দৈনিক পূর্বদেশে জ্বিন ধরা পড়েছে। হকারকে থামালাম ও একটি পত্রিকা কিনে নিলাম। তখন পত্রিকা পড়ে দেখলাম নিজের লেখাই শিরোনাম হয়েছে পত্রিকায়।
ভোলার সংবাদঃ-
প্রথম লেখা রিপোর্টের শিরোনাম কি ছিল?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
“ভোলায় জ্বিন ধরা পড়েছে” এই শিরোনামেই ছাপা হলো আমার প্রথম রিপোর্ট। যার স্মৃতি আজোও মনে আছে আমার।
ভোলার সংবাদঃ-
কোন কোন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
এছাড়া আমি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এ ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাতেশ বেতারে ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিছুদিন দৈনিক জনকন্ঠে কাজ করেছি।
ভোলার সংবাদঃ-
৭০ এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে কি দেখলেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
৭০ এর জলোচ্ছ্বাসে ভোলাতেই ছিলাম। ভোর বেলা বাইরে বেড়িয়ে দেখি রাস্তা ঘাট সব পানিতে ডুবে আছে। এরপর জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা দেখতে শিবপুর গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি লাশের স্তুপ। সারি সারি লাশ। লাশের ছবি তুললাম। গাছে গাছে লাশ ঝুলছে। একটা নিউজ লিখে ফেললাম। কিন্তু পাঠাবো কিভাবে? এই দুশ্চিন্তায় পরে গেলাম। তখন ভোলার এডিও ছিলেন সৈয়দ মনির উদ্দিন। তিনি আমাকে সংবাদ পাঠানোর ব্যপারে সাহায্য করলেন। থানার টেলিগ্রাম থেকে বরিশাল অফিস সেখান থেকে ঢাকার মগবাজারে টেলিগ্রাম অফিস হয়ে পত্রিকা অফিসে মেসেজ পাঠানোর চেষ্ঠা করতে থাকলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। শেষমেশ রাত সাড়ে বারটার দিকে মেসেজটি পাঠাতে সক্ষম হই। এরপরদিন মাছ ধরা ট্রলারে করে ছবির নেগেটিভ পাঠালাম ঢাকায়। ৪দিন পর বহির্বিশ্ব জানতে পারলো ভোলার সেই ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের কথা। “ভোলার গাছে গাছে লাশ ঝুলছে” এই শিরোনামে ছাপা হলো সংবাদ।
জলোচ্ছ্বাসের ফলে অনেক মানুষ ও পশুর লাশ নদীতে ভাষতে থাকে ফলে মেঘনায় ১৫ থেকে ২০দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিলো। সেই স্মৃতি আজো কাঁদায় আমাকে। জলোচ্ছ্বাসের ১৭ দিন পর লালমোহন গেলাম। সাথে ছিলেন দৈনিক অবজারভার পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি সাদেক ভাই। লালমোহন থেকে সাইকেল ভাড়া করে ধলীগৌরনগর গেলাম। সেখানে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আমরা লাশ খোঁজার আগে কুকুর খুঁজতাম। কুকুর দেখলেই লাশের সন্ধান পাওয়া যেত। হঠাৎ ধান ক্ষেতের মধ্যে কুকুরের ডাকা ডাকি শুনে দাড়ালাম। কাছে গিয়ে দেখলাম লাশ আর লাশ। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আলো না থাকায় আর ছবি তুলতে পারলাম না। এরপরদিন দিনের বেলায় গিয়ে ছবি তুললাম। সেখানকার মানুষ ১৭দিন পর ১৪ ছটাক করে আটা পেয়েছিল। আর প্রতি লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল ২০টাকা। এসব নিউজ সংগ্রহ করে পাঠালাম পত্রিকায়। ছাপা হলো তা। দেশবাসী সহ বহির্বিশ্ব জানতে পারলো জলোচ্ছ্বাসের সেই ভয়াবহতা সম্পর্কে। এরপরের দিন গেলাম চরফ্যাশনে। সাথে ছিলো এক বৃটিশ সাংবাদিক। তৎকালীন বরিশালের ডিসি হাতেম আলী আমাদেরকে তার সাথে নিয়ে গেলেন। চরফ্যাশন গিয়ে দেখলাম জন মানব শূণ্য। সেখানেও দেখলাম লাশ আর লাশ। তখন ভোলায় ৮ লাখ মানুষের বাসছিল। জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। এরমধ্যে মনপুরাতে সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা যায়। প্রায় ২৬ হাজার মানুষ মারা গেছে বিচ্ছিন্ন চর মনপুরায়। মীর্জাকালুতে জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা দেখতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম একটা গাছে এক নারীর মৃত দেহ ঝুলে আছে। কুকুর সেই নারীর মাংশ খাওয়ার জন্য লাফাচ্ছে। আমার সাথে থাকা ক্যামেরায় সেই ছবিটি তুললাম। পাঠালাম পত্রিকা অফিসে। ছাপা হলো তা। এ জন্য পত্রিকা অফিস থেকে আমাকে নয়শত টাকা পুরষ্কৃত করা হলো।
ভোলার সংবাদঃ-
৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্পর্কে আমাদের জানান।
এম হাবিবুর রহমানঃ-
মার্চে আমি ঢাকাতে ছিলাম। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ২৩মার্চ আমি হল ত্যাগ করলাম। নবাব পুর দিয়ে সদরঘাট আসার সময় বিহারিরা বাসার ছাদ থেকে বাঙালীদের লক্ষ্য করে গরম পানি ও ময়লা আবর্জনা ছুড়ে মারত। তখন পুরো ঢাকা শহর আর্মিদের দখলে ছিলো। পল্টনে জনতার সমাবেশে মিশে গিয়ে দলে দলে সদরঘাট পৌঁছলাম। এরপর চলে আসলাম ভোলায়। ভোলা সরকারী স্কুল মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং চলছিলো। সেই ট্রেনিংএ অংশে নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি।
ভোলার সংবাদঃ-
আপনার কর্মজীবনের শুরু কিভাবে?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
পড়াশুনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করি। ৭০ এর জলোচ্ছ্বাসের পর প্রথম ঠিকাদারী শুরু করি। এরপর রাইস মিল চালু করি। এছাড়া আমার টিন, রড, সিমেন্টেরও ব্যবসা ছিলো। কিছুদিন কাপড়ের ব্যবসাও করেছি।
ভোলার সংবাদঃ-
কিভাবে ভোলা প্রেসক্লাবের সাথে যুক্ত হয়েছেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
১৯৭২ সালে প্রথম ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হই। এরপর ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।
ভোলার সংবাদঃ-
প্রেস ক্লাব সম্পর্কে আপনার ভাবনা কি?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ভোলা প্রস ক্লাবের সভাপতি। তাই আমার উপর দায়িত্বও অনেক। সদস্যদের চাওয়া পাওয়াটাও অনেক। প্রেস ক্লাব সম্পর্কে ভাবনা আমার প্রতিদিনের কাজেরই অংশ। মামলা জটিলতার কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। তারপরেও আধুনিকায়ন হয়েছে প্রেস ক্লাবের ভবনের। টিনের ঘর থেকে এখন চার তলা বিল্ডিং। যারা আমাদের সহযোগীতা করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। প্রেস ক্লাবকে ডিজিটাল প্রেস ক্লাব করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
ভোলার সংবাদঃ-
অনেক দিন যাবৎ প্রেস ক্লাবের নির্বাচন হচ্ছে না। এ সম্পর্কে কি বলবেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
মামলা জটিলতার কারণে আমরা প্রেস ক্লাবের নির্বাচন দিতে পারিনি। উচ্চ আদালতের রায়ের কপি পেয়েছি। আশ করি মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোলার সংবাদঃ-
নতুন সদস্য নেয়ার ব্যপারে কি ভাবছেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
দেশে এখন অনেক গণমাধ্যম আত্মপ্রকাশ করেছে। সেখানে ভোলার তরুণ ও যোগ্য সাংবাদিকতরা কাজ করছে। প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রকে আধুনিক ভাবে সাজানো হবে। নির্বাচনের পরেই কার্যকরী পরিষধের সদস্যরা এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিবে।
ভোলার সংবাদঃ-
ভোলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার কন্ঠ কবে প্রতিষ্ঠা করেছেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
সাংবাদিকতাকে মনের মধ্যে এমন ভাবে আকড়ে ধরেছি যার ফলে এর থেকে আর বেড়িয়ে আসতে পারিনি। ভোলাবাসীর সংবাদ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেই ভিন্নধর্মী পত্রিকা প্রকাশের। ১৯৯৪ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রথম প্রকাশ করি দৈনিক বাংলার কন্ঠ। আমার এই পত্রিকা সবার থেকে ভিন্ন। এই পত্রিকায় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ছাপানো হয় না। আমি এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। যা ভোলাবাসীর সংবাদ চাহিদা পূরণ করছে বলে আমি আশা করি।
ভোলার সংবাদঃ-
অবসরে কি করেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
অবসর সময় যেটুকু পাই বই পড়ি আর খবরের কাগজ পড়তেই বেশী পছন্দ করি।
ভোলার সংবাদঃ-
যদি বলি সাংবাদিকতা করে কি পেলেন? তাহলে কি বলবেন?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
জীবনের সবটুকু সময়ইতো সাংবাদিকতায় ব্যয় করেছি। পেয়েছি প্রেসিডেন্ট পুরষ্কার। ১৯৮৬ সালের কথা। রাত ১২টায় সামিয়া লঞ্চ ডুবির খবর টেলিফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারকে জানাই ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে। সকাল বেলার খবরে লীড নিউজ হয় লঞ্চ ডুবির ঘটনাটি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেলারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এ সংবাদটির জন্য আমাকে প্রেসিডেন্ট এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়েছি। এটুকুই আমার পাওয়া।
ভোলার সংবাদঃ-
নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছে আপনার চাওয়া কি?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
নতুন প্রজন্মের কাছে চাওয়া নৈতিকতা বজায় রেখে সাংবাদিকতা করা। সাংবাদিকতা যেন লেজুর ভিত্তিক না হয়। সাহসীকতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা করা। কোন দল বা গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য সাংবাদিকতা করা কাম্য নয়।
ভোলার সংবাদঃ-
অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে কি ভাবনা আপনার?
এম হাবিবুর রহমানঃ-
বর্তমান অনলাইনের যুগ। অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন সংবাদ দ্রুত সময়ে পাঠকের নাগালে চলে আসে। ভোলার সংবাদ ডট কম তার মধ্যে একটি। আমি এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমি এর সাফল্য কামনা করি।
ভোলার সংবাদঃ-
আপনাকে অশংখ্য ধন্যবাদ।
এম হাবিবুর রহমানঃ-
আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।